ফল, শাকসবজি, শিমের বিচি ও গোটা শস্য: কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে ডায়েটে বেশি করে ফল, শাকসবজি, শিমের বিচি ও গোটা শস্য অন্তর্ভুক্ত করে দেখতে পারেন মুক্তি মিলে কিনা। এসব খাবারে প্রচুর আঁশ থাকে, যা পরিপাকতন্ত্রের বর্জ্য অপসারণে চাবিকাঠি হিসেবে কাজ করে। বৃহদান্ত্রে আঁশ গমনের সময় তরল শোষিত হয়ে বর্জ্যের স্তূপ তৈরি হয় ও মল নরম থাকে। এর ফলে মলত্যাগ সহজ হয়। শাকসবজি ও ফলের খোসা, ডাঁটা ও পাতাতে আঁশের পরিমাণ বেশি। তাই আপলের খোসা ও ব্রোকলির ডাঁটা ফেলে দেবেন না। পালংশাক ও ব্রোকলির মতো ঘন সবুজ পাতার শাকসবজি ডাবল কাজ করতে পারে, কারণ এসবে আঁশের পাশাপাশি প্রচুর ম্যাগনেসিয়ামও রয়েছে। ম্যাগনেসিয়ামও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে অবদান রাখে।
আলুবোখারা: আলুবোখারা মৃদু ল্যাক্সাটিভ হিসেবে কাজ করে। এটি বৃহদান্ত্রের মধ্য দিয়ে বর্জ্য নামাতে মাংসপেশিকে উদ্দীপ্ত করে। পাঁচটি আলুবোখারাতে প্রায় ৩ গ্রাম আঁশ থাকে। আলুবোখারার জুসও কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে সমান কার্যকর। গবেষকদের মতে আলুবোখারার আঁশ ও সরবিটলের (একপ্রকার সুগার অ্যালকোহল) যৌথ ক্রিয়ায় কোষ্ঠকাঠিন্য দূর হয়।
কফি ও অন্যান্য গরম পানীয়: কোষ্ঠকাঠিন্যে ভুগলে কফি পান করে দেখতে পারেন। এতে ভালো কাজ হয় বলে জানিয়েছেন স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা। এর অন্যতম কারণ হলো গরম পানীয় বর্জ্যের চলাচলে গতি আনে। সেই হিসেবে অন্যান্য গরম পানীয়ও কোষ্ঠকাঠিন্যে সহায়ক হতে পারে। কিন্তু কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে কফির ভূমিকা অন্যান্য গরম পানীয়ের চেয়ে একটু বেশি, কারণ এটি অন্ত্রের মাংসপেশিকে সংকুচিত হতে উদ্দীপ্ত করে। কিন্তু এটি দীর্ঘমেয়াদি সমাধান হতে পারে না, কারণ কফি পানে মূত্রত্যাগের হার বেড়ে যায়।
পানি: শুধু আঁশে সমৃদ্ধ খাবার খেলে হবে না, পর্যাপ্ত পানিও গ্রহণ করতে হবে। কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে আঁশের জাদুকরি কাজ সম্পন্ন হতে পানিরও প্রয়োজন রয়েছে। যথেষ্ট পানি পান না করলে আমাদের শরীর বর্জ্য থেকে পানি শুষে নেয়, যার ফলে মল শক্ত হয়ে যায় ও বের হয়ে আসতে পারে না। সাধারণ পানি পানে আগ্রহ না থাকলে এর সঙ্গে ফলের রস মিশিয়ে সুস্বাদু করে নিতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ, সাধারণ পানিতে স্ট্রবেরি, নাশপাতি, তরমুজ ও লেবুর রস মেশাতে পারেন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
দুবাই ও মিশর ৭দিন ৬ রাত
ফিলিপাইন ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
বেইজিং ৪ দিন ৩ রাত
ফ্ল্যাক্সসিড ও ইসবগুলের ভূষি: ফ্ল্যাক্সসিড ও ইসবগুলের ভুষি কোষ্ঠকাঠিন্য দূরীকরণে সহায়তা করে। ঘুমাতে যাওয়ার পূর্বে এক মগ (২৫০ মিলিলিটার) গরম দুধে এক চা-চামচ ফ্ল্যাক্সসিডের গুঁড়া মিশিয়ে পান করুন। সকালে সিরিয়ালে বা ফলের স্মুদিতে ২ টেবিল চামচ ফ্ল্যাক্সসিডের গুঁড়া ছিটাতে পারেন। রাতে ঘুমানোর আগে এক মগ পানিতে ইসবগুলের ভুষি মিশিয়েও পান করতে পারেন। নিয়মিত ইসবগুলের ভুষি খেলে সাধারণ কারণে সৃষ্ট কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ হবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২৪১ বার পড়া হয়েছে