স্বাধীনতা যুদ্ধের সূতিকাগার বলা হয় চুয়াডাঙ্গাকে। প্রথমেই চুয়াডাঙ্গাকে অস্থায়ী রাজধানী ঘোষণা করা হয় এবং ১০ এপ্রিল ১৯৭১ সালে অস্থায়ী সরকারের শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। পাকিসেনারা এ সিদ্ধান্ত জেনে ফেললে চুয়াডাঙ্গার ওপর পরিকল্পিতভাবে অত্যাচার বাড়ানো হয়। পরে কৌশলগত ও নিরাপত্তাজনিত কারণে চুয়াডাঙ্গা থেকে সরিয়ে মুজিবনগরে শপথ গ্রহণের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। তাই চুয়াডাঙ্গা জেলায় বধ্যভূমির সংখ্যাও কম নয়। যুদ্ধের সময় মদনা গ্রামে বাড়িতে আগুন ধরিয়ে পৈশাচিকতা প্রকাশ করে।
নারকীয় অবস্থানে যায় পাক আর্মিরা। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালের পেছনে, নাটুদহের স্কুলের পেছনে, জীবননগরের ধোপাখালী গণকবর, মদনার হৈবৎপুর গ্রামে পাঁচ কবর, নাটুদহের আট কবর, আলমডাঙ্গার লালব্রিজ সংলগ্ন বধ্যভূমি সংগ্রামী যুদ্ধের চুয়াডাঙ্গা জেলার কথা মনে করিয়ে দেয়। মদনা গ্রামে আগুন ধরিয়ে দেওয়া।
চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গার কুমার নদের ওপর অবস্থিত লালব্রিজের দু’পাশে ছিল পাকিস্তানি মিলিশিয়া বাহিনীর ক্যাম্প। রেললাইনের খুলনাগামী ডাউনে অর্থাৎ লালব্রিজের আলমডাঙ্গার পাশে ১টা ও নদের অপর পাড়ে কুষ্টিয়ার দিকে কালিদাসপুরে আরেকটা মিলিশিয়া ক্যাম্প ছিল। আপের দিকে আসা ট্রেন লালব্রিজের আলমডাঙ্গা মাথায় দাঁড় করাত। অন্যদিকে যাওয়া ট্রেন লালব্রিজের কালিদাসপুর প্রান্তে দাঁড় করিয়ে নিরপরাধ যাত্রীদের ধরে ধরে নিয়ে যেত। অকথ্য নির্যাতন শেষে নির্মমভাবে হত্যা করে লাশ এ বধ্যভূমিতে পুঁতে রাখত। মুক্তিযুদ্ধকালীন পাক ঘাতকরা ট্রেন থামিয়ে স্বাধীনতাকামী প্রায় ২ হাজার নারী-পুরুষ হত্যা করে রেলব্রিজের পাশে ওয়াপদা ভবনের বাউন্ডারির মধ্যে ও পার্শ্ববর্তী দুটি বধ্যভূমিতে পুঁতে রাখে। এ গণহত্যার প্রধান হোতা ছিল মেজর রানা, মেজর আজম খান, ক্যাপ্টেন নকডি ও হাবিলদার এনায়েত।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Thimpu-Paro 4D/3N
শ্রীলংকা ভিসা (চাকুরীজীবী)
মালয়শিয়া ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
লালব্রিজের কাছে স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় ব্যাপক হত্যাকাণ্ড ও বাঙালি নর-নারীর ওপর পাশবিক নির্যাতনের সাক্ষী এটি। বিশেষ করে ১৯৭১ সালের জুনের শেষ থেকে ৭ ডিসেম্বর পর্যন্ত নারকীয় নির্যাতন ও হত্যাযজ্ঞ চালানো হয় এবং এখানে পুঁতে রাখা হয়। সেই সময় এখানে পানি উন্নয়ন বোর্ডের হলুদ খালাসি ঘর ছিল। এ কক্ষেই স্বাধীনতাকামী যুবক, নারী-পুরুষকে নির্যাতন শেষে হত্যা করা হতো। লাশ পুঁতে রাখা হতো বা ফেলে রাখত পাকপিশাচ ও তাদের দোসররা। ‘টর্চার সেল’ নামক সেই হলুদ কক্ষটি ঘিরে এখন বধ্যভূমির স্তম্ভ বা কমপ্লেক্স।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২২৪ বার পড়া হয়েছে