২০টি পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার জন্য প্রাথমিকভাবে আবেদন করেছে ৩ লাখ ৬০ হাজার ৪০৬ জন শিক্ষার্থী। শিক্ষার্থীদের এ প্রাথমিক আবেদন যাচাই বাছাই শেষে যেসকল শিক্ষার্থী উত্তীর্ণ হয়েছে তাদের তালিকা প্রস্তুত করা হয়েছে। এ মাসের মধ্যে উত্তীর্ণদের মুঠোফোনে বার্তার মাধ্যমে জানানো হবে ফলাফল। এছাড়া এর পরবর্তী ধাপ চূড়ান্ত আবেদন ১ সেপ্টেম্বর থেকে শুরু হয়ে ৭ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত চলবে। তবে পরীক্ষার ফি ৬০০ টাকা থেকে বেড়ে দ্বিগুণ অর্থাৎ ১২০০ টাকা করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন গুচ্ছভুক্ত ২০ বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি পরীক্ষার টেকনিক্যাল কমিটির আহ্বায়ক ও বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটির উপাচার্য মোনাজ আহমেদ নূর। শনিবার (২১ আগস্ট) রাত আটটায় শুরু হওয়া ২০ উপাচার্যের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষার কোর কমিটির মিটিং শেষে গৃহীত সিদ্ধান্ত শেষে জানান তিনি।

উপাচার্য বলেন, আমরা প্রথমে ৬০০ টাকা করে ফি নেওয়ার কথা ভেবেছিলাম। কিন্তু আজকের মিটিং এ ১২০০ টাকা নেওয়ার সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এমাসের মধ্যে শিক্ষার্থীদের ইউজার নেম ও আইডি মুঠোফোনে বার্তার মাধ্যমে জানানো হবে। এগুলো দিয়ে তারা আবেদন করতে পারবে। যাদের বার্তা যাবে তারা পরবর্তী ধাপে এ ফি প্রদানের মাধ্যমে চূড়ান্ত আবেদন করতে পারবে। আবেদন চলবে ১ সেপ্টেম্বর থেকে পরবর্তী সাত দিন অর্থাৎ ৭ সেপ্টেম্বর। তবে করোনার জন্য ডেট বাড়ানো লাগলে আমরা তা করব।

ভর্তি পরীক্ষা কবে অনুষ্ঠিত হতে পারে এমন প্রশ্নে উপাচার্য বলেন, পরিস্থিত স্বাভাবিক থাকলে শিগগিরই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হবে। প্রাথমিকভাবে আমরা পরিকল্পনা করেছি অক্টোবরের মধ্যেই ভর্তি পরীক্ষা নিয়ে নেওয়ার। সশরীরে এ পরীক্ষা নিতে চান বলেও জানান তিনি।

এর আগে উপাচার্যদের সভায় গৃহীত সিদ্ধান্ত অনুসারে, ভর্তি পরীক্ষার প্রশ্ন করা হবে উচ্চমাধ্যমিকের পাঠ্যসূচির উপরে। বিজ্ঞান, মানবিক ও বাণিজ্য মোট তিনটি বিভাগে পরীক্ষা হবে। শিক্ষার্থীদের পছন্দের ক্রমানুসারে কমপক্ষে পাঁচটি পরীক্ষাকেন্দ্র সিলেক্ট করতে হবে। আবেদনকারী বর্তমানে কোনো শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যয়নরত থাকলে সেই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের নাম ও অধ্যয়নের বিষয় সংক্রান্ত তথ্য প্রদান করতে হবে। আবেদনকারীর শিক্ষার্থীর ছবি বর্গাকার, হালকা এক রঙের ব্যাকগ্রাউন্ড ও ছবির সাইজ ১০০ কিলোবাইটের নির্ধারিত ফরম্যাটে থাকতে হবে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

বালি ও লম্বক ৫দিন ৪ রাত

মূল্য: ২৯,০০০ টাকা

উল্লেখ্য, এবার প্রথমবারের মতো ২০টি সাধারণ এবং বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা নিচ্ছে। গত শিক্ষাবর্ষে সাতটি কৃষি বিশ্ববিদ্যালয় ও কৃষির প্রাধান্য থাকা বিশ্ববিদ্যালয় গুচ্ছ ভিত্তিতে ভর্তি পরীক্ষা শুরু করেছিল। গুচ্ছভিত্তিক পরীক্ষার মাধ্যমে একজন ভর্তি-ইচ্ছুক শিক্ষার্থী নিজ নিজ বিভাগে একটি পরীক্ষা দিয়েই যোগ্যতা ও আসন অনুযায়ী যেকোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির সুযোগ পাবেন। প্রথমদিকে ১৯ জুন বিজ্ঞান, ২৬ জুন মানবিক ও ৩ জুলাই বাণিজ্য বিভাগের শিক্ষার্থীদের গুচ্ছ ভর্তি পরীক্ষা নিতে তারিখ ঘোষণা করা হয়। কিন্তু করোনার কারণে এটা স্থগিত করা হয়। এছাড়া প্রাথমিক আবেদনের সময়সীমা গত ২৫ জুন শেষ হয়।

যে ২০টি বিশ্ববিদ্যালয়ে গুচ্ছভিত্তিতে ভর্তির সিদ্ধান্ত হয়েছে সেগুলো হলো জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়, ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, শাহজালাল বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, খুলনা বিশ্ববিদ্যালয়, হাজী মোহাম্মদ দানেশ বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, মাওলানা ভাসানী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, নোয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়, জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়, যশোর বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, পটুয়াখালী বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বেগম রোকেয়া বিশ্ববিদ্যালয়, পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, বরিশাল বিশ্ববিদ্যালয়, রাঙামাটি বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্র বিশ্ববিদ্যালয়, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ডিজিটাল ইউনিভার্সিটি, শেখ হাসিনা বিশ্ববিদ্যালয় এবং বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনুন

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনু...



১৩৯ বার পড়া হয়েছে