যত ছোট ঘর হোক, সেই ঘর বা রুমটিকে মানুষ চায় তার মনের মতো করে সাজাতে। সবাই চায় তার ঘরটিকে একটু ভিন্ন মাত্রায় সাজাতে। পড়ার রুম একটি বাড়ির গুরুত্বপূর্ণ অংশ। ছোট থেকে বড় সবার বিচরণ থাকে এই পড়ার রুমে। তবে এক এক বয়সের মানুষের প্রয়োজনীয়তার উপর নির্ভর করে পড়ার রুমগুলো এক এক রকম হয় ।
একটি পড়ার রুম অন্যান্য ঘরগুলো থেকে আলাদা কারণ মানুষ তার অবসর সময় বা পড়ার মনোনিবেশের জন্য একটা বিশাল সময় কাটায় এই পড়ার রুমে। তাই পড়ার রুমকে হতে হয় আরামদায়ক সাথে পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন।
আর পড়ার রুমের পর্দা নির্বাচনের সময় অবশ্যই মাথায় রাখতে হবে ভারী পর্দার কথা। সহজে আলো ঘরে ঢুকলে পড়া থেকে মন বার বার অন্য দিকে চলে যায় তাই ভারী পর্দা পড়ার ঘরে ব্যবহার করা উচিত। আর রঙ নির্বাচনের সময় হালকা সাদা, ধূসর, খয়েরী রঙ পছন্দ করতে পারেন। কালো, লাল রঙ আপনার পড়ার রুমের স্নিগ্ধতা নষ্ট করে তাই এই রঙগুলো যতটা সম্ভব এডিয়ে চলুন।
আর পড়ার রুমে রাখা বুক সেলফটিও আপনি চাইলে সাজাতে পারেন ভিন্নভাবে। বুক সেলফ কাঠ দিয়ে সচারাচর তৈরি হলেও বেত দিয়েও আপনি চাইলে বুক সেলফ তৈরি করতে পারেন। আর আকারের দিক থেকে দিতে পারেন ট্রায়ানগুলার, রেকটেংগুলার, স্কয়ার এসব আকার। কিছু কিছু বুক সেলফ আপনি একাধারে বই রাখার তাক এবং বসার জায়গা হিসেবেও ব্যবহার করতে পারেন।
পড়ার টেবিল রাখতে পারেন জানালার পাশে। জানালার পর্দা পাশে টেনে রাখলে ঘরে আর সরাসরি আপনার টেবিলে আলো প্রবেশ করবে। এছাড়া প্রাকৃতিক পরিবেশ বই পড়ার সাথে সাথে উপভোগও করা যাবে। টেবিলে চাইলে অর্কিড বা বনসাই গাছ রাখতে পারেন। ঘরে নরমাল লাইট রাখুন। অন্যদিকে টেবিলে ল্যাম্প জ্বালিয়েও পড়তে পারেন। আর চেয়ার নির্বাচনের সময় অবশ্যই নির্বাচন করুন আরাম চেয়ার।
বই পড়তে পড়তে একটু হেলান দিয়ে বসার জন্য ঘরের এক কোনায় রাখতে পারেন ডিভান বা সিঙ্গেল লম্বা সোফা, যাতে কুশন রেখে হেলান দিয়ে আপনি পড়তে পারবেন আপনার পছন্দের বইটি। এছাড়া যে কোনো একটি কর্ণারে ল্যান্ডস্কিপিং বা ইনডোর প্ল্যান্টিং করতে পারেন। এতে ঘরে সবুজের ছোয়াঁ বাড়বে। যা আপনাকে রাখবে মনমুগ্ধকর এক পরিবেশে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Manila 5D/4N
চায়না ভিসা (বিজনেসম্যান)
৩০০ফিট ও জিন্দা পার্ক প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
অন্যদিকে টিন-এজারদের পড়ার ঘরের রঙ হয়ে থাকে কিছুটা উজ্জ্বল। গোলাপি, হলদে, টিয়া, নীল, আকাশি হয়ে থাকে এদের পড়ার রুমের দেয়ালের রং। এছাড়া ফল্স সিলিং লাগিয়ে হ্যাংগিং লাইটস দিয়েও রুমটিকে সাজানো যায় অন্য সাজে। বুক সেলফ বা বইয়ের তাকের আকৃতি হয়ে থাকে ট্রি বা আই বা স্কয়ার আকৃতির। মূলত পড়ার ঘরটিকে আনন্দের স্থান করে তুলতে দেয়ালের রঙ, বইয়ের তাকের আকৃতিতে বৈচিত্র আনা হয়। সাথে সাথে পর্দার রঙ ও নির্বাচন করা হয় উজ্জ্বল রঙের।
এছাড়া রুমের নির্দিষ্ট স্থানে রাখা হয় ছোট কার্পেট। এই ছোট কার্পেটগুলো খুব সহজেই পরিস্কার করা যায়, তাই এগুলো ব্যবহার সহজ ও আরামদায়ক। পড়ার ঘর বা পড়ার রুম একটি গুরুত্বপূর্ণ স্থান। কিছুটা ব্যাক্তিগত আর গুরুত্বপূর্ণ সময় কাটানো হয় এই পড়ার রুমে। তাই পড়ার রুমটিকে সাজানো উচিত অল্প আসবাবপত্র দিয়ে আপনার মনের মাধুরী মিশিয়ে।
Thanks to: Durnibar
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...
১,৪৩৭ বার পড়া হয়েছে