ঢাকা শহরের ৯৫ শতাংশ বাড়িতেই সেপটিক ট্যাংক নেই। আর ৯৯ দশমিক ৯৯ শতাংশ বাড়িতে নেই সোক ওয়েল। এগুলো নিশ্চিত করার জন্য বাড়িমালিকদের উদ্যোগ গ্রহণে বাধ্য করতে হবে। এক সেমিনারে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস এ কথা বলেন।

শনিবার রাজধানীর প্যান প্যাসিফিক সোনারগাঁও হোটেলে ‘পানি সরবরাহ, স্যানিটেশন ও হাইজিন (ওয়াশ) সেক্টরে ৫০ বছরের অর্জন ও ভবিষ্যৎ করণীয়’ শীর্ষক এ সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী ও মুজিব জন্মশতবর্ষ উপলক্ষে স্থানীয় সরকার বিভাগ ও ওয়াটার এইড বাংলাদেশের উদ্যোগে এ সেমিনার আয়োজন করা হয়।

সেমিনারে মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, স্থানীয় সরকার (সিটি করপোরেশন) আইন, ২০০৯–এ ইমারত নির্মাণ ও পুননি৴র্মাণের আবেদন এবং অনুমতি সিটি করপোরেশনের কাছ থেকে নিতে হবে বলে উল্লেখ আছে। কিন্তু আজ পর্যন্ত সেটি রাজউক দিয়ে থাকে। আমরা একটি নীতিমালা প্রণয়ন করে মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। মন্ত্রণালয় সেটি পর্যালোচনা করছে। আমরা আশাবাদী ডিসেম্বরের মধ্যে সেটি পেয়ে যাব। পেলে আগামী বছর থেকে তা বাস্তবায়ন করব।

মেয়র আরও বলেন, ‘যতক্ষণ পর্যন্ত বাড়িমালিক, আবাসন প্রতিষ্ঠান সেপটিক ট্যাংক এবং সোক ওয়েল নির্মাণ করবে না, আমরা সেগুলোর (বসতবাড়ি ও ভবন) অনুমতি দেব না। সেটা যত বড় অট্টালিকার ডেভেলপার কোম্পানিই হোক অথবা ছোটখাটো ঘরই হোক।’

এদিকে ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করা না গেলে যত পরিকল্পনাই নেওয়া হোক তা কার্যকর হবে না বলে মনে করেন মেয়র তাপস। তিনি বলেন, ‘ঢাকা আজ ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের শহর; ২০৩০ সালে কি এটা ৩ কোটি হবে, ২০৪১ সালে কি ৫ কোটি হবে? তাহলে সমস্যার সমাধান হবে না। আমাদের আগে ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের সব নাগরিক সুবিধা, উন্নত ঢাকার সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে।’

ফিচার বিজ্ঞাপন

Australia Visa for Lawyer

মূল্য: 20,000 Taka

বেইজিং ৪ দিন ৩ রাত

মূল্য: ৪৩,৯০০ টাকা

Cairo & Luxor 5D/4N

মূল্য: 62,900 Taka

মেয়র আরও বলেন, ‘সেজন্য গ্রামগুলোতে আমাদের চাকরি, কর্মসংস্থান ও অন্যান্য সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে হবে। যখন ঢাকার দিকে এই গতি (গ্রাম থেকে শহরমুখী মানুষ) রোধ করতে পারব, তখনই আমরা ২০৩০ সালে ঢাকার ২ কোটি ১০ লাখ মানুষের যথার্থ সুযোগ-সুবিধা নিশ্চিত করতে পারব। কিন্তু আমরা যদি ধরেই নিই যে ঢাকার দিকে এই অভিবাসনের গতি চলতে থাকবে, তাহলে আমরা যত পরিকল্পনা করি না কেন, ২০৩০ সালে গিয়ে দেখা যাবে, আমাদের কোনো পরিকল্পনাই কার্যকর হয়নি।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেওয়া রূপরেখার আলোকেই শুধু ঢাকামুখী অভিবাসন রোধ করা যাবে উল্লেখ করে দক্ষিণ সিটির মেয়র বলেন, ‘গ্রাম হবে শহর’—আমাদের দেওয়া প্রধানমন্ত্রীর এই পথনকশা যদি ঠিকভাবে এবং সুনির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে বাস্তবায়ন করতে পারি, তবে অভিবাসনের এই গতি রোধ করা যাবে।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্য দেন স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায়মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম। স্থানীয় সরকার বিভাগের জে৵ষ্ঠ সচিব হেলালুদ্দীন আহমদের সভাপতিত্বে ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের মেয়র আতিকুল ইসলাম সেমিনারে বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



২০২ বার পড়া হয়েছে