গাছ যেমন মানুষকে সুস্থ রাখে, ভালো রাখে বাড়ির পরিবেশকেও। তবে অন্দরের জন্য বেছে নিতে হবে এমন গাছ, যেগুলো ভালো থাকবে কম রোদে ও অল্প পানিতে।
শহুরে ব্যস্ত জীবনে টবের গাছই আমাদের সবুজের সঙ্গে একমাত্র যোগাযোগ। ইট–কাঠে ঘেরা বাড়িঘরে প্রাণের সঞ্চার করে। সারা দিনের কর্মব্যস্ততা শেষে বাড়িতে ফিরে কিছু সময় সবুজের সান্নিধ্যে কাটালে ক্লান্তিও কমে যায়। বাড়ির ভেতর রাখার জন্য ক্যাকটাস, পাতাবাহার, মানিপ্ল্যান্ট খুবই উপযোগী। ড্রেসিনা, মিরিন্ডা, সাইকাস, রাবারগাছ, ছোট বা বড় বনসাই ইনডোর প্ল্যান্ট হিসেবে ব্যবহার করা যায়। বাড়ির বারান্দাও গাছ রাখার জন্য ভালো জায়গা। বিভিন্ন ধরনের ক্রিপার, অর্কিড, অ্যালোভেরা, সিজনাল ফুল দিয়ে আপনার বারান্দা সাজিয়ে নিতে পারেন। টবে রাখা গাছের চারপাশে রঙিন পাথর ঘিরে থাকুক। লতানো গাছগুলো পাটের শিকায় না হয় ঝুলতে থাকুক।
ঘর সাজাতে গাছ খুবই প্রয়োজনীয় বলে জানান, অ্যাসথেটিক ইন্টেরিয়রের অন্দরসজ্জাবিদ ও কনসালট্যান্ট সাবিহা কুমু। ঘরের ভেতরের গাছ বা ঘরোয়া গাছ সেগুলোই, যেসব গাছ কম আলোতে বাঁচে। কিন্তু এর মানে এই নয় যে এসব গাছ সম্পূর্ণভাবেই রোদ ছাড়া বাঁচে, সপ্তাহে অন্তত এক দিন এসব ইনডোর প্ল্যান্টগুলোকে রোদে দিতে হবে। তবে দুপুরের কড়া রোদে নয় সকালের হালকা রোদে এসব গাছ ভালো থাকবে। তা ছাড়া প্রতি সপ্তাহে একবার এসব গাছের মাটি খুঁচিয়ে আলগা করে দিতে হয়। ঘরোয়া গাছে অল্প পানি দিলেই চলে, খুব বেশি পানি দিতে হয় না। মাসে একবার এসব গাছের মাটিতে সার দিলে গাছ ভালো থাকবে, গাছের পাতাগুলো সজীব দেখাবে। অনেক সময় গাছের পাতা হলুদ হয়ে আসে, তখন এই হলুদ বা পচা পাতা বা বিবর্ণ পাতা গাছে জমিয়ে রাখবেন না, ফেলে দিন। এসব পদ্ধতি অনুসরণ করলে ইনডোর প্ল্যান্ট বা ঘরোয়া গাছ ভালো থাকবে। এসি লাগানো ঘরে ক্যাকটাস–জাতীয় গাছ রাখুন। কারণ, ঘন ঘন তাপমাত্রার পরিবর্তন গাছের ক্ষতি করে।
গাছের জন্য পরামর্শ
ইনডোর প্ল্যান্ট বেশি বড় করবেন না। এতে ঘর অন্ধকার লাগবে। তাই নিয়মিত গাছের ডাল ও পাতা ছেঁটে দিন।
· গাছের মাটিতে ভেজা চায়ের পাতা দিতে পারেন, এতে গোড়ার মাটি সহজেই শুকিয়ে যাবে না এবং তা ভালো সার হিসেবেও কাজ করবে।
· চা–পাতা ও ডিমের খোসা গুঁড়া করে একসঙ্গে মিশিয়ে সাত-আট দিন রোদে দিন, এই মিশ্রণ যেকোনো গাছের জন্য ভালো সার হতে পারে।
· অতিরিক্ত আলোর নিচে রাখলে গাছের রং বিবর্ণ হয়ে যায়, তাই ঠান্ডা ও আলো কম পৌঁছায়, এমন জায়গায় গাছ রাখুন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Siliguri – Darjeeling – Gangtok (Sikkim) 8D/7N
সরবাটা ঘি ৫০০ গ্রাম
মিশর ভিসা (বিজনেসম্যানদের জন্য)
· যাদের অ্যাজমা বা অ্যালার্জির সমস্যা আছে, তাদের ঘরে এসব উদ্ভিদ না রাখাই ভালো। শিশুদের ঘরেও স্যাঁতসেঁতে টব রাখা ঠিক নয়। তাদের কাছ থেকে কাঁটাযুক্ত গাছ দূরে রাখতে হবে।
· প্লাস্টিকের চেয়ে মাটির টব গাছের জন্য বেশি উপকারী।
প্রতিটি গাছের জন্য দুটি করে মাটির টব ব্যবহার করতে পারেন। গাছ লাগানোর জন্য একটি সাধারণ টব, অন্যটি আকারে একটু বড়, রঙিন ও কারুকাজ করা আউটার পট। যার মধ্যে সাধারণ টবে লাগানো গাছটি বসিয়ে দেবেন। এভাবে গাছ রাখলে দেখতে সুন্দর লাগবে এবং মাটির সংস্পর্শে না থাকায় পটে শেওলা পড়বে না। নানা ধরনের ঝুড়ির মধ্যেও রাখতে পারেন।
গাছগুলো ঘরের এক জায়গায় না রেখে মাঝেমধ্যে স্থান পরিবর্তন করতে পারেন, তাতে ঘরের সাজে নতুনত্ব আসবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১৬১ বার পড়া হয়েছে