অসাবধানতায় অথবা দুর্ঘটনাবশত ত্বক কেটে যেতে পারে। সাধারণত ছোটখাট ক্ষত নিয়ে তেমন দুশ্চিন্তার কিছু নেই, বিশেষ করে সেখানে ময়লা না ঢুকলে। কিন্তু একথাও মনে রাখতে হবে যে সঠিক পরিচর্যার অভাবে সাধারণ ক্ষতও মারাত্মক পরিণতি নিয়ে আসতে পারে। ক্ষতের সঠিক সেবা না করলে জীবাণু প্রবেশ করে ইনফেকশন হতে পারে।কেবল সেলুলাইটিস নয়, সেপসিসের মতো প্রাণঘাতী সমস্যাও হতে পারে।এছাড়া ক্ষতের প্রতি অবহেলায় অন্যান্য ইনফেকশনও হতে পারে।
ক্ষতের ব্যথা, ফোলা ও লালতা বাড়তে থাকলে ইনফেকশন হয়েছে বলে ধারণা করতে পারেন। পুঁজ থেকে দুর্গন্ধ ছড়ালে অথবা এর রঙ সবুজ হলে নিশ্চিত হতে পারেন যে ইনফেকশন হয়েছে। তীব্র ইনফেকশনে বমিভাব হতে পারে, জ্বর আসতে পারে ও শীতশীত লাগতে পারে। এখানে ক্ষতস্থানে ইনফেকশন হওয়ার চারটি কারণ দেয়া হলো।
* নিজে নিজে ময়লা বের করা: কোন পরিবেশে কোথায় কিভাবে ক্ষত হয়েছে তার ভিত্তিতে সেখানে ছোট ছোট কণা ঢুকে যেতে পারে। চিকিৎসকদের মতে, গভীর ক্ষত থেকে নিজে নিজে ময়লা বের করলে ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। নিউ ইয়র্ক ও নিউ জার্সিতে অবস্থিত অ্যাডভান্সড ডার্মাটোলজি পিসির ত্বক বিশেষজ্ঞ সোনোয়া অউ বলেন, ‘ক্ষত পরিষ্কারের সময় অবিলম্বে যেকোনো কণা বা ময়লা বের করে ফেলা গুরুত্বপূর্ণ। যদি দেখেন যে ময়লা বের করতে গেলে ক্ষতটি আরো বড় হয়ে যাবে তথা খোঁচাখোঁচি করতে হবে, তাহলে নিজে নিজে কাজটি করতে যাবেন না। বরং চিকিৎসকের কাছে চলে যান।’ এটা ভাববেন না যে আপনি নিরাপদে ময়লা বের করে ফেলবেন অথবা ময়লাটি এমনিতেই বের হয়ে যাবে। নিজে নিজে ক্ষতের কণা বা ময়লা বের করে ইনফেকশনে ভুগেছেন এমন অনেক ঘটনা রয়েছে।
* সাবান দিয়ে পরিষ্কার করা: ক্ষত পরিষ্কারের সময় সাবানের ব্যবহার নিরাপদ নয় কেন তা ভেবে আপনি হয়তো অবাক হতে পারেন। আপনি বিস্মিত হলেও এটা সত্য যে ক্ষতে সাবান ব্যবহার করলে ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। গবেষণায় দেখা গেছে, সাধারণ হাত ধোয়ার সাবান ত্বককে উক্ত্যক্ত করতে পারে। এটা ক্ষত নিরাময় বিলম্বিত করে ও ইনফেকশনের ঝুঁকি বাড়ায়। সাবানের মতো পরিষ্কারক সামগ্রীর প্রতি প্রতিক্রিয়া ব্যক্তিভেদে ভিন্ন হতে পারে। কিন্তু যত যাই হোক না কেন, কাটাছেঁড়া বা ক্ষতে সাবান ব্যবহারের কথা না ভাবাই ভালো। ক্ষতে কড়া উপকরণের পরিষ্কারক সামগ্রী ব্যবহার করা উচিত নয়। ডা. অউয়ের পরামর্শ মতে, ক্ষতস্থান পরিষ্কার করতে সিটাফিলের মতো জেন্টেল ক্লিনজার ব্যবহার করতে পারেন।
* ক্ষতকে খোলা রাখা: ক্ষতস্থান পরিষ্কারের পর সেটাকে উন্মুক্ত রাখলে ইনফেকশনের ঝুঁকি বেড়ে যায়। আপনি হয়তো ভাবছেন যে ক্ষতস্থানকে খোলা রাখলে বাতাসের সংস্পর্শে দ্রুত শুকাবে। অনেক বিশেষজ্ঞের মতে, এটা একটা প্রচলিত ভুল ধারণা। ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের মতে, ক্ষত নিরাময়ের জন্য আর্দ্রতা প্রয়োজন। এটা ঢেকে রাখলে আর্দ্রতা বজায় থাকে। ডা. অউ বলেন, ‘কাটাছেঁড়াকে প্রকাশ্যে রাখলে ইনফেকশনের প্রচুর ঝুঁকি রয়েছে। ক্ষতস্থানকে ঢেকে আর্দ্র রাখলে প্রক্রিয়াটি সহজেই সম্পন্ন হয়।’ শুরু থেকেই ক্ষতস্থানকে আর্দ্র রাখতে ভ্যাসলিন বা অ্যাকুয়াফোরের মতো পেট্রোলিয়াম জেলি ব্যবহার করতে পারেন। স্থানটি ঢেকে রাখতে ব্যান্ডেজ লাগিয়ে নিন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Cairo-Alexandria-Aswan & Luxor 8D/7N
চল্লিশ ফিট রোডের সাথে ৫ কাঠা প্লট কিনুন ।
Maldives (Paradise Island-Beach Vila & Hulhumale) 3D/2N
* মরিচায় ধরা ধাতব ঢুকেছে: মরিচায় ধরা ধাতব দ্বারা গভীর ক্ষত হলে অবশ্যই ইনফেকশন হবে এমনটা গ্যারান্টি দিয়ে বলা যায় না। কিন্তু হ্যাঁ এক্ষেত্রে ইনফেকশনের ঝুঁকিটা বেশি, বিশেষ করে ধাতব বস্তুটি মাটিতে বা নোংরাতে থাকলে। এ ধরনের ক্ষত হলে দেরি না করে মেডিক্যালের সেবা নিতে হবে। কখনো এরকম ক্ষতের চিকিৎসা নিজে নিজে করা উচিত নয়। মরিচা পড়েছে এমন ধাতবে কেটে গেলে ক্লস্ট্রিডিয়াম টিটানি ব্যাকটেরিয়ায় আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি রয়েছে। ব্যাকটেরিয়াটি মারাত্মক রোগ ধনুষ্টঙ্কার সৃষ্টি করে। এই পরিণতি প্রতিরোধে চিকিৎসক আপনাকে টিটেনাস শট দিতে পারেন।
Source: Risingbd
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২৩৮ বার পড়া হয়েছে