সবার সময়ই তো এখন কাটছে ঘরে। সারা দিন ঘরে বসে একঘেয়েমিতে পেয়ে বসতে পারে। এই সময়ে বাড়ির সাজসজ্জায় কিছু রদবদল করে নিতে পারেন। এতে একঘেয়েমি যেমন কাটবে, ঘরেরও আসবে একটা পরিবর্তন।

প্রকৃতিতে এখন গ্রীষ্মকাল। এই সময়ে বেশি প্রয়োজন ঘরগুলো খোলামেলা রাখা, এমনটাই বলছিলেন স্থাপত্যবিষয়ক প্রতিষ্ঠান মেটামরফিকের স্থপতি ও ইন্টেরিয়র ডিজাইনার ফারাহ মৌমিতা। বাড়ির শিশুরাও যেহেতু এখন সারা দিন ঘরেই থাকছে, তাই খেলাধুলা করার মতো যথেষ্ট জায়গা যাতে তারা পায়, সেদিকও ভাবতে হবে। বেশি জিনিসপত্র ঠাসা বাড়িতে, স্বাভাবিকভাবেই দমবন্ধ অনুভূতির সৃষ্টি হয়। গরমে যা খুব অস্বস্তির কারণ হয়ে দাঁড়ায়। তাই বাড়ির অপ্রয়োজনীয় জিনিসপত্র স্টোররুমে পাঠান। এর ফলে ঘরে পর্যাপ্ত আলো–বাতাস চলাচল করবে, যা মনকে ফুরফুরে রাখতে সাহায্য করবে।

বাড়িতে ভারী কাপড়ের পর্দা এ সময়ে একেবারেই অনুপযোগী। লিনেন, নেট, হালকা সুতির পর্দা বাছুন। ভারী পর্দা হয়তো আপনার ঘরকে বাইরের রোদ থেকে বাঁচাবে, কিন্তু একেবারেই বাতাস খেলতে দেবে না। অথচ গরমকালে প্রাকৃতিক আলো–বাতাস ঘরে ঢোকা খুব জরুরি। তাই বাতাস চলাচলের দিকটা খেয়াল রাখতেই হবে। গরমকালে ঘরকে ঠান্ডা রাখতে বাঁশের চিক ব্যবহার করা যেতে পারে। বিশেষ করে বারান্দা যদি বাঁশের চিক দিয়ে ঘিরে রাখা যায়, ঘর অনেকটাই ঠান্ডা থাকে।

গরমকাল মানেই যে ঘরের সবকিছুতেই হালকা রঙের ছোঁয়া থাকবে, তা কিন্তু নয়। বাড়িতে যেহেতু বেশির ভাগ সময় কাটানো হচ্ছে, তাই সাদা বা হালকা রঙে সহজেই একঘেয়ে ভাব আসতে পারে। এ জন্য অনুষঙ্গে আনতে পারেন উজ্জ্বল নানা রঙের ব্যবহার। দেয়ালের রং তো আর এখন পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই বাসার আলমারিতে থাকা উজ্জ্বল রঙের পর্দা, কুশন কভার, টেবিল ক্লথে হলুদ, কমলা, সবুজ, নীল ও ছাই রঙের নানান শেড ব্যবহার করতে পারেন।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Thimpu-Paro-Dochala Pass-Punakha 6D/4N

মূল্য: ২৬,৯০০ টাকা

Moscow, Novosibirsk & Irkutsk 7D/6N

মূল্য: 147,000 Taka

Cairo, Alexandria & Sharm El Sheikh 6D/5N

মূল্য: 57,900 Taka

ঘরের সৌন্দর্য বৃদ্ধি করতে যা–ই হোক না কেন, গাছের বিকল্প নেই। ঘরে আলো–বাতাস যদি পর্যাপ্ত থাকে, তবে জানালার ধার ঘেঁষে লতানো গাছ, বারান্দায় ঝুলন্ত বাহারি ফুলগাছ আপনার ঘরকে এনে দেবে আলাদা প্রাণ। বাড়িতে গাছ রাখলে বাড়ির মধ্যে তাজা অক্সিজেন সরবরাহ অব্যাহত থাকবে তো বটেই, বাড়ির ঘরদোর ঠান্ডা থাকবে। গরমকাল এলেই এসির ব্যবহার বেড়ে যায়। কিন্তু এই পরিস্থিতিতে অনেক ডাক্তারই এসি ব্যবহারের পরিবর্তে প্রাকৃতিক বাতাসে থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন। তপ্ত গরমে কিছুটা স্বস্তি পেতে, দিনের বেলায় ঘরে ভালো করে পর্দা টেনে রাখুন। রাতে জানালা খোলা রাখুন, যাতে বাইরের হাওয়া ভালো করে ঘরের ভেতরে ঢুকতে পারে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৫৬৩ বার পড়া হয়েছে