আন্তর্জাতিক বেসামরিক পরিবহন সংস্থার (আইসিএও) সদস্য দেশগুলোর মধ্যে সম্পাদিত চুক্তি অনুসারে এপ্রিল মাস থেকে যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট ও ভিসা দেওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। ২০১৫ সালের মধ্যে হাতে লেখা পাসপোর্টের ব্যবহার আর থাকছে না। আইসিএওর সদস্যদেশ হিসেবে বাংলাদেশ এই কার্যক্রম শুরু করেছে। তবে এখন নাগরিকদের কাছে যেসব পাসপোর্ট আছে, তার জন্যও বিশেষ ব্যবস্থা রয়েছে। আবার যন্ত্রে পাঠযোগ্য পাসপোর্ট দিতে একটু বেশি সময় লাগে বলে এবং কিছু আইনি জটিলতার থাকায় জরুরি প্রয়োজনে হাতে লেখা পাসপোর্ট দিচ্ছে বহির্গমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তর।

হাতে লেখা জরুরি পাসপোর্ট
বহিরাগমন ও পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক (পাসপোর্ট ও ভিসা) মো. সিরাজউদ্দীন জানান, ‘শিক্ষার্থী, বিভিন্ন দেশে চাকরিপ্রার্থী, সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারী, সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যদের মিশনে যোগদানসহ নানা কারণে অধিদপ্তরকে হাতে লেখা পাসপোর্ট দিতে হচ্ছে। তবে এ ধরনের পাসপোর্ট দেওয়া হবে ৩১ মার্চ ২০১১ সাল পর্যন্ত। এরপর আর হাতে লেখা জরুরি পাসপোর্ট দেওয়া হবে না। হাতে লেখা পাসপোর্টের মেয়াদকাল থাকছে এক বছর, দুই বছর ও তিন বছর। প্রার্থীদের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে এই মেয়াদকালের জন্য পাসপোর্ট দেওয়া হবে।

খরচাপাতি
জরুরি পাসপোর্টের জন্য নির্ধারিত ফি হিসেবে প্রতিবছরের জন্য গুনতে হবে এক হাজার টাকা। দুই বছরের জন্য ফি দুই হাজার টাকা এবং তিন বছর মেয়াদের জন্য লাগবে তিন হাজার টাকা।

আবেদনপত্র
জরুরি পাসপোর্টের আবেদনপত্র আগের হাতে লেখা পাসপোর্টের মতোই। এই আবেদনের প্রথম অংশে ২২টি প্রয়োজনীয় তথ্য চাওয়া হয়। এসব তথ্যের মধ্যে প্রার্থীর নাম (বাংলায় ও ইংরেজিতে), ভোটার পরিচিতি, পেশা, জন্ম তারিখ, মা-বাবার নাম ইত্যাদি।

আবেদনপত্র পূরণ ও জমাদান
আবেদনকারীকে আবেদনপত্রের দুটি কপি (মূল বা ফটোকপি) পূরণ করতে হবে। পূরণ করা আবেদনপত্র প্রয়োজনীয় কাগজপত্রসহ আবেদনকারীকে তাঁর সংশ্লিষ্ট এলাকার অফিসে জমা দিতে হবে। আবেদনপত্রের প্রতিটির প্রথম পৃষ্ঠার নির্দিষ্ট স্থানে ছবি লাগাতে হবে এবং ছবি সত্যায়ন করতে হবে। সত্যায়ন করতে পারবেন নির্ধারিত দশ ক্যাটাগরির ব্যক্তিরা।

পাসপোর্ট উত্তোলন
যন্ত্রে পাঠযোগ্য ও হাতে লেখা উভয় ক্ষেত্রে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদন ছাড়া পাসপোর্ট প্রদান করার নিয়ম নেই। তাই জরুরি পাসপোর্টের ক্ষেত্রে আপনাকে পুলিশের তদন্ত প্রতিবেদনের জন্য অপেক্ষা করতে হবে। মো. সিরাজউদ্দিন বলেন, জরুরি পাসপোর্টের ক্ষেত্রে প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার দু-এক দিনের মধ্যে তা দেওয়া হয়।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Kandy, Nuwara Eliya & Colombo 5D/4N

মূল্য: 30,900 Taka

Kandy- Negombo & Colombo 5D/4N

মূল্য: 27,900 Taka

নবায়ন করতে
যাঁদের হাতে পুরোনো পাসপোর্ট আছে, তাঁদের জন্য এখন পর্যন্ত নবায়ন করার সুযোগ আছে। তবে নবায়নের সর্বোচ্চ মেয়াদকাল হবে ৩১ মার্চ ২০১১। নবায়নের জন্য পুরোনো পাসপোর্টসহ নির্ধারিত আবেদনপত্রের একটি কপি পূরণ করে জমা দিতে হবে। নবায়ন ফি ৩০০ ও ৫০০ টাকা। সাত দিনের মধ্যে পেতে চাইলে সে ক্ষেত্রে ৩০০ টাকা জমা দিতে হবে। আর যদি আপনি পাসপোর্টটি ৭২ ঘণ্টার মধ্যে হাতে পেতে চান, তবে আপনাকে জমা দিতে হবে ৫০০ টাকা ।

কোথায় করবেন
সারা দেশে ৬৭টি কার্যালয়ে জরুরি পাসপোর্ট দেওয়ার এবং পুরোনো পাসপোর্ট নবায়নের কাজ চলছে। আপনি আপনার এলাকার অফিসে এ-সংক্রান্ত কাজ নির্ধারিত ফি দিয়ে করতে পারেন।

সূত্র: দৈনিক প্রথম আলো, জুন ০৮, ২০১০

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৯৮৭ বার পড়া হয়েছে