‘দুপুরটার যেন গায়ে হলুদ আজ। আমি জানি, একটু পরেই তুমি
নরম পায়ে তোমাদের দোলনায় ছায়াটে বারান্দায় এসে বসবে।’
কবি শামসুর রাহমানের এই ‘ছায়াটে বারান্দার’ দোলনার কথায় নিজের ছোটবেলা মনে করতে পারেন। যখন ঘুরতে যাওয়া বিকেলে পার্কের দোলনার দখল পাওয়ার লড়াইটা ছিল সবচেয়ে আনন্দের। অনেকে নিজের বাড়ির সামনে দড়িতে কাঠের পিঁড়ি ঝুলিয়ে ‘ব্যক্তিগত’ দোলনাও তৈরি করেন। এসব স্মৃতি হাতড়েই অনেকে বাড়ির অন্দরে যুক্ত করেন একটা সুন্দর দোলনা। শহরে রাতে বারান্দার দোলনায় বসে পূর্ণিমায় অবগাহনের ইচ্ছা বা অবসর কাটানোর একটি ভালো মাধ্যম। রেডিয়েন্ট ইনস্টিটিউট অব ডিজাইনের প্রধান অন্দরসজ্জাবিদ গুলসান নাসরীন চৌধুরী স্মরণ করলেন তাঁর ছোটবেলার উন্মুক্ত পরিবেশের দোলনার কথাও। আজকের দিনে দোলনা আছে অন্দরে, আছে খোলা ছাদে বা বড় বারান্দায়। কোথায় কেমন দোলনা রাখা যায়, সে পরামর্শ জেনে নিন গুলসান নাসরীন চৌধুরীর কাছ থেকে।
যেভাবে রাখি অন্দরে
ড্রয়িংরুমটা বড় হলে দুজন বসার উপযোগী একটা দোলনা রাখতে পারেন এক পাশে। এ ঘরের বাকি আসবাব হয়তো রট আয়রনের, সে ক্ষেত্রে রট আয়রনের দোলনাই বেছে নিন। কাঠের আসবাব হলে কাঠের ফ্রেমের দোলনা রাখতে পারেন। যে ঘরেই দোলনা রাখুন, এভাবে সে ঘরের বাকি আসবাবের ধরন বুঝে দোলনা বেছে নিতে হবে। নকশায়ও যেন সাদৃশ্য থাকে, সেদিকে খেয়াল রাখুন। সব আসবাবে ঐতিহ্যবাহী ভারী নকশা থাকলে, দোলনাটাও ভারিক্কি দেখালে তা মানানসই হবে। দোলনার বসার জায়গা বা গদির কভার যেন সোফার কভার, জানালার পর্দা প্রভৃতির সঙ্গে মানানসই হয়, সেটিও মাথায় রাখুন।
হয়তো ড্রয়িংরুমে তেমন জায়গা নেই, জায়গা আছে লিভিংরুমে। এখানে সাধারণত বেতের বা বাঁশের আসবাব রাখা হয়, লো হাইট আসবাব রাখা হয়। সেটি মাথায় রেখেই দোলনা বাছাই করুন। এখানে দোলনার ফ্রেম রাখার মতো জায়গা না থাকলে ঘরের একটি কোনায় ছাদ থেকে হুকের সাহায্যে ঝুলিয়ে দিন বেতের তৈরি ঝুড়ি আকৃতির দোলনা। স্থান সংকুলান না হলে বারান্দার ছাদ থেকে জায়গা বুঝে একজন বা দুজন বসার উপযোগী দোলনা ঝুলিয়ে দিতে পারেন।
শিশু ও সবার নিরাপত্তা
ঘরে–বাইরে যেখানেই দোলনা রাখুন না কেন, তা মজবুতভাবে বসাতে হবে, যাতে দোলনা থেকে কোনো দুর্ঘটনার আশঙ্কা না থাকে, এমনটাই বললেন গুলসান নাসরীন চৌধুরী। ঘরের আয়তনের ভিত্তিতে দোলনার আকার-আকৃতি বেছে নিন। চাইলে বাচ্চাদের ঘরেও দোলনা রাখতে পারেন। তবে নিরাপত্তার বিষয়টি খেয়াল রেখে তবেই শিশুর এ শখ মেটানো উচিত। এমনভাবে দোলনাটা লাগাতে হবে, যাতে সেটিতে দোলার সময় কোথাও লেগে না যায়। ঘরের মধ্যে শিশুর দোলনা সামনে-পেছনে কোনো দিকেই যেন দুই ফুট দূরত্বের বেশি যেতে না পারে, তেমন ব্যবস্থা করুন। দোলার জায়গাতে যেন কোনো আসবাব না রাখা হয়, সেটি খেয়াল রাখুন প্রতিটি ঘরেই। শিশুর ঘরের দোলনায় একটু বাড়তি রঙের ছোঁয়া রাখতে পারেন।
অন্দর ছাড়িয়ে
ঘরের বাইরে বাড়ির ছাদেও রাখতে পারেন দোলনা। ছাদবাগানে সাধারণত রট আয়রনের সামগ্রী রাখা হয়, যেন রোদ-বৃষ্টিতে সেটি নষ্ট না হয়। এখানকার জন্য তাই রট আয়রনের দোলনাই ভালো। মাঝারি উচ্চতার দোলনা রাখুন এখানে, যাতে শিশু থেকে বয়স্ক সবাই বসতে পারেন। এ দোলনার গদিটা একটু আরামদায়ক করে বানিয়ে নিন। দৃষ্টিনন্দন করতে চাইলে এ দোলনার পাটাতনটি কাঠ দিয়ে তৈরি করে নেওয়া যায়। পাশে হয়তো বসার টুল রাখলেন, যেটির ফ্রেম রট আয়রনের, তবে বসার জায়গাটা কাঠের তৈরি। ইচ্ছা করলে এখানে সিমেন্ট দিয়ে গাছ বা গাছের ডালের আকৃতি তৈরি করিয়ে নিয়ে সেখান থেকে দোলনা ঝুলিয়ে দেওয়ার ব্যবস্থা করা যায়। বড় লন থাকলে তো কথাই নেই। পাকাপোক্তভাবে বড় ফ্রেম বসিয়ে নিন দোলনার জন্য। ফ্রেমের উচ্চতা হতে পারে আট ফুট। মজবুত একটি দোলনা বসিয়ে নিন, যাতে দুজন বসতে পারেন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
চায়না ভিসা (চাকুরীজীবী)
Dubai City tour- Dhow cruise- Desert safari- Burj Khalifa 6D/5N
ব্যাংকক-ফুকেট-ফিফি আইল্যান্ড-সাফারি ওয়ার্ল্ড
বাড়তি কিছু
দোলনার ফ্রেম শুকনো ফুল ও পাতা দিয়ে সাজাতে পারেন। দোলনার দড়িটা হতে পারে কয়েক রঙের সমাহারে। কোনো দোলনা থেকে ঝুলিয়ে দিতে পারেন ঝুনঝুনি। যেখানটায় দোলনা রাখবেন, সেখানে আলোর ব্যবস্থাটা একটু ভিন্নভাবে করতে পারেন, বৈচিত্র আসবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)২,৯৫২ বার পড়া হয়েছে