রাজধানীর শেরে বাংলা নগরের জাতীয় হৃদরোগ ইন্সটিটিউট ও হাসপাতালে গত দুইদিন ধরে পানির লাইনে বালু উঠছে। পার্শ্ববর্তী প্রতিষ্ঠান জাতীয় কিডনি ইন্সটিটিউট হাসপাতাল থেকে পানি এনে চিকিৎসক, রোগী ও তাদের স্বজনদের জরুরি প্রয়োজন মেটাতে হচ্ছে। হাসপাতাল সূত্র জানায়, বৃহস্পতিবার ভোর থেকে এ ভোগান্তি শুরু হয়। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ গণপূর্ত অধিদপ্তরের (পিডব্লিউডি) প্রকৌশলীদের বিষয়টি জানান।
প্রকৌশলীরা জানান, গভীর নলকূপে পানির স্তর নেমে যাওয়ায় পাম্প দিয়ে পানি উঠছে না। এ কারণে পানির বদলে বালু উঠছে। এ সংকট স্থায়ীভাবে সমাধান করতে এক সপ্তাহ সময় লাগবে। তবে চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মীদের দুর্ভোগ কমাতে তাৎক্ষণিকভাবে ওয়াসার সঙ্গে কথা বলে ১৫ ট্যাংক পানি আনা হয়েছে। বিশুদ্ধ পানি নিশ্চিতে হাসপাতালের উদ্যোগে আজ (শুক্রবার) সকালে একটি ট্যাংক বসানো হয়েছে।
শুক্রবার সকালে সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, পানির অভাবে শৌচাগারের গন্ধে হাসপাতালে ঢোকাই কঠিন। যেসব রোগী চিকিৎসাধীন আছেন, তারা নাক-মুখ চেপে কোনো রকমে দুর্গন্ধ সহ্য করেই থাকছেন। ক্ষোভ শুধু রোগীদেরই নয়, চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে চিকিৎসক, নার্স, ওয়ার্ডবয় থেকে শুরু করে নিরাপত্তারক্ষীদের মাঝেও। কর্মকর্তা-কর্মচারীরা যুগান্তরকে বলেন, সিসিইউতে প্রতিদিনই দু-তিনজন রোগী মারা যাচ্ছেন। করোনায় সংক্রমণের ভয়ে চিকিৎসক-নার্সরা রোগীকে ধরতে পরছেন না, খেতে পারছেন না। পাশের হাসপাতাল থেকে কিছু পানি আনা হচ্ছে। তা প্রয়োজনের তুলনায় খুবই অপ্রতুল। তারা রোগীকে অন্য হাসপাতালে নেওয়ার চেষ্টা করছেন। জানতে চাইলে গণপূর্ত বিভাগের একজন কর্মকর্তা যুগান্তরকে বলেন, স্থায়ী সমাধানের জন্য নতুন করে গভীর নলকূপ খনন শুরু হয়েছে। এই কাজ শেষ করতে আরও পাঁচ থেকে সাত দিন লাগবে। হাসপাতালটিতে চিকিৎসা নিতে আসা একাধিক রোগীর স্বজন যুগান্তরকে বলেন, বৃহস্পতিবার অবর্ণনীয় ভোগান্তি পোহাতে হয়েছে। খাওয়ার জন্য বাইরে থেকে পানির বোতল কিনে এনেছেন তারা। গোসল করতে পারেননি।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Dubai (City tour- Abu Dhabi- Burj Khalifa) 6D/5N
মালয়শিয়া ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
সাজেক ভ্রমণ ৩ রাত ২ দিন
অনেকে পাশের হাসপাতালে গিয়ে গোসল করেছেন। হৃদরোগ হাসপাতাল ওয়ার্ড মাস্টার বেলাল হোসেন বলেন, আমাদের হাসপাতালে নিজস্ব যে পানির পাম্প রয়েছে। এটা থেকে পানি উঠিয়ে রিজার্ভ করে রাখা হয়। বৃহস্পতিবার ভোর থেকে পানির সংকট দেখা দিয়েছে। কাল যখন পানির পাম্প থেকে পানি উঠাতে যায় তখন পানির বদলে বালু উঠতে দেখা গেছে। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তখন গণপূর্ত বিভাগের প্রকৌশলীদের বিষয়টি জানান। জাতীয় হৃদরোগ ইনস্টিটিউট ও হাসপাতালের পরিচালক অধ্যাপক মীর জামাল উদ্দিন বলেন, আলাদা একটি গভীর নলকূপ স্থাপনের কাজ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। এ কাজ শেষ হতে আরও সাত দিন লাগবে। যে কারণে ওয়াসার সঙ্গে কথা বলে পাশের হাসপাতাল থেকে একটি লাইন সংযুক্ত করেছি। এখন আপাতত পানির সংকট নেই। কাল থেকেই ওয়াসার পানি দিয়ে সংকট নিরসনের চেষ্টা চলছে। তবে স্থায়ী সমাধানের জন্য কিছুদিন অপেক্ষা করতে হবে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...
১৫৯ বার পড়া হয়েছে