জাপান আন্তর্জাতিক সহযোগিতা সংস্থা (জাইকা) ও ঢাকা মাস ট্রানজিট কোম্পানি লিমিটেড (ডিএমটিসিএল) এর মেট্রোরেল প্রকল্পের ২৪ সেট ট্রেনের মধ্যে প্রথম সেট ট্রেনটি গত বৃহস্পতিবার জাপানের কোবে সমুদ্র বন্দর থেকে বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।  দ্বিতীয় সেট ট্রেনটি জাপান থেকে রওনা দেবে ১৫ এপ্রিল। 

বিষয়টি জাইকা’র ফেসবুক পেজে একটি স্ট্যাটাস সূত্রে জানা গেছে। এ বিষয়ে তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী জুনাইদ আহমেদ পলক গত রাতে একটি পোস্ট দিয়ে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক লিখেছেন, খুব শিগগির জাপানের কোবে সমুদ্র বন্দর থেকে এমআরটি’র ২৪টি ট্রেনের প্রথমটি বাংলাদেশে পৌঁছবে। বৃহস্পতিবার প্রথম ট্রেনটি নিয়ে একটি জাহাজ বাংলাদেশের উদ্দেশ্যে রওয়ানা হয়েছে।

ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে, প্রথমে ট্রেনটি মংলা বন্দরে আসবে। সেখান থেকে উত্তরা নিয়ে যাওয়া হবে। আগামী কয়েক মাসের মধ্যে প্রথম ধাপে পাঁচটি ট্রেন ঢাকায় এসে পৌঁছাবে। মেট্রোরেলের সেটগুলো দেশে আনার আগে বাংলাদেশি কয়েকজন বিশেষজ্ঞের জাপান সফর করার কথা ছিল। কিন্তু করোনাভাইরাসের কারণে জাপান ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা থাকায় সে পরিকল্পনা বাতিল করতে হয়। তার পরিবর্তে জাপান ইন্টারন্যাশনাল কোম্পানির মাধ্যমে পরীক্ষা-নিরীক্ষা করেই ট্রেনটি দেশে আনা হচ্ছে বলে ডিএমটিসিএল সূত্রে জানা গেছে।

এদিকে এমআরটি লাইন: একটি স্বপ্নের বাস্তবায়ন শীর্ষক স্মৃতিচারণ করতে গিয়ে জাইকা ঢাকা অফিসের লিড প্রোগ্রাম ম্যানেজার সুমন দাশ গুপ্ত বলেছেন, ‘এটি ৩০ বছর আগের এক বাংলাদেশি যুবকের গল্প। সে ১৯৯৭ থেকে ১৯৯৯ সালে সিঙ্গাপুরে থাকাকালে  সিঙ্গাপুর এমআরটি’র নিয়মিত যাত্রী ছিলেন। এমআরটিতে যাত্রা করার সময় তিনি  প্রায়ই একটি স্বপ্ন তাকে তাড়িত করতো। ঢাকা শহরে এমন একটি উন্নত গণ ট্রানজিট ভিত্তিক গণপরিবহন ব্যবস্থা যদি গড়ে তোলা যেতো! কিন্তু তিনি সে স্বপ্ন দেখার সাহস পেতেন না। নানা সীমাবদ্ধাতার কারণে।  

তার পর ২৩ বছর কেটে গেছে এবং এই যুবক এখন একজন প্রাপ্ত বয়স্ক মানুষে পরিনত হয়েছেন। সে এখন বাংলাদেশের বৃহত্তম দ্বিপক্ষীয় উন্নয়ন অংশীদার জাইকাতে চাকরি করছেন এবং এমআরটি’র সঙ্গে ঘনিষ্টভাবে জড়িত। প্রথমদিকে (২০০৮) জাইকার সহায়তায় ঢাকা আরবান ট্রান্সপোর্ট নেটওয়ার্ক ডেভলপমেন্ট স্টাডি (ডিএইচইটিএস) গঠনে অংশ নিয়ে তিনি নিজেকে জড়িয়ে ফেলেন। এরপর সম্ভাব্যতা যাচাই এবং এরপরে বিশদ নকশা এবং অবশেষে এমআরটি লাইন নির্মাণ কাজে নিজেকে নিয়োজিত করেন।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Australia Visa (for Private Service Holder)

মূল্য: 20,000 Taka

Alexandria & Cairo 6D/5N

মূল্য: 38,900 Taka

ভাগ্যক্রমে এই গল্পে যার কথা বলা হয়েছে সে ব্যক্তিটি আমি, জাইকা বাংলাদেশ অফিসের লিড প্রোগ্রাম ম্যানেজার সুমন দাশ গুপ্ত। আজ আমাদের সাইট পরিদর্শনকালে, এমআরটি লাইন ৬টি ভায়াডাক্টের শীর্ষে দাঁড়িয়ে আমি উত্তেজিত বোধ করি। আমার মনে হয়েছে এখন আমি বিশ্বের শীর্ষে অবস্থান করছি। এমআরটি লাইনটি অবিচ্ছিন্নভাবে এবং ক্রমান্বয়ে সত্যি হয়ে দেখা দিয়েছে। যার জন্য ঢাকা নগরবাসীকে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে।  জাপানের কোবে সিটির কারখানা থেকে প্রথম ট্রেনটি আসার অপেক্ষায় আর সময় কাটছেন। কখন প্রথম মেট্রোরেলের প্রথম যাত্রায় অংশ নেবো।

এদিকে প্রকল্প সূত্র জানা গেছে, মেট্রোরেল প্রকল্পের জন্য ২৪ সেট ট্রেন তৈরি হচ্ছে জাপানে। প্রতি সেট ট্রেনের দুপাশে দুটো ইঞ্জিন থাকছে। আর মধ্যে থাকবে চারটি করে কোচ। দ্বিতীয় সেট ট্রেনটি জাপান থেকে ১৫ এপ্রিল রওনা দেওয়ার কথা রয়েছে। এটি ঢাকায় পৌঁছাতে পারে ১৬ জুন। তৃতীয় ট্রেনটি ১৩ জুন রওনা দিয়ে ১৩ আগস্ট ঢাকায় পৌঁছানোর কথা। পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে পরীক্ষামূলকভাবে ট্রেন চলাচল দ্রুত শুরু করার সব ধরনের প্রস্তুতি নিচ্ছে প্রকল্প সংশ্লিষ্টরা।

জাপানের কাওয়াসাকি-মিৎসুবিশি কারখানায় তৈরি প্রতিটি ট্রেনের দাম পড়ছে ৩ হাজার ২০৮ কোটি ৪২ লাখ টাকা। শুল্ক ও ভ্যাট মিলিয়ে এসব ট্রেন বাংলাদেশে আসার পর মোট খরচ পড়বে ৪ হাজার ২৫৭ কোটি ৩৪ লাখ টাকা করে।

Source: Risingbd

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনুন

অবিশ্বাস্য দামে ব্রান্ডের ঘড়ির কিনু...



২২৭ বার পড়া হয়েছে