ছবির যে অসাধারন সুন্দর জায়গাটা দেখছেন সেটি জল জঙ্গলের কাব্য নামের একটি প্রাকৃতিক রিসোর্ট এর।এ রিসোর্টটি পূবাইল এ এক সাবেক পাইলট ভদ্রলোক করেছেন।প্রকৃতিকে কোন প্রকার পরিবর্তন না করে বিশাল এক জায়গাকে রুপান্তর করা হয়েছে রিসোর্ট এ।আছে বিশাল এক বিল, পুকুর আর এদো বন।ঢাকা শহরে হাপিয়ে ওঠা যে কেউ একটা দিন এখানে কাটিয়ে আসলে সারা বছরের বেচে থাকার ফুয়েল পাবেন সেটা নিশ্চিত। নরসিংদি, ভৈরব বা কালিগন্জ এর বাসে পুবাইল কলেজ গেট নামতে হবে।এরপর হাতের বায়ের রাস্তায় ব্যাটরী চালিত রিক্সায় করে মাইল তিনেক গেলেই পাইলট বাড়ি (এলাকায় এ নামেই পরিচিত), এখানে জনপ্রতি নেয়া হয় ২০০০ টাকা নাস্তা, দুপুর ও রাতের খাবার সহ। শুধু দুপুর ও রাতে খাবার সহ ১৫০০ টাকা। খাবার মেনুগুলো দারুন, ভাত, পোলাও, চালতা দিয়ে ডাল, মুরগির মাংশ, রুই মাছ, গুড়া মাছ, তেতুল দিয়ে কচুমুখি, আলু ভর্তা, ডাল ভর্তা, ঘন ডাল আরো বেশ কটি আইটেম। এখানের সব খাবারই এখানে উৎপাদিত। মাছটাও এখানের। জল জঙ্গলের কাব্য পরিবেশের সঙ্গে খাপ খাইয়ে গড়ে তোলা। এর ঘরগুলো বাঁশ-বেড়ার। বেলাই বিল মানে ওয়াটার বডিকে কেন্দ্রীয় চরিত্র রেখে তৈরি করা হয়েছে জল জঙ্গলের কাব্য। নিজস্ব জমির শাক-সবজি ও ধান দিয়ে খাবার তৈরি হয়। বিল থেকে মাছও ধরা হয়। সকালে চালগুঁড়ার রুটির কথা অনেকে মনে রাখেন। রিসোর্ট কর্মীরা পেশাদার, তবে বাণিজ্যিক নয়। এক জোসনা রাতে আগে থেকে থবর দিয়ে চলে যান সেখানে। রাতটা এখানে নিঝুম, ঘোর ঘুট্টি। সব ছিমছাম। একলা হয়ে যাওয়ার জন্য এ মতো জায়গা আর পাইনি আমি। রাত আরও গভীর হলে সব চুপ মেরে যায়। মাঝে মধ্যে অচিন পাখি ডাক ছেড়ে চলে যায়। রয়ে যায় রেশ। প্রাকৃতিক গাছপালা আর শান্তু বিলের পারে বসে কাটিয়ে দিন ১ টা দিন। তবে যাবার আগে অবশ্যই ফোন করে কনফার্ম করতে হবে , ফোন নম্বর : ০১৯১৯৭৮২২৪৫ (মি: কামরুল)। ‘জলজঙ্গলের কাব্য’ জিতে নিয়েছে ‘বার্জার অ্যাওয়ার্ড ফর এক্সিলেন্স ইন আর্কিটেকচার ২০০৯’ পুরস্কার।


ফিচার বিজ্ঞাপন
Maldives (Centara Ras Fushi Resort & Spa) 3D/2N
Dubai (City Tour) 4D/3N
Dubai City tour- Dhow cruise- Desert safari- Burj Khalifa 6D/5N

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১,৩৩৯ বার পড়া হয়েছে




