নিজের সাজানো–গোছানো অন্দরও অনেক সময় একঘেয়ে মনে হয়। আর ঘরের আবহ নিজের পছন্দের না হলে মন খারাপ লাগাটাই স্বাভাবিক। মন ভালো রাখাতে অন্দরসজ্জায় প্রয়োজন উজ্জ্বল রঙের ব্যবহার। কারণ, মনের সঙ্গে উজ্জ্বল রঙের সম্পর্ক বেশ গভীর। খুব সহজেই ঘরে রঙের প্রাচুর্য বাড়ানো সম্ভব। এ ক্ষেত্রে প্রতিবন্ধকতা একটিই। তা হচ্ছে চাইলেই পুরো ঘরের রং পরিবর্তন করা সম্ভব নয়। তাই দেয়ালের রং পরিবর্তন না করে ঘরের বিভিন্ন জায়গায় ব্যবহার করা যেতে পারে রঙিন নানা অনুষঙ্গ। এ ক্ষেত্রে হতে হবে কৌশলী।
* যদি মনে করেন ঘরে ঢুকেই আপনার চাই রঙের ছটা, তাহলে শুরুতেই বসার ঘরের মেঝের রং পরিবর্তন করা জরুরি। এ জন্য সবচেয়ে সহজ উপায় রঙিন কার্পেট। বসার ঘর, শোয়ার ঘর বা ডাইনিং এরিয়ায় টেবিলের নিচে রঙিন কার্পেট পেতে দিতে পারেন। কার্পেটের পরিবর্তে কালারফুল ম্যাটও ব্যবহার করা যেতে পারে। আজকাল বাজারে রঙিন ম্যাটও পাওয়া যায়। এতে ঘর উজ্জ্বলও দেখাবে।
* মেঝের রঙের সঙ্গে মিলিয়ে বা বিপরীত রঙের কুশন রাখা যেতে পারে বসার ঘরে সোফা বা চেয়ারের সঙ্গে। কিংবা বাসার সোফাটি বেশি পুরোনো হয়ে গেলে এটি বদলে নেওয়া যেতে পারে কালারফুল থ্রো সোফা। ডাইনিং টেবিলে রঙিন রানার রাখলেও রঙের আবহে পরিবর্তন আসবে, যা বদলে দিতে পারে পুরো ঘরের লুক।
* অন্দরজুড়ে ছড়িয়ে–ছিটিয়ে থাকা টেবিল, শেলফ, টিভি ক্যাবিনেটের ওপর নানা আকারের ফুলদানিতে রংবেরংয়ের কৃত্রিম ফুল সাজিয়ে রাখা যেতে পারে। অথবা কালারফুল শোপিস বা ডেকর আইটেম সাজানো যায়। এতেও ঘরের রং-বৈচিত্র্য বাড়বে।
* দেয়ালের রং পরিবর্তন করা না গেলে এর পরিবর্তে ঝোলানো যেতে পারে রঙিন ফোটোফ্রেম। বাজারে মনের মতো ফোটোফ্রেম না পাওয়া গেলে ইন্টারনেট থেকে পছন্দের ছবি ডাউনলোড করে মাপমতো প্রিন্ট করিয়ে নেওয়া যেতে পারে। এতে খরচও কম হবে।
* অনেকের ঘরে বইয়ের বড় আলমারি বা তাক থাকে। তাঁরা চাইলে যেকোনো একটি তাকের কিছু বই নানা উজ্জ্বল রঙের মলাটে মুড়ে রাখতে পারেন। বইগুলো এমনভাবে সাজাতে হবে যেন, রঙিন মলাট দেখা যায়। এ ছাড়া বইয়ের সঙ্গে রঙিন পেপার ওয়েট, কলমদানি বা কলমও রাখা যেতে পারে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
ব্যাংকক-ফুকেট-ফিফি আইল্যান্ড-সাফারি ওয়ার্ল্ড ৬দিন ৫ রাত
Dubai (City tour- Dhow Cruise- Desert safari- Abu Dhabi tour) 5D/4N
১৬ আনি মুন্সীগঞ্জ প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
* শোয়ার ঘরের শ্যান্ডেলিয়র হতে পারে রঙিন কাচের। এ ছাড়া ল্যাম্পশেড বা এর আলোও রঙিন হতে পারে।
* ঘরের পুরোনো কিচেন ক্যাবিনেট, কাঠের চেয়ার, টেবিল, আলমারির তাকেও নতুন করে রং করা যেতে পারে।
* বাথরুমে আয়নায় রঙিন ফ্রেম বসানো যেতে পারে। এ ছাড়া বাথরুম অ্যাকসেসরিজ, যেমন: সাবানদানি, লিকুইড সোপ ডিসপেনসার বা ব্রাশ হোল্ডারও রঙিন হতে পারে।
* বাড়ির ছাদে বা বারান্দায় বাগান থাকলে রঙিন টব হতে পারে সবচেয়ে ভালো অনুষঙ্গ। কিছু টব চাইলে বসার ঘরেও সাজিয়ে রাখা যেতে পারে। ব্যালকনিতে পাশাপাশি অনেক রঙিন টব সাজিয়ে ছোট বসার ব্যবস্থা করতে পারলে চায়ের আড্ডা আরও জমজমাট হবে।
* রং নির্বাচনের সময় হলুদ, কমলা, নীল, সবুজ, গোলাপি, লাল ইত্যাদি নির্বাচন করা যেতে পারে। এগুলো ঘর উজ্জ্বল দেখাতে সবচেয়ে কার্যকর।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১৬৭ বার পড়া হয়েছে