ছাদ নিয়ে বাঙালির রোম্যান্টিকতার শেষ নেই। বাংলার গল্পে-উপন্যাসে বারবার ফিরে এসেছে ছাদ আর চিলেকোঠার প্রসঙ্গ। আবার এই ছাদ থেকেই আপনি শুরু করতে পারেন আগামী ব্যবসা।

খুব বেশি আয়োজনের প্রয়োজন নেই, সামান্য খরচেই শুরু করতে পারেন আপনার এই ব্যবসা। প্রয়োজন একটি খোলামেলা মোটামুটি বড় আয়তনের একটি ছাদ। এই জায়গাটা ব্যবহার করেই শুরু হবে আপনার ব্যবসা।

ব্যবসার ধরন বা বিষয় মূলতঃ নির্ভর করবে আপনার বাড়ির অবস্থানের ওপর। গ্রাম, মফস্বল বা শহর প্রতিটি এলাকার নিজস্ব চরিত্র রয়েছে, রয়েছে নিজস্ব চাহিদা।

আপনার ছাদ উপযোগী একটি ব্যবসা আইডিয়া শেয়ার করলামঃ

অর্গ্যানিক ফার্মিং- শাক,সব্জি ও ফুলের বাগান

ক্ষতিকারক রাসানিক সার ও কীটনাশকের প্রভাব এড়াতে আরও বেশি সংখ্যক মানুষ ক্রমশই জৈব চাষ বা অর্গ্যানিক ফার্মিংয়ে ঝুঁকছেন। শহরে জৈব চাষের জন্য জায়গা সংকুলান করা কঠিন, আর আপনার বাড়ির ছাদ হতে পারে এই কাজের জন্য আদর্শ।

টমোটো, বেগুন, লঙ্কা, কুমড়ো, লাউ, ফুলকপি, বাধাকপি, ঢেঁড়শ, শিম, ঝিঙ্গে, ক্যাপসিকাম, করলা, কড়াইশুটি, শসা, কলমী শাক, পুঁই শাক ইত্যিদি নানারকম সব্জিই ছাদে চাষ করা সম্ভব। বাণিজ্যিকভাবে চাষ করতে চাইলে এক সময়ে একটি বা দুটির বেশি ফসল চাষ করা উচিত না।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Kathmandu-Pokhara-Nagarkot-Bhoktopur 5D/4N

মূল্য: ১৮৯০০ টাকা

বাঁশ দিয়ে চারকোণা বাক্সের কাঠামো বানিয়ে নীচে কাঠ ও তারওপর পলিথিনের আস্তরণ দিয়ে তারমধ্যে চাষ করা যেতে পারে। এছাড়া বড় ড্রামকে লম্বালম্বি কেটে তার মধ্যে পলিথিন দিয়ে টব তৈরি করা যেতে পারে। জৈবসার মিশ্রিত মাটি দিয়ে তার মধ্যে বীজ ছড়িয়ে বা চারা পুঁতে চাষ করা যেতে পারে।

এই ব্যবসা শুরু করতে হলে আপনাকে জৈব চাষের কলা কৌশল শিখে নিতে হবে। যথেষ্ট জানাবোঝা তৈরি হলে তবেই শুরু করুন ব্যবসা। নিয়মিত রক্ষণাবেক্ষণ আর যত্ন করতে হবে ফসলের।

শাক-সব্জির পাশাপাশি চাষ করতে পারেন ফুল বা ফলও। আম, জাম, লিচু, জলপাই, ডালিম, পেয়ালা, কমলা লেবু, বাতাবি লেবু, সফেদা ইত্যাদি নানরকম ফলই চাষ করা যায় ছাদের বাগানে। পাশাপাশিই চাষ করা যেতে পারে গোলাপ, জবা, গাঁদা, ডালিয়া, চন্দ্রমল্লিকা ইত্যাদি বিভিন্ন ফুলও।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২৬৮ বার পড়া হয়েছে