দেশে ভেজাল ও মানহীন পণ্য তৈরি ও বিক্রি বন্ধ না হওয়ার সংবাদ গভীর উদ্বেগজনক। জানা গেছে, মুদি দোকান থেকে শুরু করে সর্বত্র অবাধে মানহীন ও ভেজাল পণ্য বিক্রি হচ্ছে। প্রচলিত শিশুখাদ্যও ভেজালমুক্ত নয়; এমন কী জীবন রক্ষাকারী ওষুধও ভেজালমুক্ত রাখা যাচ্ছে না। ভেজাল ও মানহীন এসব পণ্য কিনে ভোক্তারা প্রতিনিয়ত প্রতারিত হচ্ছেন; সেইসঙ্গে বাড়ছে স্বাস্থ্যঝুঁকি, যা থেকে পরিত্রাণ পাওয়া জরুরি। দুশ্চিন্তার বিষয় হলো, নকল কারখানার মালিক ও ভেজাল পণ্য বাজারজাতকারীদের বিরুদ্ধে একাধিক সরকারি সংস্থা অভিযান চালালেও কঠোর ব্যবস্থা নেওয়ার কোনো দৃষ্টান্ত নেই। ফলে ধরা পড়ার পর জরিমানা ও কারখানা সাময়িকভাবে বন্ধ হলেও কিছু দিন যেতে না যেতেই তারা পুনরায় একই ধরনের অপকর্মে লিপ্ত হচ্ছে। এর বাইরে অবশ্য প্রশাসনের চোখ ফাঁকি দিয়ে অনেকেই নির্বিঘ্নে অপকর্ম করে যাচ্ছে। সব মিলিয়ে নকল ও ভেজাল পণ্য এবং খাদ্যদ্রব্যের কারবারিদের কিছুতেই দমন করা যাচ্ছে না, এটা পরিষ্কার।

সুস্বাস্থ্যের জন্য চাই স্বাস্থ্যসম্মত নিরাপদ খাদ্য। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার তথ্য অনুযায়ী, প্রতি বছর বিশ্বে অন্তত ৬০ কোটি মানুষ ভেজাল ও দূষিত খাদ্য গ্রহণের কারণে অসুস্থ হয়। পরিবেশ বাঁচাও আন্দোলনের (পবা) এক গবেষণা প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ভেজাল খাদ্যের কারণে প্রতি বছর দেশে কমপক্ষে ৩ লাখ মানুষ ক্যানসারে, ২ লাখ কিডনি রোগে এবং দেড় লাখ মানুষ ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়া ছাড়াও গর্ভবতী নারীরা ১৫ লাখ বিকলাঙ্গ শিশুর জন্ম দিচ্ছেন। ভেজাল খাদ্য গ্রহণের ফলে দেশে হেপাটাইটিস, কিডনি, লিভার ও ফুসফুসসংশ্লিষ্ট রোগীর সংখ্যাও দিন দিন বেড়ে চলেছে। গত তিন বছরে বিএসটিআই, বাংলাদেশ নিরাপদ খাদ্য কর্তৃপক্ষ, জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতর ও র‌্যাবসহ সরকারের বিভিন্ন সংস্থা অন্তত ৮ হাজার মোবাইল কোর্ট পরিচালনা এবং এসব অভিযানে ভেজালের প্রমাণ পাওয়ায় প্রায় ২৫ হাজার মামলা ও শতকোটি টাকা জরিমানা আদায় করলেও দেশে ভেজালের কারবারে কোনো হেরফের না ঘটায় দেশের বিপুলসংখ্যক মানুষ স্বাস্থ্যঝুঁকিতে রয়েছে, তা বলাই বাহুল্য।

অসাধু ব্যক্তিরা অধিক মুনাফার লোভে একদিকে ভেজাল খাদ্যদ্রব্য বিক্রয় করছে; অন্যদিকে বিভিন্ন সেবা প্রদানের ক্ষেত্রেও অবাধে প্রতারণার আশ্রয় নেয়া হচ্ছে। ভোক্তা অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় নিয়মিত বাজার তদারকি ও আইনের সর্বোচ্চ প্রয়োগের মাধ্যমে খাদ্যপণ্য ও সেবার ক্ষেত্রে ভেজাল ও প্রতারণার হার শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনা জরুরি। বস্তুত বাজার তদারকির কাজ যথাযথভাবে সম্পন্ন না হওয়ায় একশ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী এর সুবিধা নিচ্ছে, যা মোটেই কাম্য নয়। ভোক্তা অধিকার ও স্বার্থ রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ গুরুত্ব দেবে-এটাই প্রত্যাশা।

ফিচার বিজ্ঞাপন

US Visa for Retired Person

মূল্য: 5,000 Taka

চায়না ভিসা (চাকুরীজীবী)

মূল্য: ১০,০০০ টাকা

Source: Jugantor

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



১৯০ বার পড়া হয়েছে