শেখ আবু তালেব: এক সপ্তাহের ব্যবধানে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) বাজার মূলধন বেড়েছে সাড়ে ২২ হাজার কোটি টাকার বেশি। একইসঙ্গে বৃদ্ধি পেয়েছে তালিকাভুক্ত অধিকাংশ সিকিউরিটিজের বাজার মূল্য। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, আগামী ডিসেম্বরে শেষ হচ্ছে অনেক কোম্পানির আর্থিক হিসাব। এসব কোম্পানিতে হঠাৎ করেই বিনিয়োগ বাড়াতে শুরু করেছেন বিনিয়োগকারীরা।

অনেকটা হঠাৎ করেই এসব কোম্পানির দিকে ঝুঁকে পড়েছেন বিনিয়োগকারীরা। মূলত প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের এমন সিদ্ধান্তে ডিএসইর লেনদেন আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৫ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রাতিষ্ঠানিক বিনিয়োগকারীদের সঙ্গে ব্যক্তি শ্রেণির বড় বিনিয়োগকারীরাও এতে যোগ দিয়েছেন। ফলে মৌলভিত্তির কোম্পানির শেয়ারের দাম বেড়েছে তুলনামূলক অনেক বেশি। ডিএসইর গত ৯ সেপ্টেম্বর শেষ হওয়া সপ্তাহের লেনদেন চিত্র বিশ্লেষণ ও বাজারসংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলা জানা গেছে এমন তথ্য।

ডিএসইর তথ্য অনুযায়ী, গত সপ্তাহে ডিএসইর লেনদেন হয়েছে ১৩ হাজার ৮৮৮ কোটি টাকা। এটি আগের সপ্তাহের চেয়ে ৫৫ দশমিক ৪০ শতাংশ বেশি। এই সময়ে মোট ৩৮২ কোম্পানি ও সিকিউরিটিজ লেনদেনে অংশগ্রহণ করে। এর মধ্যে শেয়ারের দাম তথা বাজার মূল্য বৃদ্ধি পায় ২১০টির, কমে ১৫৫টির, অপরিবর্তিত ১৩টির ও লেনদেন হয়নি চারটির।

এই সময়ে ডিএসইর সব সূচকই বৃদ্ধি পেয়েছে। বাজার বিশ্লেষকরা বলছেন, ডিসেম্বরে হিসাববছর শেষ হবে অনেক কোম্পানির। গত সপ্তাহে মূলধারার বিনিয়োগকারীরা সেসব কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগ শুরু করেছেন। এখানে দুটি গ্রুপ বা দল রয়েছে। একটি হচ্ছে শেয়ারের দর বাড়িয়ে বিক্রি করে চলে যাবে। অন্যটি হচ্ছে, কোম্পানির ডিভিডেন্ড নিতে চায়।

সাধারণত আরও কিছুদিন পর এসব কোম্পানির দিকে ঝুঁকে পড়ার কথা ছিল। কিন্তু এক চক্রের কাছে বিনিয়োগ করার মতো অর্থ অলসভাবে পড়ে রয়েছে। তারাই এ খাতে আগাম বিনিয়োগ শুরু করেছেন। একটি চক্রের বিনিয়োগ শুরু হওয়ায় এসব কোম্পানির শেয়ারদর এখনই অনেক বেশি হয়ে গেছে। এটি আরও কিছুদিন পর হওয়াটা স্বাভাবিক ছিল। এখন সব বিনিয়োগকারী ট্রেডিংয়ে যাওয়া নিয়ে শঙ্কার ভুগতে পারেন। এসব বিনিয়োগের চাপে ‘জেড’ ক্যাটেগরির শেয়ারের দামও বৃদ্ধি পেয়েছে। বিশেষ করে, সদ্য বাজারে আসা কোম্পানিগুলোর শেয়ারের দাম বৃদ্ধির বিষয়টি অস্বাভাবিক।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, এ বিষয়ে নিয়ন্ত্রক সংস্থা বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ কমিশনের (বিএসইসি) নজরদারি বাড়ানো উচিত। এসব কোম্পানির শেয়ার নিয়ে সহসাই কোনো কারসাজি না হয়। নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকি বৃদ্ধি করা প্রয়োজন এসব খাতে। কোনো ধরনের বিনিয়োগকারীরা এসব খাতে হুট করে বিনিয়োগ বাড়ানো শুরু করেছেন তা নিবিড় পর্যবেক্ষণ জরুরি হয়ে পড়েছে। নিয়ন্ত্রক সংস্থার তদারকি বাড়লে বিনিয়োগকারীরা শঙ্কামুক্ত হবেন।

