ডেঙ্গুর মৌসুম চলছে এখন। চারদিকে ডেঙ্গু-আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ায় জ্বর হোক বা না হোক, অনেকেই হাসপাতালে ছুটছেন পরীক্ষার জন্য। নিজেই পরীক্ষা করাচ্ছেন। পরীক্ষার ফলাফল পেয়ে কেউ কেউ বিভ্রান্ত হচ্ছেন। কেউ কেউ আবার একাধিক জায়গায় পরীক্ষা করাচ্ছেন। তাই ডেঙ্গুর পরীক্ষার ব্যাপারে একটু জানা থাকা ভালো।
প্রথম কথা হলো, জ্বর হলেই চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। যেকোনো জ্বরই যে ডেঙ্গু, তা-ও নয়। ডেঙ্গু হয়েছে ধরে নিয়ে নিজে নিজে পরীক্ষা করাতে গেলে জ্বরের অন্য সাধারণ কারণ, যেমন নিউমোনিয়া, প্রস্রাবে সংক্রমণ, টাইফয়েড, ফ্লু ইত্যাদি অজানা থেকে যায়। শিশু ও বয়স্কদের ক্ষেত্রে এ কথা আরও বেশি প্রযোজ্য। পরীক্ষার চেয়েও গুরুত্বপূর্ণ হচ্ছে রোগীর লক্ষণ, উপসর্গ, শারীরিক পরীক্ষার তথ্য-উপাত্ত। তাই আগে চিকিৎসককে বুঝতে দিন।
দ্বিতীয়ত, ডেঙ্গু জ্বরে প্রথম দিন থেকে পরবর্তী ১০ দিন পর্যন্ত বিভিন্ন পরীক্ষা-নিরীক্ষায় ফলাফল ভিন্ন ভিন্ন হতে পারে। কাজেই নিজে নিজে পরীক্ষা করালে বিভ্রান্তি দেখা দিতে পারে। এ ব্যাপারে চিকিৎসককে সিদ্ধান্ত নিতে সাহায্য করতে ঠিক কবে প্রথম জ্বর এসেছিল, মনে রাখুন। জ্বরের একেবারে প্রথম দিন থেকেই ডেঙ্গু এনএস১ অ্যান্টিজেন পজিটিভ হওয়ার কথা। তবে চতুর্থ বা পঞ্চম দিন থেকে এটি আবার নেগেটিভ হয়ে যায়। তাই যদি জ্বর চার-পাঁচ দিনের বেশি হয়ে যায়, তাহলে আর এই পরীক্ষা করে লাভ নেই। সে ক্ষেত্রে ডেঙ্গু আইজিএম অ্যান্টিবডি টেস্ট করা যায়। এ সময় এটি পজিটিভ আসবে। আবার ৯-১০ দিনের মাথায় এটিও নেগেটিভ রিপোর্ট আসে। তখন আইজিজি অ্যান্টিবডি পজিটিভ দেখায়। এই বিষয়গুলো জটিল, তাই কখন কোনটা করতে হবে, সে সিদ্ধান্ত চিকিৎসকের ওপর ছেড়ে দিন।
তৃতীয়ত, ডেঙ্গু এনএস১ নেগেটিভ হলেই যে ডেঙ্গু হয়নি, তা শতভাগ নিশ্চিত করে বলা কঠিন। লক্ষণ, উপসর্গ ও অন্যান্য পরীক্ষার ফলাফলের ভিত্তিতে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। অনেকে একদিন একটা ল্যাবে এনএস১ পজিটিভ দেখে হয়তো পরদিন বা দুদিন পর আরেকটা ল্যাবে গিয়ে নেগেটিভ রিপোর্ট পান। এতে আরও বিভ্রান্তিতে পড়েন তাঁরা। মনে রাখতে হবে, এনএস১ পরীক্ষা প্রথমে পজিটিভ এবং দু-এক দিন পর নেগেটিভ হয়ে যাওয়া বিচিত্র নয়।
চতুর্থত, ডেঙ্গুর অ্যান্টিজেন বা অ্যান্টিবডির সঙ্গে অন্যান্য অনেক পরীক্ষা আছে, যা গুরুত্বপূর্ণ। যেমন শ্বেতরক্তকণিকা, হিমাটোক্রিট, অণুচক্রিকা, রক্তের অ্যালবুমিন, যকৃতের এনজাইম এসজিপিটি ইত্যাদি। শুধু অ্যান্টিজেন টেস্ট করালে এসব গুরুত্বপূর্ণ তথ্য অজানাই থেকে যেতে পারে।
আগামীকাল পড়ুন: যেসব খাবার ক্যানসারের ঝুঁকি বাড়ায়
ফিচার বিজ্ঞাপন
Singapore Tour with Universal Studio 4D/3N
মিনি সিঙ্গাপুর ময়নামতি প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
Thimpu-Paro-Dochala Pass-Punakha 5D/4N
প্রশ্ন-উত্তর
প্রশ্ন: বয়স ২০। মাসিকে অনেক বেশি রক্ত যায়। মাঝেমধ্যে ১০-১২ দিন থাকে। চুল পড়ে, সব সময় ক্লান্তি লাগে। আমার কী করা উচিত?
উত্তর: থাইরয়েড হরমোনের ঘাটতিতে এমনটা হতে পারে। তা ছাড়া জরায়ুতে ফাইব্রয়েড বা অন্য কোনো সমস্যা থাকতে পারে। অতিরিক্ত রক্তক্ষরণের কারণে রক্তশূন্যতার ফলে ক্লান্তি লাগা, চুল পড়া হতে পারে। আপনার থাইরয়েড হরমোন, রক্তে হিমোগ্লোবিন, একটা আলট্রাসনোগ্রাম ইত্যাদি পরীক্ষা করা উচিত। একজন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
ডা. তানজিনা হোসেন, হরমোন বিশেষজ্ঞ
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৭৯৫ বার পড়া হয়েছে





