নিজের একটা গাড়ি কে চায় না। প্রতি মাসে যদি ৩০ হাজার টাকা আয় করেন। তাহলে আপনিও হতে পারেন একটা গাড়ির মালিক। গাড়ি কিনতে ঋণ পাওয়া এখন আর কঠিন কিছুই নয়। সহজ শর্ত ও প্রতিযোগিতামূলক সুদহার—এ দুটো মিলেই গাড়ি এখন সচ্ছল গ্রাহকদের হাতের মুঠোয়।
গাড়ি কিনতে দামের অর্ধেক জোগান দিচ্ছে ব্যাংক। আর আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো গাড়ি কিনতে ধরতে গেলে পুরো ঋণই দিচ্ছে। তাই নিজের প্রয়োজনে গাড়ি কেনা এখন আর আহামরি কোনো স্বপ্ন নয়। তাই যাঁরা গাড়ির মালিক হতে চান, তাঁরা যোগাযোগ করুন ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে। বাংলাদেশের গাড়ি কেনার ঋণসেবা খুব বেশি দিন আগের নয়। তবে উন্নত দেশগুলোতে সবাই ঋণ নিয়েই গাড়ি কিনে থাকেন।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, বর্তমানে দেশি-বিদেশি ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোতে গ্রাহক ভেদে গাড়ির ঋণের সুদহার ১১ থেকে ১৪ শতাংশ। এসব ঋণ ৫ থেকে ৬ বছর মেয়াদি। গাড়ি কেনার পরের মাস থেকেই ঋণ শোধ শুরু করতে হয়। ঋণে কেনা গাড়ির মালিক হয় ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান ও গ্রাহক দুজনই। ঋণ শোধ হয়ে গেলে পুরো মালিকানা গ্রাহকের নামে স্থানান্তর হয়। নতুন বা রিকন্ডিশন্ড দুই ধরনের গাড়ি কিনতেই এ ঋণ পাওয়া যায়। আর গাড়ি ঋণের প্রক্রিয়া শেষ হতেও বেশি দিন লাগে না। পেশাভেদে শিক্ষক, চিকিৎসক, নারী উদ্যোক্তা ও তরুণ নির্বাহীরা গাড়ি কিনতে বিশেষ সুবিধা পাচ্ছেন।
তবে মনে রাখতে হবে, ঋণের কিস্তি শোধ করতে না পারলে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠান গাড়ি জব্দ করে ফেলে। এরপর ঋণ শোধ করতে সেই গাড়ি বিক্রি করে দেয়। এ জন্য গাড়ি ঋণের ক্ষেত্রে ঋণদাতা প্রতিষ্ঠানগুলো অনেকটাই চিন্তামুক্ত।
এবার দেখে নেওয়া যাক গাড়ির ঋণ নিতে কী কী নথিপত্র প্রয়োজন। লাগবে আবেদন ফরম, ছবি, জামানতদারের ছবি ও আইডি, কর শনাক্তকরণ নম্বর (টিআইএন), ব্যাংক হিসাবের বিবরণী, আগের ঋণ থাকলে তার বিবরণী, আবাসিক পরিচয় নিশ্চিত হতে বিদ্যুৎ বা পানির বিল। আর যে গাড়ি কিনতে চান তার মূল্যতালিকা।
আইডিএলসির কনজ্যুমার বিভাগের মহাব্যবস্থাপক সৈয়দ জাভেদ নূর এ নিয়ে বলেন, গাড়ির ঋণ তুলনামূলক নিরাপদ। ৫ থেকে ৬ বছরের মধ্যে আদায় হয়ে যায়। তবে এখন গাড়ির ঋণের চাহিদা একটু কম। আর সব প্রতিষ্ঠানের হাতে ঋণ দেওয়ার মতো পর্যাপ্ত টাকাও নেই।
ফিচার বিজ্ঞাপন
বাংকক-পাতাইয়া-কোরাল আইল্যান্ড-ফুকেট-সাফারি ওয়ার্ল্ড ৬দিন ৫ রাত
মিনি সিঙ্গাপুর ময়নামতি প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
বাউন্ডারি ও রেজিষ্ট্রেশন করে নিজের প্লট বুঝে নিন
গাড়ি কিনতে আগে ব্যাংকের ২০ লাখ টাকা ঋণ দেওয়ার সুযোগ ছিল, ২০১৪ সালে তা বাড়িয়ে ৪০ লাখ টাকা করা হয়। একই সঙ্গে গাড়ি কেনায় ঋণ ও নিজস্ব অর্থের অনুপাতে পরিবর্তন এনে ৫০: ৫০ করা হয়। আগে গাড়ির দামের সর্বোচ্চ ৩০ শতাংশ ঋণ দিতে পারত ব্যাংক। তবে আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো ১ কোটি টাকা পর্যন্ত ঋণসুবিধা দিচ্ছে।
সূত্রমতে, গ্রাহকদের সুবিধা দিতে ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলো এখন নিজেরাই গাড়িবিক্রেতা প্রতিষ্ঠানগুলোর সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছে। বর্তমানে গাড়ি কিনতে ঢাকা, ইস্টার্ণ, ডাচ্-বাংলা, পূবালী, প্রাইম, সিটি, ইসলামী, ব্র্যাক, ইউসিবি, এমটিবি, এক্সিম, ট্রাস্ট, ওয়ান, আইএফআইসি, এবিসহ আরও কয়েকটি ব্যাংক ঋণ দিচ্ছে। আর বিদেশি খাতের স্ট্যান্ডার্ড চার্টার্ড ব্যাংক ও এইচএসবিসিরও গাড়ির ঋণ সুবিধা আছে। আর্থিক প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে আইডিএলসি, আইপিডিসি, লঙ্কাবাংলাসহ বেশ কয়েকটি প্রতিষ্ঠানে এ সুবিধা মিলছে।
লঙ্কাবাংলা ফাইন্যান্সের রিটেইল বিভাগের প্রধান খোরশেদ আলম বলেন, ঋণ বা লিজ নিয়েই সবাই গাড়ি কিনে থাকে। অন্য দেশগুলোতেও একই প্রথা। ঋণসুবিধার কারণেই মধ্যবিত্তরা গাড়ি কেনার সাহস করছে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)৪৬০ বার পড়া হয়েছে