আলোর কৌশলী ব্যবহারে ঘরের আবহে চমৎকার পরিবর্তন আসতে পারে। ফ্ল্যাটের আয়তনের কারণে বিশাল আর নকশাদার ঝাড়বাতির ব্যবহার কমছে। ছিমছাম নকশা আর পরিষ্কার করার সুবিধার জন্য অনেকেই পছন্দ করছেন ঝুলন্ত বাতি। শুধু বসার ঘর বা খাবার টেবিলের ওপর নয়, প্যাসেজ, রান্নাঘর থেকে শুরু করে সব জায়গাতেই এর ব্যবহার দেখা যাচ্ছে।

আলো এবং ছায়াকে কেন্দ্র করে বিশেষ কিছু স্থানকে সুনির্দিষ্ট ও আকর্ষণীয় করে তোলা যায়, জানালেন অন্দরসজ্জা প্রতিষ্ঠান চতুষ্কোণের পরিচালক কান্তা কবির। ঝুলন্ত বাতি সৌন্দর্যবর্ধনের পাশাপাশি নাটকীয় পরিবেশ তৈরি করে।

শোবার ঘরে

শোবার ঘরের বিছানার পাশের দেয়ালে ছোট টেবিলে ল্যাম্প রাখা যায় অথবা ঝুলন্ত আলো। ঘুমানোর আগে বই পড়ার ক্ষেত্রে অথবা প্রয়োজনীয় কাজের ক্ষেত্রে ব্যবহার করা যাবে। শোবার ঘরে নরম আলো ব্যবহার করলেও টেবিলের জন্য উজ্জ্বল আলোর প্রয়োজন। সে ক্ষেত্রে স্পটলাইট ব্যবহার করা যায়। সিলিংয়ে সারফেস লাইট, কনসিল লাইট, স্পটলাইট, ফলস সিলিঙের পকেট লাইটও (এলইডি) লাগানো যায়। শোবার ঘরে ওয়ার্ক স্টেশনের ব্যবস্থা থাকলে সেখানে উজ্জ্বল বাতির ব্যবহার করুন। এ ছাড়া শোবার ঘরে ফ্লোরস্ট্যান্ড ল্যাম্প ব্যবহার করা যায়।

ড্রেসিং টেবিল ও আয়নার সামনে উজ্জ্বল আলোর ব্যবস্থা রাখুন। সেখানেও ঝুলন্ত বাতি দেওয়া যেতে পারে। ড্রেসিং টেবিলের আলো যেন আয়নার বিপরীত দিকের দেয়ালে না হয়। সাধারণত শোবার ঘরে ১২০-১৫০ বর্গফুটের জন্য ৫০-৬০ ওয়াটের এলইডি বাতি মানানসই। এ ক্ষেত্রে পুরো ঘরের জন্য ৩০ ওয়াট এবং ড্রেসিং ইউনিটের জন্য ৩০ ওয়াটের বাতি লাগান। বিছানার পাশের টেবিল ল্যাম্পের জন্য ২০ ওয়াটই যথেষ্ট। শোবার ঘরের এক কোণে স্টাডি কর্নার থাকলে একটি ঝুলন্ত বাতিতে কাজ আর সাজ একসঙ্গে মিলবে।

খাবার ঘরে

খাবার টেবিলের ওপর বাড়তি আলোর জন্য ঝুলন্ত বাতি বেশ কাজে দেবে, দেখতেও ভালো লাগবে। সঙ্গে যদি দেয়ালে কোনো ছবি অথবা পেইন্টিং থাকে, তবে সেটাকে আলোকিত করার জন্য উষ্ণ আলোর স্পটলাইট, যেটা নাড়াচাড়া করা যায় (এলইডি বাতি হলে ভালো) ব্যবহার করতে পারেন।

টেবিলের আকৃতি অনুযায়ী দুই বা তিনটি বাতি সিলিং থেকে সারি বেঁধে ঝুলিয়ে দিন। গোলাকার টেবিলে সারি বেঁধে না দিয়ে ত্রিভুজ আকারে ঝোলালে ভালো দেখাবে। বাতি এমনভাবে ঝোলাতে হবে, যেন আলো খাবারে পড়ে, বাতির শেডটি যেন খুব নিচু না হয়।

যদি খাবার ঘরের পাশেই রান্নাঘর থাকে, তবে কিচেন কাউন্টারের সাজে নকশাদার একটি ঝোলানো বাতি পরিপূর্ণতা এনে দেবে। বাতির দোকান পেন্ট হাউসের একজন বিক্রয়কর্মী জানান, এক ঘরে এক ধরনের আলো না রেখে কয়েক রকম আলোর সংমিশ্রণ করা যায়।

বসার ঘর

সেন্টার টেবিলের ওপর গুচ্ছ আকারে বা সার বেঁধে তিন থেকে চারটি ঝুলন্ত বাতি ব্যবহার করতে পারেন। ঘরের কোনা সাজানো থাকলে সেখানেও দু-একটি ঝোলানো বাতি দিতে পারেন। এ ক্ষেত্রে বাতিগুলো একই সমান্তরালে না দিয়ে ওপর-নিচ করে লাগান। বসার ঘরের সাজের সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ রেখে দেশীয় বা আধুনিক যেকোনো থিমের ঝোলানো বাতি বেছে নিতে পারেন। এতে আলো-আঁধারির মধ্যে আড্ডা আরও প্রাণবন্ত হয়ে উঠবে।

শিশু–কিশোরদের ঘরে

শিশু–কিশোরদের ঘরের জন্যও কোমল আলো ভালো। তবে পড়ার টেবিলে থাকতে হবে উজ্জ্বল আলো। বাচ্চাদের ঘরে তাদের পছন্দের কোনো চরিত্র বা খেলনার আদলে তৈরি বাতি দিতে পারেন। শিশুর ঘরে বিছানার ওপর, পড়ার টেবিলে বা খেলনার জন্য আলাদা একটি কোনা সাজাতে পারেন রিকশা, সাইকেল, গাড়ি, ফুটবল ইত্যাদির আদলে তৈরি বাতি দিয়ে।

করিডরে

করিডরের ক্যাবিনেটে একটি ঝুলন্ত বাতি সৌন্দর্য বাড়াবে বহুগুণ। বারান্দায় বসার ব্যবস্থা থাকলে সঙ্গে ঝুলন্ত বাতি ঝুলিয়ে দিন। এখানে দেশীয় মোটিফের গোলাকার বা বলের মতো ঝুলন্ত বাতি ভালো মানাবে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৪৮ বার পড়া হয়েছে