মানুষমাত্রই মুক্তবিহঙ্গে ঘুরে বেড়াতে চায়। মানুষ বন্দি থাকতে মোটেও পছন্দ করে না; কিন্তু সময় বড় নিষ্ঠুর। একটা সময় সবকিছু থাকতেও শুধুমাত্র সময়ের অভাবে ঘুরে বেড়ানোর শখটাকে মনের ভেতর গলাটিপে ধরতে হয়। প্রজাপতির মতো ঘুরে বেড়াতে প্রচুর টাকার প্রয়োজন হয় না। কিন্তু জগত সংসারে নানান ঝামেলায় ভ্রমণের শখ পূরণের জন্য সময় আর বের করা যায় না। তাই সময় কারও জীবনে নিষ্ঠুর হওয়ার আগেই ইচ্ছেমতো ঘুরে বেড়ানো চাই।

তেঁতুলিয়া মোহনগঞ্জ একটি প্রাচীন জনপদ। ভাটি অঞ্চলের রাজধানী হিসেবেও খ্যাত। চালক রইস, আমাদের নানান অনুসন্ধানী প্রশ্নে একজন দক্ষ গাইডের মতোই ব্রিফিং দিচ্ছেন। গ্রাম্যপথে চলার সময় বাড়তি আনন্দ জোগায়, অচেনা পাখির সুর, পুকুরে দুরন্ত শিশুদের ডিগবাজি, কৃষাণ-কৃষাণীদের হাসি।

চলতে চলতে একটা সময় বুঝে গেলাম, এই অটোচালক লোকটা আসলেই ভালো। নানান আলাপচারিতায় ঘণ্টাখানেকের মধ্যেই তেঁতুলিয়া গ্রামে পৌঁছাই। গ্রামটা খুব সুন্দর। একেবারে ডিঙ্গিপোতা হাওড়ের তীরেই। গ্রামের মানুষগুলোর সঙ্গে পরিচিত হই। এটা-সেটা দোকান থেকে কিনে খাই। ট্রলারে চড়ি। বিশাল হাওড়ের বুকে ভেসে বেড়াই।

চারদিকে থৈ থৈ পানি। ভটভট শব্দ তুলে ট্রলার ডিঙ্গিপোতা হাওড়ে ভেসে বেড়ায়। দূরের এক হিজল গাছের ছায়ায় যাই। চারদিকে অথৈ পানি। মাঝে গাছটি শির উঁচু করে জেগে রয়েছে। এক অন্যরকম ভালোলাগার মুহূর্ত। তাছাড়া বর্ষাতে হাওড়ের সৌন্দর্য এমনিতেই বেড়ে যায় বহুগুণ। গাছের ডালের সঙ্গে লাগা পানির ছলাৎ ছলাৎ শব্দ। ট্রলার ছেড়ে গাছে চড়ি। পা ভিজাতেই সারাদেহে অদ্ভুত শিহরণ। আকাশে ভেসে বেড়ায় চিল। নয়া পানিতে মাছের লুকোচুরি। মৎস্য শিকারিরা হন্তদন্ত। আমরা খুঁজি জীবনের সুখ। সেই সুখের খুঁজে উকিল মেহেদি বাঁদুড়ের মতো গাছের ডালে ঝুলতে গিয়ে, ধপাস করে পানিতে। ও হয়তো জীবনের মানে খুঁজে পেয়েছে। শেষে আরও  কি-না কী খুঁজবে, কে জানে! তাই আর দেরি নয়। 

মাঝি আবারো নৌকা ভাসাল। রইস জানাল,শুকনো মৌসুমে এই ডিঙ্গিপোতা হাওড়ের বুকে বিভিন্ন জাতের ধান চাষাবাদ হয়; যা দেশের খাদ্যভাণ্ডারের চাহিদা মেটাতে বেশ সহায়ক হয়। এই মোহনগঞ্জের হাওড়গুলো হতে প্রচুর মিঠাপানির মাছ আহরণ হয়ে থাকে। ডিঙ্গিপোতা হাওড় হয়ে সুনামগঞ্জের টাঙ্গুয়ার হাওড় পর্যন্ত যাওয়া যায়; যা ভ্রমণপিপাসুদের জন্য নতুন কিছু দেখার শখ মেটাবে। নীল আসমানের তলায় মৃদু বাতাসে, হাওড় জলে ভাসতে ভাসতে বেলা গড়িয়ে প্রায় মধ্য দুপুর।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Cambodia (Siem Reap & Angkor Wat) 3D/2N

মূল্য: 19,900 Taka

মায়ানমার ভিসা (ভিজিট ভিসা)

মূল্য: ৫,০০০ টাকা

যাবেন কীভাবে: বাস ও ট্রেন,দুইভাবেই যাওয়া যায়। সবচাইতে আরামদায়ক হবে রাতের বাস বা ট্রেনে গেলে। ঢাকার মহাখালী বাস টার্মিনাল ও কমলাপুর হতে দিনে-রাতে বাস-ট্রেন মোহনগঞ্জের উদ্দেশে ছেড়ে যায়। মোহনগঞ্জ রেলস্টেশন হতে অটোতে তেঁতুলিয়া নৌঘাট।

খরচ: জনপ্রতি দুই রাত একদিনে মাত্র দুই হাজার টাকা হলেই যথেষ্ট। অবশ্য এটা নির্ভর করবে আপনার বিলাসিতার ওপর।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



২৪৪ বার পড়া হয়েছে