অনেক সময়ই দেখবেন আমরা কারো প্রশংসা করে বলি ওমুক কী দারুণ ম্যানার জানে, এটিকেট অর্থাৎ আদবকায়দা মেনে চলে। আপনার হাঁটাচলা, ওঠাবসা থেকে শুরু করে সামাজিক ক্ষেত্রে আপনি মানুষ হিসেবে কেমন তাইই নির্দেশ করে আপনার নিজস্ব স্টাইল বা জীবনযাপন। নিজেকে একজন ওয়েল ম্যানারড ব্যক্তি হিসেবে তুলে ধরার জন্য খাবার টেবিলের ম্যানার জানা এবং সময় বুঝে তা মেনে চলা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। হয়ত দৈনন্দিন জীবনযাপনে আমাদের সেটার প্রয়োজন হয়না কিন্তু বিশেষ বিশেষ সময়ে সেটার প্রয়োজন হয়।  আসুন আজ দেখে নেই ফরমাল দাওয়াতে একজন গেস্ট কিংবা হোস্ট এর আচরণ কেমন হওয়া উচিৎ।

যেকোন দাওয়াতেই সবচাইতে গুরুত্বপূর্ন ব্যাপার হল কমফর্টেবল বা স্বস্তি বোধ করা। সেটা গেস্ট হোক কী হোস্ট সবাইকেই মাথায় রাখতে হবে। আপনি একজন হোস্ট হলে ঘাবড়ে না যেয়ে প্রয়োজনে ডাইনিং এটিকেট সম্পর্কে আরেকবার পড়ে নিন। কীভাবে টেবিল সাজাবেন, কে কোথায় বসবে বা কোনদিক থেকে খাবার পরিবেশন শুরু করবেন সবকিছু সম্পর্কে বিস্তারিত জানা জরুরী।

আপনি যখন গেস্ট তখন নিজে নিজে থেকেই ইচ্ছামত একটা চেয়ার টেনে বসে না পড়ে হোস্ট আপনাকে কোথায় বসতে বলে সেটার জন্য অপেক্ষা করুন। সব গেস্ট এবং হোস্ট না বসা পর্যন্ত আপনার চেয়ায়ের পেছনে দাঁড়িয়ে অপেক্ষা করুন। নিজে বসার আগে বয়স্ক কেউ থাকলে তাকে বসতে সাহায্য করুন। বসার পরে কর্কশ শব্দ করে চেয়ার না টেনে হালকা করে টেনে ভেতরের দিকে নিন। সাথে সাথেই ন্যাপকিনটা নিয়ে আপনার কোলের উপর বিছান আর পিঠ সোজা করে বসুন।  ভুলেও যেন টেবিলে কনুই রেখে বসবেননা।

গেস্ট হলে সবসময় হোস্টকে অনুসরণ করুন। আর টেবিলের সবার সাথে খাবারের গতি রক্ষা করে চলুন। এমন যেন না হয় যে আপনার খাওয়া প্রায় শেষের দিকে আর আপনার হোস্ট মাত্র অর্ধেক খাবার শেষ করেছে। এমন যদি হয় যে খাবার হাত দিয়ে খেতে হয় তা আপনার হোস্ট ফর্ক বা কাঁটাচামচ দিয়ে খাচ্ছে তাহলে আপনিও তাই করুন। তাকে বলতে যাবেননা যে সে ম্যানার মেনে চলছেনা। মনে রাখবেন যিনি হোস্ট তিনি যে কোন পরিস্থিতিতেই সঠিক।

খাবার খাওয়ার সময় টেবিলে অনেকগুলো চামচ, কাটা, ছুরি, প্লেট, বাটি দেখে ঘাবড়ে না যেয়ে হোস্টকে অনুসরণ করুন যে কোনটা আগে ব্যবহার করবেন আর কোনটা পরে। তবে নিয়ম হচ্ছে বাইরের দিকে থেকে ভেতরের দিকে আসা। অর্থাৎ সবচাইতে বাইরের দিকে থাকা প্লেট চামচ আগে ব্যবহার করুন। আস্তে আস্তে ভেতরের দিকেরগুলোতে আসবেন।

খাবার টেবিলে সবসময় ভদ্রতা বজায় রাখা জরুরি। কিছু করার আগে বারবার ভেবে দেখুন যে সেটা করা ঠিক হবে কিনা। আপনি নিজে কিংবা আপনার হোস্ট বিব্রত হতে পারে এমন মনে হলে সেটা করা বাদ দিন। একবারে খুব বেশি খাবার মুখে না পুরে অল্প অল্প করে খাবার মুখে দিন। শব্দ করে চিবাবেন না বা মুখে খাবার নিয়ে কথা বলবেন না আর টেবিলে কনুই রাখবেন না।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Cairo-Alexandria-Aswan & Luxor 8D/7N

মূল্য: 91,900 Taka

যমুনা রিসোর্ট প্রাইভেট ডে লং ট্যুর

মূল্য: ১৫০০ টাকা জনপ্রতি

কেউ যদি আপনার কাছে থাকা কোন খাবার তার কাছে পাস করতে বলে তাহলে তাড়াহুড়া করবেন না। আপনি পাত্রটা ধরে আপনার পাশের জনকে দিন, উনি তার পাশের জনকে দেবেন। এভাবে একে একে যিনি চেয়েছেন তার কাছে পৌঁছাবে। যিনি চেয়েছেন তিনি নেওয়া পর্যন্ত চুপচাপ অপেক্ষা করুন পাত্রটাকে আপনার কাছে ফিরিয়ে আনতে, বেশি তাড়াহুড়া না করেই।

আপনার কাঁটাচামচ বা ফর্কের বামপাশে যদি কোন ব্রেড বা রুটির প্লেট থাকে তাহলে এক স্লাইস বা এক রোল ব্রেড বা রুটি নিয়ে তাতে রাখুন। আপনার কাছে যখন বাটার বা মাখন আসছে তখন সার্ভিং নাইফ ব্যবহার করে প্রয়োজনীয় বাটার নিন আর আপনার রুটির পাত্রে রাখুন। তারপর আপনার পাশের জনকে বাটার আর সার্ভিং নাইফ পাস করে দিন। আপনার হাতের সাহায্যে রুটির টুকরো ছিঁড়ে শুধুমাত্র তাতে বাটার লাগিয়ে মুখে দিন। এভাবে যতবার প্রয়োজন নিন একবারে খুব বেশি না নিয়ে।

খাবারের মাঝে বিরতি নিলে আপনার ন্যাপকিন, কাঁটাচামচ ইত্যাদি কীভাবে রাখবেন সেটা মাথায় রাখুন।

খাবার কখন শেষ করবেন সেটার জন্য আপনার হোস্টের উপর নির্ভর করুন। তিনি শেষ করলে নিয়ম অনুযায়ী ভাঁজ করে ন্যাপকিনটি টেবিলে প্লেটের পাশে রাখুন। এরপর উঠে দাঁড়ান আর আপনার চেয়ার টেনে পেছনে নিন আর আপনার হোস্টকে সুস্বাদু খাবারের জন্য ধন্যবাদ জানান।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



১,০২০ বার পড়া হয়েছে