তথ্য বলছে, গত সপ্তাহে বিনিয়োগকারীরদের পছন্দের শীর্ষ তালিকায় ছিল প্রকৌশল, বস্ত্র ও ওষুধ খাতে। অবশ্য এই সময়ে বিমা খাতের শেয়ারের দামে নেতিবাচক প্রবণতা দেখা গেছে। গত সপ্তাহে লেনদেন বৃদ্ধি পেয়েছে। একইসঙ্গে বেড়েছে শেয়ারের দাম ও বিনিয়োগকারীদের অংশগ্রহণ। এতে গত সপ্তাহের চেয়ে ডিএসইর বাজার মূলধন বৃদ্ধি পেয়েছে ২২ হাজার ৬০৩ কোটি টাকা।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Moscow & St.Petersburg 6D/5N

মূল্য: 145,000 Taka

কলম্বো ৩দিন ২ রাত

মূল্য: ১৭,৯০০ টাকা

লেনদেন তথ্য বিশ্লেষণে দেখা যায়, গত সপ্তাহে খাতভিত্তিক মুনাফার মধ্যে শীর্ষে ছিল ট্যানারি। এ খাতটি থেকে সর্বোচ্চ ১৫ দশমিক দুই শতাংশ মুনাফা দেখতে পেয়েছেন বিনিয়োগকারীরা আগের সপ্তাহের চেয়ে। এরপরই ছিল খাদ্য খাতে ১১ দশমিক সাত শতাংশ, বস্ত্র আট দশমিক ছয় শতাংশ, সেবা খাত আট দশমিক পাঁচ শতাংশ, পেপার সাত দশমিক সাত শতাংশ, ভ্রমণ খাত পাঁচ দশমিক ৯ শতাংশ ও টেলিকম খাত পাঁচ দশমিক পাঁচ শতাংশ।

এই সময়ে লেনদেনে শীর্ষ ছিল প্রকৌশল খাত ১২ দশমিক সাত শতাংশ, বস্ত্র খাত ১১ দশমিক পাঁচ শতাংশ, ওষুধ খাত ১০ দশমিক ৯ শতাংশ, জ্বালানি খাত ১০ দশমিক আট শতাংশ ও আর্থিক প্রতিষ্ঠান সাত দশমিক পাঁচ শতাংশ।

একক কোম্পানি হিসেবে গত সপ্তাহে শেয়ারের দাম বৃদ্ধির শীর্ষ তালিকায় ছিল লিব্রা ইনফিউশনস। এরপরই রয়েছেÑফার্মা এইডস, ইস্টার্ন লুব্রিক্যান্টস, এগ্রিকালচারাল মার্কেটিং কোম্পানি (প্রাণ), এপেক্স ফুটওয়্যার, বাটা শু, দেশ গার্মেন্টস, এনভয় টেক্সটাইলস, বাংলাদেশ সাবমেরিন কেব্ল ও আইসিবি এএমসিএল সেকেন্ড মিউচুয়াল ফান্ড।

অন্যদিকে শেয়ারের দাম হারানোর শীর্ষ তালিকায় রয়েছে মেঘনা কনডেন্সড মিল্ক, মেঘনা পেট ইন্ডাস্ট্রিজ, মেট্রো স্পিনিং, মিথুন নিটিং অ্যান্ড ডায়িং ও এসইএমএল এফবিএলএসএল গ্রোথ ফান্ড।

-শেয়ারবিজনিউজ

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



১৮৫ বার পড়া হয়েছে