দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৪৪ নম্বর ওয়ার্ডের বেগমগঞ্জ লেনের টিঅ্যান্ডটি খাল দীর্ঘদিন ধরে এলাকাবাসীর ‘গলার কাঁটা’ হয়ে আছে। পুরান ঢাকায় অবস্থিত ময়লা-অবর্জনায় পরিপূর্ণ খালটি মশা তৈরির কারখানায় পরিণত হয়েছে। দূষণ ও নোংরা দুর্গন্ধ এলাকাবাসীকে মারাত্মকভাবে স্বাস্থ্যঝুঁকিতে ফেলছে। তবে এই ‘গলার কাঁটাটিকেই’ গলার ‘সৌন্দর্যে’ পরিণত করার উদ্যোগের কথা জানিয়েছেন স্থানীয় জনপ্রতিনিধি। আবর্জনামুক্ত করে খালটিকে ‘হাতিরঝিলের’ আদলে সাজানোর পরিকল্পনার কথা বলেছেন তিনি।

পুরান ঢাকার ঐতিহ্যবাহী এলাকা-কাঠের পুল লেন (বানিয়ানগর), ঠাকুরদাস লেন, জাস্টিস লালমোহন দাস লেন, ঋষিকোষ দাস রোড, বেগমগঞ্জ লেন, মিউনিসিপ্যাল স্টাফ কোয়ার্টার (বানিয়ানগর), তনুগঞ্জ লেন, ওয়াল্টার রোড ও রেবতীমোহন দাস রোড এলাকা নিয়ে ডিএসসিসির ৪৪ নম্বর ওয়ার্ড গঠিত।

সরেজমিন এসব এলাকায় দেখা যায়, বেগমগঞ্জের টিঅ্যান্ডটি খালটি ছাড়াও ওয়ার্ডের কিছু এলাকার ওলিগলিতে ড্রেনেজ ব্যবস্থা নেই বললেই চলে। মশার সমস্যা কিছুটা লাঘব হলেও এখনো মাত্রা অসহনীয়। লালমোহন রোড ও ঋষিকেষ রোডের প্রধান সড়ক সংলগ্ন প্রায় পুরো ফুটপাতই মেশিনারিজ ব্যবসায়ীদের দখলে।

বেগমগঞ্জ লেনের বাসিন্দা আলী আকবর বলেন, দীর্ঘদিন ধরে আমাদের এলাকাটি অবহেলিত। উন্নয়নের তেমন কোনো ছোঁয়া লাগেনি। এখানকার সবচেয়ে বড় সমস্যা হলো খারাপ রাস্তা ও খালটি। খাল কিছুটা পরিষ্কার করা হলেও এখনো দুর্গন্ধে এর পাশ দিয়ে হাঁটা কঠিন। এছাড়া খালের পাশেই গড়ে উঠেছে অস্থায়ী বাজার। পুরো এলাকার ময়লা এখানে ফেলা হয়েছে। নতুন করে কাঁচাবাজার, মাছবাজারের ময়লাও এই খালটিতে ফেলা হচ্ছে। এতে পরিবেশ আরও নষ্ট হচ্ছে। আর এলাকার গলির অবস্থাও ভালো না। অনেক স্থানই হাঁটার অযোগ্য। দ্রুত রাস্তা মেরামত এবং খালটি সংস্কারের দাবি জানান তিনি।

জানতে চাইলে স্কুলশিক্ষিকা শারমিন সুলতানা বলেন, বেগমগঞ্জের খালটি পুরো এলাকার পরিবেশ নষ্ট করছে। খালের আশপাশের বাসিন্দারা অসহনীয় দুর্গন্ধ প্রতিনিয়ত সহ্য করে চলেছেন। দুর্গন্ধ ও মশার কামড়ে বাচ্চারা প্রায়ই অসুস্থ হয়ে পড়ছে।

জানতে চাইলে এই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর মিজানুর রহমান (ইমন) বলেন, এই ওয়ার্ডটি ছোট। এখানে তেমন কোনো সমস্যা নেই। শুধু বেগমগঞ্জ এলাকাটিই দীর্ঘদিন ধরে অবহেলিত। দায়িত্ব গ্রহণের পর থেকে আমি সবচেয়ে বেশি ওই এলাকা উন্নয়নের ওপর গুরুত্ব দিয়েছি। পরিকল্পিত ড্রেনেজব্যবস্থার কাজও সেখানে চলছে। এছাড়া পাড়া-মহল্লার গলির উন্নয়নও চলছে। বেগমগঞ্জের টিঅ্যান্ডটি খালে মশার যে প্রকোপ ছিল, তা মাননীয় মেয়রের নির্দেশনা ও সহযোগিতায় আগের মতো নেই। আমরা এই ‘গলার কাঁটাটিই’ গলার ‘সৌন্দর্যে’ পরিণত করার চেষ্টা করছি। আবর্জনা ও দুর্গন্ধমুক্ত করে খালটিকে ‘হাতিরঝিলের’ আদলে সাজানোর পরিকল্পনা রয়েছে। পরিকল্পনা বাস্তবায়ন হলে এ খালটিই হয়ে উঠবে আকর্ষণীয় স্থান। তিনি আরও বলেন, প্রতিনিয়ত ময়লা-আবর্জনা ও কচুরিপানা পরিষ্কারের পাশাপাশি মশা নিধনের কীটনাশকও দেওয়া হচ্ছে। নিজস্ব অর্থায়নে সেখানে একটি নৌকার ব্যবস্থাও করে দিয়েছি। এলাকাবাসীর সহায়তায় খালটি পরিষ্কারের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা অব্যাহত রয়েছে। এছাড়া ওয়ার্ডের অন্যান্য এলাকায় ছোটখাটো সমস্যা থাকলেও বড় কোনো সমস্যা নেই।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...



১৪৪ বার পড়া হয়েছে