জন্মের ছয় মাস পর থেকে শিশুকে মায়ের দুধের পাশাপাশি অন্যান্য খাবার খাওয়ানো যাবে। তবে শিশুর মানসিক ও শারীরিক বিকাশের জন্য চাই পুষ্টিকর খাবার। এ বিষয়ে কথা বলেছেন ডা. নাজনীন আক্তার।
কোন বয়স থেকে শুরু করা উচিত? এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নাজনীন আক্তার বলেন, যেদিন ছয় মাস শেষ হয়ে যাবে, সাত মাসের প্রথম দিন, সেদিন থেকে আমরা বাড়তি খাবার দেব এবং এর সাথে বুকের দুধ চালিয়ে যেতে হবে দুই বছর বয়স পর্যন্ত। দুই বছর পরে বুকের দুধের কোনও প্রয়োজন নেই। এই দুই বছরে প্রথম ছয় মাস থেকে এক বছর পর্যন্ত বাচ্চাকে আমরা তিন বেলা খাবার দিই।
কী ধরনের খাবার? এ প্রশ্নের জবাবে ডা. নাজনীন আক্তার বলেন, ছয় মাস থেকে এক বছর বয়স পর্যন্ত বুকের দুধ হবে প্রধান খাবার। বাড়তি খাবার যেটা হবে, সেটা হলো খাওয়ার অভ্যস্ততা তৈরি করা। অনেক সময় মায়েরা বলে যে আমাকে একটা চার্ট করে দিন। এত কষ্ট করে চার্ট করার দরকার নেই। আপনি যে খাবারটা রান্না করছেন, ঘরের খাবার নরম করে শিশুকে খেতে দিন। ঘরের যে গরম খাবার, সে গরম খাবারটাই চটকে নরম করে শিশুকে খেতে দেবেন। সেই খাবারটা কী হতে পারে, সেখানে একটু প্রোটিন থাকবে; আমিষজাতীয় খাবার যেমন মাছ, ডিম। সেখানে আমরা কার্বোহাইড্রেট দেব, যেমন ভাত। সেখানে ফ্যাটজাতীয় খাবার দেব। সেটা কোথায় আছে—তেলের ভেতর আছে, বাদামও দিতে পারি অনেক সময়। বাদাম গুঁড়ো করে খিচুড়ির ভেতরে; যেমন চাল-ডাল দুটোকে যদি মিক্স করি, ওখানে যদি তেল দিই, ওখানে যদি একটু সবজি বা মাছের টুকরো দিয়ে দিই; তার পর যদি খিচুড়িটাকে নরম করে খেতে দিই, সেই খাবারটা তার সুষম খাবার, যেখানে খাদ্য উপাদান ছয়টিই থাকবে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
বালি আটি জমিদার বাড়ি প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
Moscow & St.Petersburg 5D/4N
চায়না ভিসা (চাকুরীজীবী)
ডা. নাজনীন আক্তারের পরামর্শ, প্রথম থেকেই যেটা মাথায় নিতে হবে, শিশুটি কিন্তু খাবারে অভ্যস্ত হচ্ছে। সে পেট ভরে বা বাটি-বাটি খাবার খাবে না। কারণ, তার পাকস্থলীটা খুবই ছোট। ওখানে খুব কম খাবার ধরে। সুতরাং জোরাজুরি না করে অল্প অল্প করে দিয়ে খাবারে অভ্যস্ত করুন।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১৭৪ বার পড়া হয়েছে