এবার বাংলাদেশ বিমান চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি উড়ছে সংযুক্ত আরব আমিরাতের আবুধাবি ও দুবাই, সৌদি আরবের জেদ্দা ও মদিনা, কাতারের দোহা এবং ওমানের মাসকাট রুটে। আগে এসব রুটে ঢাকা থেকে যাত্রী নিয়ে চট্টগ্রাম হয়েই উড়াল দিত বিমান। এখন চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি উড়াল দিয়ে ওইসব গন্তব্যে পৌঁছে; আবার যাত্রী নিয়ে সরাসরি চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরেই নামবে। বিমানের ভাষায় এই পদ্ধতিকে ‘ডব্লিউ প্যাটার্ন’ বলা হয়।

সরাসরি ফ্লাইট চালু হওয়া চট্টগ্রাম থেকে একজন যাত্রী মধ্যপ্রাচ্যের ছয় গন্তব্য দিয়ে বিশ্বের বিভিন্ন দেশে যাতায়াত করার বিশাল সুযোগ পাচ্ছেন। তবে বিমানের অনটাইম ফ্লাইট পরিচালনা এবং যাত্রীসেবার ওপর নির্ভর করছে এসব রুটের সফলতা।

বিমান কর্তৃপক্ষ বলছে, ‘ডব্লিউ প্যাটার্ন’ অনুযায়ী চট্টগ্রাম থেকে আবুধাবি, জেদ্দা ও মাসকাটে সপ্তাহে একটি করে ফ্লাইট চালায় বাংলাদেশ বিমান। আগামী ২৮ অক্টোবর থেকে সেই পদ্ধতিতে মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি রুটে সপ্তাহে ১৪টি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে। আর যাত্রী পরিবহনে ব্যবহৃত হবে বাংলাদেশ বিমানের সবচে বড় উড়োজাহাজ ৪১৯ আসনের ‘বোয়িং ৭৭৭’ এবং বিমান বহরের সবচে বিলাসবহুল উড়োজাহাজ ‘বোয়িং ৭৮৭ ড্রিমলাইনার’; যার আসন সংখ্যা ২৭১।

জানতে চাইলে চট্টগ্রাম শাহ আমানত আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের ভারপ্রাপ্ত ব্যবস্থাপক আরিফুজ্জামান খান বলেন, ‘চট্টগ্রামের যাত্রীদের জন্যই বিশেষভাবে এই পদ্ধতি চালু করা হচ্ছে। এর ফলে চট্টগ্রামের যাত্রীরা মধ্যপ্রাচ্যের ছয়টি গন্তব্যে সরাসরি যাওয়া এবং সরাসরি চট্টগ্রামে পৌঁছার বিশাল সুযোগ পাবেন। একই সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের ওই ছয়টি গন্তব্য ব্যবহার করে বিশ্বের অনেকগুলো গন্তব্যে যাতায়াত করতে পারবেন।’

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, বাংলাদেশ বিমানে বোয়িং ৭৩৭, বোয়িং ৭৭৭ এবং বোয়িং ৭৮৭ এর মতো বড় উড়োজাহাজগুলোর ছোট দূরত্বে চলাচল করছে। এসব বিমান চট্টগ্রাম-ঢাকা রুটের মতো আধা ঘণ্টার দূরত্বেও যাত্রী পরিবহন করছে। কম দূরত্বে উড্ডয়ন-অবতরণের ফলে দামি এসব উড়োজাহাজের আয়ুষ্কাল কমে যাচ্ছে। এই অবস্থা থেকে উত্তরণে নতুন এই পদ্ধতির পরিসর বাড়ানো হচ্ছে।

বিষয়টি নিশ্চিত করে বাংলাদেশ বিমানের উপ-মহাব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) তাহেরা খন্দকার বলেন, ‘যাত্রী চাহিদা বেশি থাকার কারণেই চট্টগ্রামকে বেছে নেওয়া হয়েছে। আর প্রত্যেকটি উড়োজাহাজেরই নির্দিষ্ট আয়ুষ্কাল থাকে। ছোট-বড় যতবার উড্ডয়ন-অবতরণ করবে সেই আয়ুষ্কাল গণনা হবে। ফলে দীর্ঘ দূরত্বে এসব বড় উজোজাহাজগুলো পরিচালনা করে আয়ুষ্কাল বাড়ানো এবং মেরামত কমাতেই ডব্লিউ প্যাটার্ন চালু করা হয়েছে।’

ফিচার বিজ্ঞাপন

Vietnam & Cambodia 9D/8N

মূল্য: 75,900 Taka

বিমান কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, ২৮ অক্টোবর থেকে শুরু হওয়া শীতকালীন সূচিতে চট্টগ্রাম-দুবাই চারটি, চট্টগ্রাম-আবুধাবি তিনটি, চট্টগ্রাম-জেদ্দা তিনটি, চট্টগ্রাম-মাস্কাট দুটি, চট্টগ্রাম-দোহা রুটে একটি ফ্লাইট পরিচালনা করা হবে চট্টগ্রাম বিমানবন্দর থেকে। সপ্তাহের সোম, মঙ্গল ও বৃহস্পতিবার আবুধাবিতে, মঙ্গল, বৃহস্পতি, শনি ও রবিবার দুবাইতে; জেদ্দাতে বুধ, শুক্র ও রবিবার; দোহাতে বুধবার এবং মাসকাটে বৃহস্পতিবার এসব ফ্লাইট চলবে।

দেশে ফিরতে প্রবাসীদের কাছে এখনও প্রথম পছন্দ বাংলাদেশ বিমান, এর প্রধান কারণ বাড়তি লাগেজ সুবিধা। কিন্তু অনটাইম না থাকা এবং শিডিউল এলোমেলো হওয়ায় বাধ্য হয়েই তাঁরা অন্য বিমান সংস্থাকে বেছে নেন।

জানতে চাইলে সংযুক্ত আরব-আমিরাতের জনপ্রিয় ট্রাভেল এজেন্সি শফিক ট্রাভেল এলএলসির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা শেখ মেহেদি হাসান বলেন, ‘শুধু চট্টগ্রাম নয়, বৃহত্তর চট্টগ্রামের যাত্রীদের বড় অংশ মধ্যপ্রাচ্যে আসতে ঢাকা বিমানবন্দরের বদলে চট্টগ্রামকে বেছে নেবে নিঃসন্দেহে। বাংলাদেশ ঘুরে এসে প্রবাসীরা আমাদেরকে এমনই ফিডব্যাক দেন। কিন্তু বাংলাদেশ বিমান ভ্যালু এডেড সার্ভিস, অনটাইম ও শিডিউল মানা নিয়ে কতটা টিকতে পারবে সেটিই দেখার বিষয়।’

চট্টগ্রাম থেকে সরাসরি শারজাহ রুট চালুর পরামর্শ দিয়ে তিনি বলেন, ‘এখন দুবাই-আবুধাবির চেয়ে বেশি যাত্রী পাবে বাংলাদেশ বিমান। আর রাস আল খাইমাহ ও আল আইন প্রদেশ থেকেও বিপুল যাত্রী মিলবে।’

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



৫০১ বার পড়া হয়েছে