ব্যাকটেরিয়াজনিত পানিবাহিত রোগ থেকে হতে পারে মারাত্মক সব স্বাস্থ্যহানী। আমাদের দেশে গরমের দিনে টাইফয়েড রোগের প্রকোপ বাড়ে। তাই এই রোগের কারণ ও প্রতিকার সম্পর্কে জেনে রাখা উচিত সবার। কারণ টাইফয়েড একটি মারাত্মক পানিবাহিত রোগ।
টাইফয়েড জ্বর স্যালমোনেলা টাইফি নামক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা গুরুতর ব্যাকটেরিয়াল ইনফেকশনের কারণে সাধারণত টাইফয়েড জ্বর হয়ে থাকে। টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তির রক্তস্রোতে ও অন্ত্রনালীতে এই ব্যাটটেরিয়া অবস্থান করে এবং দূষিত খাবার ও পানির মাধ্যমে তা দ্রুত সুস্থ ব্যক্তির দেহে সংক্রমিত হতে পারে। দুষিত খাবার ও পানি গ্রহণের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিযা দেহে প্রবেশ করা মাত্রই গুণিতক আকারে বেড়ে গিয়ে রক্তস্রোতে ছড়িয়ে পড়ে। আর তখনই দেহে জ্বরসহ নানা ধরনের উপসর্গ দেখা দেয়।
টাইফয়েড জ্বরের কারণ
টাইফয়েড জ্বর বাংলাদেশে খুবই সচরাচর একটি রোগ এবং স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া বাহিত দূষিত খাবার গ্রহণ বা পানি পানের মাধ্যমে যে কেউ এ রোগে আক্রান্ত হতে পারে। এ কারণে বসতিপূর্ণ এলাকার লোকজনের টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে।
টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া বহন করে। এছাড়াও টাইফয়েড জ্বর হতে আরোগ্য লাভ করেছেন কিন্তু এই ব্যাকটেরিয়া বহন করছেন এমন কিছু সংখ্যক ব্যক্তিও এই রোগের বাহক হতে পারে।
টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত ব্যক্তি এবং স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়া বহনকারী উভয় ধরনের ব্যক্তিরাই মলত্যাগের মাধ্যমে এই ব্যাকটেরিয়ার বিস্তার ঘটিয়ে থাকে।
পয়ঃনিষ্কাশন ব্যবস্থা যথাযথ না হলে এবং তার ফলে টাইফয়েড রোগীর মলত্যাগের পর এই ব্যাকটেরিয়া পানির সংস্পর্শে আসলে এবং পরবর্তীতে এই দূষিত পানি খাবারে ব্যবহৃত হলে অথবা টাইফয়েড জ্বরের ব্যাকটেরিয়া বহন করছে এমন কোন ব্যক্তির স্পর্শকৃত বা হাতে বানানো খাবার গ্রহণ থেকেও টাইফয়েড জ্বর সংক্রমিত হতে পারে।
টাইফয়েড জ্বরের লক্ষণ
১০৪ ডিগ্রি ফারেনহাইট পর্যন্ত টানা জ্বর।
ডায়রিয়া, কোষ্ঠকাঠিন্য, পেটে ব্যথা অনুভূত হওয়া, মাথাব্যাথা করা।
ফিচার বিজ্ঞাপন
কোরিয়া ভিসা প্রসেসিং (চাকুরীজীবি)
ইস্তানবুল, কাপাডোসিয়া ও কুসাডাসি ৭দিন ৬রাত
বাংকক-পাতাইয়া-কোরাল আইল্যান্ড-ফুকেট-সাফারি ওয়ার্ল্ড ৬দিন ৫ রাত
গা ম্যাজ ম্যাজ করা, কফ বা কাশি হওয়া, হার্ট রেট বা হৃদস্পন্দন কমে যাওয়া, ক্ষুধামন্দা।
চিকিৎসা
রেজিস্ট্যান্স বা প্রতিরোধক না হলে, ফ্লুরোকুইনোলন যেমন সিপ্রোফ্লক্সাসিন সবচেয়ে কার্যকরি।অন্যথায়,তৃতীয় প্রজন্মের সেফালোস্পোরিন যেমন সেফট্রায়াক্সন বা সেফোট্যাক্সিমকার্যকরি। মুখে খাওয়ার ঔষধের মধ্যে সেফিক্সিম ব্যবহার করা হয়।
অধিকাংশ ক্ষেত্রে টাইফয়েড প্রাণঘাতী নয়।অ্যান্টিবায়োটিক যেমন অ্যাম্পিসিলিন,ক্লোরাম্ফেনিকল,অ্যামক্সিসিলিন,সিপ্রোফ্লক্সাসিন ইত্যাদি টাইফয়েড চিকিৎসায় ব্যবহার করা হয়।চিকিৎসায় এ রোগে মৃত্যুর হার ১% এ নেমে আসে। পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি ও স্যালাইন গ্রহণ করতে হবে।
প্রতিরোধ
সব সময় পরিষ্কার পোশাক পরে, নিরাপদ ও বিশুদ্ধ পানি পান করে টাইফয়েড প্রতিরোধ করা যায়। এছাড়া, অবশ্যই হাত ভালোভাবে ধুতে হবে। ঘরের জিনিসপত্র নিয়মিত পরিষ্কার রাখতে হবে এবং আক্রান্ত ব্যক্তির ব্যবহৃত জিনিস আলাদা করে রাখতে হবে। পানি ফুটিয়ে পান করতে হবে। খাবার গরম করে খেতে হবে। বাইরের খাবার খেলে সব সময় সচেতন থাকতে হবে। অপরিষ্কার শাকসবজি ও কাচা-ফলমূল খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও স্বাস্থ্যসম্মত টয়লেট ব্যবহার করতে হবে। লক্ষ রাখতে হবে কোনোভাবেই যেন টয়লেটে ময়লা বা পানি জমে না থাকে। আক্রান্ত ব্যক্তির টয়লেট নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে। আক্রান্ত ব্যক্তিকে খোলামেলা ও পরিষ্কার বাসায় রাখতে হবে।
চিকিৎসা ছাড়াও যদি টাইফয়েড-এর উপসর্গগুলো এমনিতে বিতাড়িত হয় তারপরও স্যালমোনেলা টাইফি ব্যাকটেরিয়ার জীবাণু আপনার দেহে থাকতে পারে এবং এই অসুস্থতা পরবর্তীতে দেখা দিতে পারে বা আপনার কাছ থেকে অন্যত্র বাহিত হতে পারে। ভ্যাক্সিন নেয়ার পরেও খাদ্যদ্রব্য ও পানীয় নির্বাচনে আপনাকে সতর্ক থাকতে হবে। বিশেষ করে আপনি যখন টাইফয়েড জ্বরে আক্রান্ত রোগী বেশি আছে এমন এলাকা পরিদর্শনে থাকবেন।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১,১০৪ বার পড়া হয়েছে