থাকা, খাওয়ার খরচের হিসাবে বাংলাদেশের রাজধানীর অবস্থান যুক্তরাষ্ট্রের ওয়াশিংটনের উপরে। অর্থাৎ ওয়াশিংটনের চেয়েও ঢাকার থাকা-খাওয়ার খরচ বেশি। গবেষণা সংস্থা ‘মার্সা’র কস্ট অফ লিভিং সার্ভের ফলাফর এই তথ্য প্রকাশ করেছে। ওই তালিকার ৩৮ তম স্থানে রয়েছে ঢাকা।

ঢাকার পরের স্থান দখল করে আছে ওয়াশিংটন। তবে তালিকার শীর্ষ শহর হলো দিক্ষিণ-পশ্চিম আফ্রিকান দেশ অ্যাঙ্গোলার রাজধানী লুয়ান্ডা। তারপর হংকং। এই তালিকায় ভারতের সস্তা শহর নির্বাচিত হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের রাজধানী কলকাতা। আর বিশ্বের সবচেয়ে সস্তা শহর তিউনিসিয়ার রাজধানী তিউনিস।

বিশ্বের মাল্টি ন্যাশনাল কোম্পানিগুলোর কর্মীদের জীবনযাত্রার ব্যয় নিরুপণ করতে এই তালিকা প্রকাশ করে থাকে মার্সা। যুক্তরাষ্ট্রের নিউ ইয়র্ককে ভিত্তি ধরে অন্যান্য শহরগুলোর জীবনযাত্রার ব্যয় হিসাব করে থাকে তারা। পাঁচটি মহাদেশের চার শতাধিক শহরের তথ্য উপাত্ত বিশ্লেষণ করে তালিকা প্রকাশ করে থাকে। সেক্ষেত্রে অন্তত ২০০টি বিষয়ের তথ্য নেওয়া হয়ে থাকে। তার মধ্যে রয়েছে বাড়ি ভাড়া, পরিবহন ব্যয়, খাবার, পোষাক, গৃহসামগ্রীর দাম ও বিনোদন। মার্কিন ডলারের বিনিময় হারের উপর লক্ষ রেখে এসব বিবেচেনায় নিয়ে ওই তালিকা প্রকাশ করেছে মার্সা।

এবারে মার্সা তাদের ২৩ তম জরিপের ফলাফল প্রকাশ করেছে। শুধু মার্সার জরিপ নয়, যুক্তরাজ্যের জনপ্রিয় পত্রিকা দ্য ইকোনমিস্টের বিশ্বজুড়ে ১৩৩টি শহর নিয়ে চালানো এক জরিপেও বলা হয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার সবচেয়ে ব্যয়বহুল শহর।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Kolkata – Gangtok (Sikkim) 5D/4N

মূল্য: ২২,৯০০ টাকা

ভারতের রাজধানী দিল্লি, চেন্নাই, বেঙ্গালুরু ও পাকিস্থানের করাচির চেয়েও ঢাকার জীবনযাত্রার খরচ বেশি। যানজট ও নাগরিক সুযোগ-সুবিধার দিক থেকে হতশ্রী অবস্থা বিরাজ করলেও ঢাকার বাসিন্দাদের দুনিয়ার অনেক ভালো শহরের চেয়েও বেশি ব্যয় করতে হয়।

লন্ডনভিত্তিক সংস্থা ইকোনমিক ইনটেলিজেন্স বলেছে, গত ১২ মাসে ঢাকার জীবনযাত্রার মান কমে এলেও এখনো তা দক্ষিণ এশিয়ার বিভিন্ন বড় শহরের চেয়ে বেশি ব্যয়বহুল। এমনকি তুরস্কের ইউরোপীয় শহর ইস্তাম্বুলের চেয়েও ব্যয়বহুল শহর ঢাকা।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৯৩১ বার পড়া হয়েছে