এবার আসি ড্রয়িংরুমের সাজসজ্জায়। আপনি হয়ত ভাবতে পারেন ড্রয়িংরুমের সাজসজ্জা অনেক বেশি ব্যয়বহুল এবং কষ্টসাধ্য। তা কিন্তু একদমই নয়। কিছু সহজ পন্থা অবলম্বন করলেই আপনার বাড়ির ড্রয়িংরুমটি হয়ে উঠতে পারে সবার চেয়ে আলাদা।
- বারান্দা লাগোয়া ড্রয়িংরুম থাকলে মোটেও ভারী পর্দা দেবেন না এদের মাঝখানে। আলোকে আসতে দিন আপনার ঘরের অন্দরে। আপনার মনটাই ভালো হয়ে যাবে সারাদিনের জন্য।
- গরমের সময় ভারী কার্পেট একদমই ব্যবহার করবেন না। দেশি ম্যাটেরিয়ালের তৈরি ছোট পাতলা নকশাদার কার্পেট আপনার ড্রয়িংরুমে আনতে পারে বৈচিত্র্য।
- ভারী সোফাসেটের বদলে বেতের বা কাঠের অথবা বেতির তৈরি সোফাসেট, টেবিল রাখুন।
- সোফার কাভার বা কুশন কাভারে জবরজং নকশা একদমই ভালো দেখাবে না। হালকা কাজ বা একরঙা কাভার ব্যবহার করুন।
- ঘরের কোণে তাকিয়া আর কুশন রাখতে পারেন। ওটাই হয়ে উঠতে পারে আপনার পরিবারের অবসরের আড্ডার জায়গা। বা বিকালের চা পানের আসর।
- ওয়াল ক্যাবিনেট বানাতে পারেন। হালকা শো পিস বা অ্যান্টিকের পিস রাখতে পারেন। কিন্তু এতো বেশিও রাখবেন না যে ড্রইংরুমকে ওভারডান মনে হয়।
- ফুলদানিতে ফুলের সাথে কিছু ডাল পাতাও রেখেই দেখুন না। ফুলের সৌন্দর্য দ্বিগুণ হয়ে যাবে।
- দেয়ালে হালকা রঙ লাগালে ঘর বড় দেখায়। তবে আপনি যদি বিশেষ কোন দেয়ালে মনোযোগ আকর্ষণ করতে চান, (যেমন সুন্দর একটি ছবি বা পেইন্টিং বা একটি ফ্যামিলি ফটো) তবে ঐ দেয়ালে আপনার পছন্দ মত গাঢ় কোন রঙ দিতে পারেন ।
- ঘরের কোণায় পাতাবাহার রাখুন। সেন্টার টেবিলে ছোট্ট ফুলের টব বা বনসাই রাখতে পারেন।
- এয়ার ফ্রেশেনার না ব্যবহার করে টাটকা সুগন্ধি ফুল একটা ছোট্ট ঝুড়িতে রাখুন। তফাতটা আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন।
- ঘরের একটি ফোকাস তৈরি করতে পারেন। যেমন বিশাল একটা পেইন্টিং বা বড় একটা অ্যান্টিকের মূর্তি। তবে ফোকাস তৈরি করতে চাইলে আশেপাশে এমন কোন জিনিস রাখবেন না যেটা ফোকাসকে ডিস্টার্ব করে। তাহলে দর্শকের দৃষ্টি এক জায়গায় না থেকে অস্থিরভাবে ঘুরাফেরা করবে, যা ঘরের ব্যাল্যান্সকে নষ্ট করবে।
- একেক দেয়ালে একেক রঙ বা ওয়াল আর্ট এখন খুবই অন। তবে ঠিকমতো রঙ চুজ করাটা ভীষণ জরুরী। না হলে ঘরটা উলটা আরও বেশি খারাপ দেখাতে পারে। একটা কালার স্কিম মেনে কাজ করা খুব দরকার। যেমন কমলার বিভিন্ন শেড বা প্রাইমারী কালারস ইত্যাদি।
- বেশি জিনিস রেখে বা সাজসজ্জা করে ঘরকে জবরজং বানাবেন না। মনে রাখবেন, এখনকার ট্রেনড এটাই যে কম জিনিসে খুব কোজি আর কমফরটেবল এনভায়রনমেন্ট তৈরি করা, যাতে লোকজন জায়গাটাকে সহজেই আপন করে নিতে পারে।
- শো পিস বা পেইন্টিং গুলোতে স্পট লাইট দিতে পারেন। অন্য পর্বে লাইটিং নিয়ে বিস্তারিত বলা হবে।
- যদি একদমই আলাদা আমেজ চান, তবে ড্রইংরুমের ফ্লোরটা বা একটা ওয়াল কাঠের করে ফেলুন। একটা গাছের গুড়ি এনে ওটাকেই বানিয়ে ফেলতে পারেন আপনার সাইড টেবিল। পুরো ন্যাচারাল লুক চলে আসবে আপনার ড্রইংরুমে।
- সর্বোপরি আপনার ড্রইংরুম পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন ও গুছিয়ে রাখুন। এতে আপনার মনও ভালো থাকবে আর সবাই যখন প্রশংসা করবে, দেখবেন আপনার কত ভালো লাগে।
লিখেছেন – রেহনুমা তাবাসসুম অন্তরা
ফিচার বিজ্ঞাপন
মালয়শিয়া ভিসা প্রসেসিং (বিজনেসম্যান)
Kandy- Negombo & Colombo 5D/4N
USA Visa (Lawyer)
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...
২৭৭ বার পড়া হয়েছে