আসছে বাংলা নববর্ষ। এই দিন চাইলে আপনার ঘরেও টেরাকোটার ব্যবহারে আনতে পারেন উৎসবের আমেজ। শুধু দেয়ালজুড়ে টেরাকোটার ব্যবহারই পুরো ঘরে বৈশাখের বারতা নিয়ে আসবে।

অন্দরসজ্জায় বেশ কয়েক বছর ধরেই জনপ্রিয় দেশীয় উপকরণ। বাঁশ–বেতের শতরঞ্জি, নকশিকাঁথার মতো আরও অনেক দেশীয় উপকরণে তৈরি পণ্য অন্দরসজ্জায় ব্যবহৃত হচ্ছে ভিন্ন রূপে, ভিন্ন আঙ্গিকে। ইদানীং অন্দরসজ্জায় টেরাকোটার ব্যবহারও দেখা যাচ্ছে বেশ। ঘরের পরিবেশ শীতল করার পাশাপাশি অন্দরে একধরনের দেশীয় আমেজ নিয়ে আসছে এই টেরাকোটা। আসছে বাংলা নববর্ষ। এই দিন চাইলে আপনার ঘরেও টেরাকোটার ব্যবহারে আনতে পারেন উৎসবের আমেজ। শুধু দেয়ালজুড়ে টেরাকোটার ব্যবহারই পুরো ঘরে বৈশাখের বারতা নিয়ে আসবে।

টেরাকোটা নিয়ে কাজ করছে অন্দরসাজের প্রতিষ্ঠান রাঢ়। এর প্রধান শিল্পী সৈয়দ মামুনার রশীদ বলছিলেন, সাধারণত ঘর সাজাতে দুইভাবে টেরাকোটার ব্যবহার করা হয়। যদি আগে থেকেই ঘর সাজাতে টেরাকোটার ব্যবহার করতে চান, তাহলে দেয়ালে টেরাকোটা সরাসরি বসিয়ে নিতে পারেন। নতুন করে বাসায় টেরাকোটা বসাতে চাইলে স্ক্রু দিয়ে দেয়ালে লাগিয়ে নিলেই হবে। টেরাকোটা দিয়ে ঘর সাজানোর সময় আরও কিছু বিষয় মেনে ঘর সাজানোর পরামর্শ দিলেন তিনি। বাসার কোন ঘরের দেয়ালে টেরাকোটা স্থাপন করবেন, তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। বসার ঘরের সবচেয়ে বড় দেয়ালটা বেছে নেওয়া ভালো। শোবার ও খাবার ঘরের জায়গার ওপর নির্ভর করে টেরাকোটার নকশা নির্বাচন করা ভালো। ঘরের জায়গা কম থাকলে লোকজ, প্রকৃতি ও আবহমান গ্রামবাংলার নকশার টেরাকোটা লাগাতে হবে।

এ ছাড়া টেরাকোটা ঘরের ভেতরের তাপমাত্রা কমিয়ে প্রাকৃতিকভাবেই নিয়ে আসে ঠান্ডা আবহ। সাধারণত দেয়ালে কংক্রিটের ব্যবহার ঘরের পরিবেশকে গরম করে তোলে। টেরাকোটা এই তাপমাত্রা শোষণ করে ঘরের পরিবেশ ঠান্ডা করতে সাহায্য করে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Water Lodge

মূল্য: ১২,৫০০ টাকা / রাত

টেরাকোটা দিয়ে অন্দরসাজে আলোকসজ্জার ব্যবহারও বেশ গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাঁড়ায়। সরাসরি আলোর ব্যবহারের বদলে সাধারণত হালকা ও কুল লাইট এ ধরনের অন্দরসাজে বেশি মানায়। অন্দরে আলোকসজ্জায় তাই করতে পারেন স্পটলাইটের ব্যবহার। যদি তা সম্ভব না হয়, তাহলে হ্যাঙ্গিং ল্যাম্পশেডের ব্যবহারও করতে পারেন। ফ্লোর ল্যাম্পশেডের আলো–ছায়ার খেলাও অন্দরে সৃষ্টি করবে মায়াবী আবহ।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৪১৭ বার পড়া হয়েছে