মাথার ত্বক মূলত তিন ধরনের হয়ে থাকে—শুষ্ক, তৈলাক্ত আর স্বাভাবিক। রোজ কিংবা দু-এক দিন অন্তর শ্যাম্পু না করলেই যদি চুল তেলতেলে হয়ে যায়, তাহলে মাথার ত্বক তৈলাক্ত বলেই ধরে নিতে হবে। মাথার ত্বক স্বাভাবিক প্রকৃতির হলে একবার শ্যাম্পু করলে তিন দিন পর্যন্ত চুল তৈলাক্ত দেখায় না। আর শুষ্ক প্রকৃতির হলে সপ্তাহখানেকের আগে চুলে তৈলাক্ত ভাব আসে না। চুলের পুরুত্ব বেশি হলে মাথার ত্বকের তৈলাক্ত ভাব কম বলে ধরে নেওয়া যায়। শুষ্ক ধরনের হলে চুলকানি এবং ক্ষুদ্র আঁশ ওঠার প্রবণতা থাকে। তৈলাক্ত ধরনের হলে একটু চকচকে দেখায়, খুশকিও বেশি হয়; দেখা দিতে পারে ব্রণ।
টিস্যু পেপারেও মাথার ত্বক যাচাই করতে পারেন। শ্যাম্পু করার দুই দিন পর টিস্যু পেপার দিয়ে মাথার ত্বক মুছলে টিস্যু পেপারে যদি একটি ছোট, স্বচ্ছ অংশ দেখা যায়, তাহলে তা স্বাভাবিক। যদি গাঢ়, তৈলাক্ত অংশ দেখা যায়, তবে তা তৈলাক্ত। আর যদি কিছুই দেখা না যায়, তবে তা শুষ্ক ধরনের।
মাথার ত্বক যদি হয় শুষ্ক
• সপ্তাহে ১-২ দিন শ্যাম্পু করুন। আর্দ্রতা বাড়ায় এমন প্রসাধনীই আপনার প্রয়োজন। কোঁকড়া চুলের উপযোগী প্রসাধনীও শুষ্কতার জন্য ভালো।
• শ্যাম্পুর আগে অবশ্যই তেল দেবেন।
• প্রশান্তিদায়ক এবং আর্দ্রকারী স্ক্যাল্প সেরামও কাজে লাগবে।
• সালফেটযুক্ত প্রসাধনী আপনার জন্য নয়।
• অতিরিক্ত শুষ্কতায় কাজে দেবে মেন্থল ও চা-পাতা সমৃদ্ধ প্রসাধনী।
• শুষ্ক ত্বকের সঙ্গে আঁশ ওঠার সমস্যা থাকলে জিংক, ম্যাগনেসিয়াম বা স্যালিসাইলিক অ্যাসিডসমৃদ্ধ শ্যাম্পু ব্যবহার করুন সপ্তাহে চারবার করে, মোট দুই মাস। কাজ না হলে বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।
চুলের ধরন বুঝে
ফিচার বিজ্ঞাপন
পানাম সিটি প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
Kolkata – Gangtok (Sikkim) 5D/4N
Singapore Tour with Universal Studios & Sentosa 5D/4N
• চুলের পুরুত্ব কম হলে ঘন করার উপযোগী, আর পুরুত্ব বেশি হলে আর্দ্রকারী প্রসাধন বেছে নিন।
• সোজা চুলের জন্য আলাদা প্রসাধনী পাওয়া যায়, মসৃণকারী প্রসাধনীও সোজা চুলের জন্য ভালো।
• ঢেউখেলানো চুলের জন্য ব্যালেন্সিং প্রসাধনী বেছে নিন।
• কোঁকড়া চুলের চাই খুব ভালো আর্দ্রকারী প্রসাধনী।
• ভঙ্গুর, ক্ষয়ে যাওয়া, রং করানো, হাইলাইট করা বা রাসায়নিক ব্যবহার করা চুলের জন্য স্ট্রেন্দেনিং বা ফরটিফাইং প্রসাধন বেছে নিন।
মাথার ত্বক যদি হয় তৈলাক্ত
• রোজকার ব্যবহারে এমন শ্যাম্পু বেছে নিতে হবে যা গভীরভাবে পরিষ্কার করে।
• ঘন, মজবুত ও ভারসাম্য রক্ষা করে এমন প্রসাধনী বেছে নিন। দুই ধরনের পণ্যও কিনতে পারেন—এক দিন একটি, পরের দিন অন্যটি ব্যবহারের জন্য।
• তেলমুক্ত কন্ডিশনার দিন।
• ভারী ধরনের প্রসাধন সামগ্রী এবং দীর্ঘক্ষণ রাখতে হয়, এমন কন্ডিশনার ব্যবহার করবেন না।
• আর্দ্রকারী, প্রশান্তিদায়ক এবং কোঁকড়া চুলের জন্য প্রযোজ্য—এমন প্রসাধনী প্রয়োগ করবেন না।
• অতিরিক্ত তৈলাক্ত ভাব থাকলে ক্ল্যারিফাইং শ্যাম্পু ব্যবহার করতে পারেন। তবে ঘন ঘন নয়।
মাথার ত্বক যদি হয় স্বাভাবিক
স্বাভাবিক মাথার ত্বকের জন্য প্রযোজ্য হিসেবে চিহ্নিত প্রসাধনী ব্যবহার করুন। শ্যাম্পু করুন তিন-চার দিন অন্তর।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৮৯ বার পড়া হয়েছে