ঈদে অন্দর সজ্জায় প্রাধান্য পায় খাবারঘর। খাবারঘরেই যে অতিথি আপ্যায়ন করা হয়। মজার মজার খাবারগুলোর পরিবেশনও হওয়া চাই নান্দনিক। স্বাদ বেড়ে যাবে বহুগুণে। টেবিলের সাজ, ব্যবহৃত বাসন সবকিছুতেই প্রকাশ পাক রুচির পরিচয়।

ঈদে উৎসবমুখর পরিবেশ তৈরি করতে নিত্যদিনের ব্যবহৃত টেবিল ম্যাট বা রানার বদলে ফেলার পরামর্শ দেন স্থাপত্য প্রতিষ্ঠান মেটামরফিকের স্থপতি এবং ডিজাইনার ফারাহ মৌমিতা। তিনি জানান, একই রঙের ম্যাট ও রানার বা বিপরীত রঙা রানার ও ম্যাট ব্যবহার করতে পারেন। কাতান বা সিল্কের তৈরি ম্যাট এ ক্ষেত্রে মানানসই। গ্লাসের পাশে ন্যাপকিন ভাঁজ করে রাখার মতো ছোটখাটো বিষয়গুলোর মাধ্যমেই টেবিলের সৌন্দর্য বাড়িয়ে তুলতে পারেন। তাই সাধারণ টিস্যু বক্স ব্যবহার না করে একটু নান্দনিক বাক্স ব্যবহার করুন। টেবিলের মাঝখানে ছোট ফুলদানিতে তাজা ফুল অথবা ইকেবানা রাখতে পারেন। যে পাত্রে খাবার দেবেন সেটা হালকা এবং এক রঙের হলে খাবারের নিজস্ব রং ফুটিয়ে তুলতে পারবে। ঈদের দিন অনেক কাজ থাকে। এ জন্য আগের রাতেই সবকিছু গুছিয়ে রাখা ভালো। হাতের কাছে সব থাকলে অহেতুক ছোটাছুটিও করতে হবে না। ট্রলি থাকলে গ্লাস, প্লেট, পিরিচ, বাটি সবকিছু সাজিয়ে রাখতে পারেন। না হলে টেবিলের এক কোনা তো আছেই। এক কথায় টেবিল সাজাতে হবে নিজ রুচি ও টেবিলের আয়তনের ওপর নির্ভর করে—জানান মৌমিতা। পরিচ্ছন্নতাকে সব থেকে বেশি প্রাধান্য দিন।

ঘর সাজানোর বেলায় পুরোনো ধাঁচের অন্দরসজ্জাই পছন্দ করেন ডিভাইন বিউটি লাউঞ্জের অংশীদার বাপন রহমান। তাঁর বাড়ি দেখলে মনে হয় নানা রং আর ফুলের মেলা। খাবার ঘরও এর ব্যতিক্রম নয়। দেয়ালে শোপিস হিসেবে রয়েছে নানা ধরনের থালা আর পুরোনো ধাঁচের শোপিস।

ঈদের দিন সকাল, দুপুর, রাত—তিন বেলার খাবার অনুযায়ী ভিন্নভাবে টেবিল সাজাবেন বাপন রহমান। সকালে ছিমছাম আর দুপুরে জমকালোভাবে খাবার টেবিল সাজান তিনি। এবার ঈদে খাবার পরিবেশনে ব্যবহৃত সব বাসনপত্রে থাকবে ফুলেল নকশা। টেবিলে মূল আকর্ষণ হয়ে থাকবে একরাশ গোলাপ ফুল। মিল রেখে থাকবে মখমলের টেবিল রানার। পানির জন্য কাচের গ্লাসের বদলে থাকবে সিরামিকের মগ। এ ছাড়া হাতের কাছে চামচ, বাটি—সবকিছু রাখার পরামর্শ দেন তিনি।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Maldives (Centara Ras Fushi Resort & Spa) 3D/2N

মূল্য: ৫৯,৯০০ টাকা

Thimpu-Paro 4D/3N

মূল্য: ১৫,৯০০ টাকা

টুকিটাকি বিষয়ঃ

# খাবার গরম রাখতে ঢাকনাসহ বাটিতে পরিবেশন করুন।
# খাবার সময় টেবিলে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা রাখা উচিত।
# টেবিলে যেকোনো এক ধরনের তৈজসপত্র ব্যবহার করুন। সিরামিক হলে সব জিনিসই সিরামিকের তৈরি অথবা ক্রিস্টাল হলে শুধু ক্রিস্টালের জিনিস ব্যবহার করলে দেখতে ভালো লাগবে।
# টেবিলের ওপর উঁচু কিছু রাখবেন না। অন্য সবার চেহারা দেখতে বা দৃষ্টিতে বাধা সৃষ্টি করে।
# ঈদের দিন অনেক রকমের রান্নার আয়োজন করা হয়। তাই অতিথি আপ্যায়নে প্রয়োজনীয় থালাবাটি সামনেই রাখা উচিত। পানির জন্য বড় গ্লাস, পানীয়র জন্য একটু ছোট গ্লাস রাখা যেতে পারে।
# টেবিল সাজাতে অতিরিক্ত কোনো কিছু ব্যবহার না করাই ভালো। মনে রাখতে হবে, খাবারই এই টেবিলের মূল বিষয়।
# সব থেকে গুরুত্বপূর্ণ হলো পরিষ্কার-পরিচ্ছন্নতা। টেবিল ও আনুষঙ্গিক জিনিসগুলো পুরোনো হলেও পরিষ্কার থাকলে দেখতে ভালো লাগবে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



৯২২ বার পড়া হয়েছে