পরিকল্পনা অনুসারে, পর্যটন নগরী কক্সবাজার আগামী বছরই রেল নেটওয়ার্কের আওতায় চলে আসবে। তখন চট্টগ্রাম থেকে ঘণ্টায় ১০০ কিলোমিটার গতিতে ট্রেন চলাচল করবে। এর জন্য বিশেষ কোচ কেনা হবে। পর্যটন নগরীর প্রতিনিধিত্ব বোঝাতে সমুদ্রসৈকত থেকে প্রায় তিন কিলোমিটার দূরে নির্মাণ হচ্ছে ‘ঝিনুকাকৃতির’ রেলস্টেশন। এটি দেশের একমাত্র আইকনিক রেলস্টেশন হতে যাচ্ছে।

স্টেশনটি পড়েছে ঝিলংঝা ইউনিয়নের চান্দেরপাড়া এলাকায়। রেলওয়ের কর্মকর্তারা বলছেন, রেলস্টেশনটির নকশা এমনভাবে করা হয়েছে যে এই রেলপথ চালু হলে পর্যটকেরা চাইলে হোটেল ভাড়া না করেই কক্সবাজার ভ্রমণ করে ফিরে আসতে পারবেন।

এমনটাই হবে কক্সবাজার রেলস্টেশনছবি: আনোয়ার হোসেন

স্টেশনটিতে থাকছে লকার বা লাগেজ রাখার স্থান। রাতের ট্রেন ধরে সকালে কক্সবাজারে গিয়ে পর্যটকেরা লাগেজ, মালামাল স্টেশনে রাখতে পারবেন। এর জন্য অবশ্য ভাড়া দিতে হবে। সারা দিন সমুদ্রসৈকত বা দর্শনীয় স্থান ঘুরে রাতের ট্রেনে আবার ফিরে যেতে পারবেন।

সম্প্রতি নির্মাণাধীন স্টেশন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে, ছয়তলা স্টেশন ভবনের চারতলা পর্যন্ত মূল কাঠামো ইতিমধ্যে দৃশ্যমান হয়েছে। চারতলার ওপরে চলছে ছাদ ঢালাইয়ের কাজ। কমবেশি ২০০ প্রকৌশলী ও শ্রমিক নিয়োজিত রয়েছেন স্টেশন ভবনটির নির্মাণকাজে।

কক্সবাজারে আইকনিক রেলস্টেশনের নির্মাণকাজ চলছেছবি: আনোয়ার হোসেন

শুধু কক্সবাজার রেলওয়ে স্টেশনটি নির্মাণ করতেই ২১৫ কোটি টাকা খরচ হচ্ছে বলে জানিয়েছেন রেলের কর্মকর্তারা। কেন্দ্রীয়ভাবে শীতাতপনিয়ন্ত্রিত স্টেশনটিতে যাত্রী প্রবেশ ও বের হওয়ার জন্য রাখা হচ্ছে ভিন্ন ভিন্ন পথ। থাকছে গাড়ি পার্কিংয়ের বড় জায়গা। স্টেশনটির নির্মাণকাজের সার্বিক অগ্রগতি প্রায় ৪৫ শতাংশ।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৯৮ বার পড়া হয়েছে