মানুষ সবথেকে বেশি সময় অতিবাহিত করে তার নিজের বাড়িতে, নিজের ঘরে। তাই সেই ঘর কে থাকার উপযোগী করতে বিভিন্ন জিনিস দিয়ে সাজাতে চান তাদের মনের মত করে। পছন্দমতো ঘর সাজাতে অনেক রকমের জিনিস ব্যাবহার করে থাকেন অনেকে। যেমন বিভিন্ন ধরনের খেলনা, ছবির ফ্রেম ও হাতে বানানো নানা পণ্য। তবে ড্রিম ক্যাচারের ব্যাবহার হতে পারে অনেকটাই অভিনব।
ড্রিম ক্যাচার মূলত হাতের তৈরি একটি শিল্প। এটি দেখতে অনেকটা চক্রাকার, গোলাকার ব্যাটের মতো। গোলাকার অংশটি দেখতে হুবহু একটা মাকড়সার জালের ন্যায়। বানানো অনেক সহজ, কম সময়েই বানানো যায়। দেখতেও যেমন সুন্দর তেমনই আকর্ষনীয়। ড্রিম ক্যাচার তৈরি হয় নানা রঙের পুঁথি, সুতো, কাপড়ের তৈরি লেজ, কাগজ, আর্টিফিশিয়াল পাখনা দিয়ে। তবে এখানে পাখানা গুলোই প্রধান ভূমিকায় থাকে। তার সাথে বিভিন্ন ধরনের ছোট ছোট লাইট ব্যাবহার করে আরও বেশি আকর্ষনীয় করে তোলা সম্ভব। নারীদের পক্ষে জিনিসটি তৈরি করে নিজেদের ঘরকে সহজেই সাজানো সম্ভব। তবে এই ড্রিম ক্যাচার তৈরির পেছনে একটি মজার গল্প রয়েছে:
আমেরিকায় অবস্থানরত অজিবওয়ে গোষ্ঠীর এক নারী বাচ্চাদের গল্প শোনাতেন, তাকে ‘আসিবিকাশি’ বলে ডাকা হতো, এবং পাশাপাশি সেখানকার বাচ্চাদের দেখাশোনাও করতেন। কিন্তু, অজিবওয়ে গোষ্ঠী উত্তর আমেরিকায় স্থানান্তরিত হলে আসিবিকাশির সেই গোষ্ঠীর সকল শিশুদের কাছে পৌঁছানো অসম্ভব হয়ে পড়ে। তাই সন্তানদের মা-দাদীরা মিলে ড্রিম ক্যাচার বানানোর সিদ্ধান্তে আসেন। তারা মাকড়সার জালের মত করে একটা অবয়ব তৈরি করেন সুতো দিয়ে, শিশুদের বলা হয় এ জালগুলো ‘যাদুর জাল’।
শুধু তাই নয়, তারা বিশ্বাস করতেন এ জালগুলো তাদের সন্তানদের ঘুমনোর সময় সকল প্রকার খারাপ স্বপ্ন, খারাপ আত্মা এবং বদনজর থেকে রক্ষা করবে। তাদের মতে খারাপ স্বপ্নগুলো জালে আটকা পড়ে যাবে এবং ভাল স্বপ্নগুলো তাদের সন্তান পর্যন্ত পৌঁছাবে। তারপর থেকেই এ জিনিসটি ড্রিম ক্যাচার বলেই খ্যাতি পেয়েছে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
সরবাটা ঘি ৫০০ গ্রাম
মিনি সিঙ্গাপুর ময়নামতি প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
বাউন্ডারি ও রেজিষ্ট্রেশন করে নিজের প্লট বুঝে নিন
আগে শুধুই আমেরিকাতে এর প্রচলন থাকলেও এখন পৃথিবীর প্রায় সর্বত্রই এর ব্যাবহার লক্ষ্য করা যায়। তাই বলা যেতেই পারে ড্রিম ক্যাচার ঘরে ব্যাবহার করলে স্বপ্নের নকশাগুলো বাস্তবায়িত রূপ নেবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...
২৬৯ বার পড়া হয়েছে





