ঢাকা মহানগর পুলিশ কমিশনার (ডিএমপি) মো. আছাদুজ্জামান মিয়া বলেছেন, আজ (গতকাল রবিবার) থেকে যে কোনো কার্ড ব্যবহার করে ট্রাফিক জরিমানার টাকা পরিশোধ করা যাবে। তিনি বলেছেন, এতে হয়রানির পরিমাণ কমে যাবে।

গতকাল রবিবার রাজধানীর কাকরাইল মোড়ে ‘পথচারীর করণীয়’ শীর্ষক সচেতনতামূলক কর্মসূচি এবং ‘ক্যাশ কার্ডের মাধ্যমে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানা আদায়’ ব্যবস্থার উদ্বোধন করেন ডিএমপি কমিশনার। এ সময় তিনি ঐ নির্দেশনা দেন।

এ ব্যাপারে ঢাকা মহানগর পুলিশের ট্রাফিক দক্ষিণ বিভাগের উপ-কমিশনার (ডিসি) জয়দেব চৌধুরী বলেন, আজ (গতকাল রবিবার) থেকেই ই-ক্যাশে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানার টাকা দেওয়া যাবে। এ সংক্রান্ত সফটওয়্যার ট্রাফিক সদস্যদের মাঝে ইনস্টল করা হচ্ছে। এ সপ্তাহের মধ্যে পুরো সিটিকে এ কার্যক্রমের আওতায় নিয়ে আসা হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, এখন থেকে ট্রাফিক প্রসিকিউশনের জরিমানার টাকার জন্য চালক ও গাড়ির কাগজপত্র জব্দ করা হবে না। চালক তার জরিমানার টাকা এখন থেকে অন স্পটে যে কোনো ব্যাংকের ডেবিট, ক্রেডিট, ভিসা, ক্যাশ, বিকাশ, রকেট ও অন্যান্য কার্ড ব্যবহার করে পরিশোধ করতে পারবেন। অন স্পটে টাকা পরিশোধের ফলে চালক বা মালিক হয়রানি থেকে মুক্ত থাকবেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, এতদিন ইউসিবিএলের মাধ্যমে টাকা জমা দিতে হতো। টাকা আদায় না হওয়া পর্যন্ত কাগজপত্র আটকা থাকত। টাকা দিতে দেরি হলে আরো ভোগান্তি বাড়ত। কুরিয়ার সার্ভিসের মাধ্যমে কাগজপত্র পাঠাতেও নানা ধরনের বিড়ম্বনা ও হয়রানি হতে হতো। এ সেবা সহজ করার মধ্য দিয়ে ভোগান্তি কমে আসবে।

গাড়ি চালানোর সময় মোবাইলে কথা বললে চালক আটক ও গাড়ি জব্দ করতে ট্রাফিক বিভাগকে নির্দেশনা দিয়ে তিনি বলেন, চলন্ত গাড়িতে যদি চালক মোবাইল ফোনে কথা বলেন, তাহলে ড্রাইভিংয়ে মনোযোগ থাকে না। মোবাইলে কথা বলা চালকরা অনেক প্রাণহানী ঘটিয়ে থাকে।

রেকারিংয়ের বিষয়ে ডিএমপি কমিশনার বলেন, রং পার্কিং ও কাগজপত্র না থাকার কারণে গাড়ি রেকারিং করা হতো। রেকারিংয়ের জরিমানার টাকা কর্মকর্তারা হাতে হাতে নগদ হিসেবে নিত। এখন থেকে নগদ নয়, ই-ক্যাশের মাধ্যমে জমা নেওয়া হবে।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, ঢাকা শহরে অনেক পথচারীকে হেডফোন কিংবা মোবাইল ফোন কানে ধরে রাস্তা পার হতে দেখেছি। বাচ্চা নিয়ে রোড ডিভাইডার পার হতে দেখেছি। রাস্তার মাঝখানে দাঁড়িয়ে হাত দিয়ে ইশারায় গাড়ি থামানোর সংকেত দিতে দেখেছি। যারা জেব্রাক্রসিং ব্যবহার করেন না; তাদের বিরুদ্ধেও এখন থেকে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত আয়োজন এখানে অপেক্ষা করছে

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত ...



৪৪৩ বার পড়া হয়েছে