ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের যেসব শিক্ষার্থীর জাতীয় পরিচয়পত্র (এনআইডি) নেই, তাঁদের দ্রুত টিকার আওতায় আনার জন্য এনআইডি পাওয়া নিশ্চিত করতে ক্যাম্পাসে শুরু হয়েছে এনআইডি নিবন্ধন কার্যক্রম। বৃহস্পতিবার সকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রে (টিএসসি) স্থাপিত অস্থায়ী কেন্দ্রে এ নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু হয়।

সকাল ১০টায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে টিএসসির অভ্যন্তরীণ ক্রীড়াকক্ষে এ অস্থায়ী ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্র উদ্বোধন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান। এ কেন্দ্রে সপ্তাহব্যাপী (৭-১৪ অক্টোবর পর্যন্ত) প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত শিক্ষার্থীদের প্রয়োজনীয় তথ্য সংগ্রহের পাশাপাশি ছবি তোলা, ১০ আঙুলের ছাপ ও চোখের আইরিশের প্রতিচ্ছবি নেওয়া হবে।

এনআইডি না থাকায় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের অনেকে এখনো করোনা টিকার আওতায় আসতে পারেননি। তাঁদের সহযোগিতা করতেই নির্বাচন কমিশনের সহযোগিতায় ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ এ উদ্যোগ নিয়েছে।

ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩৮ হাজার শিক্ষার্থীর মধ্যে এখন পর্যন্ত ২৩ হাজারের বেশি শিক্ষার্থী অন্তত এক ডোজ টিকা নিয়েছেন। ছয় হাজারের মতো শিক্ষার্থী টিকার জন্য নিবন্ধন করে এখনো এসএমএসের অপেক্ষায়। বাকিরা বিশ্ববিদ্যালয়ের নির্ধারিত ওয়েব লিংকে টিকাবিষয়ক তথ্য এখনো দেননি। তথ্য না দেওয়া এ শিক্ষার্থীদের অনেকেরই এনআইডি নেই।

টিএসসিতে ভোটার নিবন্ধন কেন্দ্র উদ্বোধনকালে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য মো. আখতারুজ্জামান বলেন, ‘ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের জন্য বিশেষ ব্যবস্থাপনায় জাতীয় পরিচয়পত্র দেওয়ার লক্ষ্যে এ উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। নির্বাচন কমিশনের কর্মকর্তাদের অনুরোধ করায় তাঁরা এর ব্যবস্থা করে দেন। জাতীয় পরিচয়পত্র পাওয়ার জন্য শর্তগুলোও অনেক ক্ষেত্রে সহজ করে দিয়েছেন তাঁরা। বিশেষ ফরমের মাধ্যমে তাঁরা বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে তথ্য নিয়ে এনআইডি দিচ্ছেন। সার্বিক সহযোগিতার জন্য নির্বাচন কমিশনকে ধন্যবাদ জানাই।’

ফিচার বিজ্ঞাপন

Thimpu-Paro-Dochala Pass-Punakha 6D/4N

মূল্য: ২৬,৯০০ টাকা

নিবন্ধন কেন্দ্র উদ্বোধনকালে অন্যদের মধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের সহ-উপাচার্য (প্রশাসন) মুহাম্মদ সামাদ, কোষাধ্যক্ষ মমতাজ উদ্দিন আহমেদ, প্রক্টর এ কে এম গোলাম রব্বানী, শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মো. নিজামুল হক ভূঁইয়া, বাংলাদেশ নির্বাচন কমিশনের জাতীয় পরিচয় নিবন্ধন অনুবিভাগের মহাপরিচালক এ কে এম হুমায়ূন কবির প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

এ কে এম হুমায়ূন কবির বলেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ প্রাথমিকভাবে ১৪ অক্টোবর পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চালানোর অনুরোধ করেছে। আরও সময়ের প্রয়োজন হলে নির্বাচন অফিসে তা করা যাবে। এনআইডি নম্বর হওয়ার পর শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে এসএমএস যাবে। সেটি দিয়ে তাঁরা টিকার জন্য নিবন্ধন করতে পারবেন। পরে স্মার্ট কার্ড তৈরি হলে সেগুলো আমরা বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের কাছে হস্তান্তর করব।’

করোনা পরিস্থিতির কারণে দীর্ঘ দেড় বছর বন্ধ থাকার পর গত মঙ্গলবার ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো স্নাতক চতুর্থ বর্ষ ও স্নাতকোত্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য খুলে দেওয়া হয়। ১০ অক্টোবর থেকে অন্যান্য বর্ষের শিক্ষার্থীদেরও হলে তোলা হবে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



১৫১ বার পড়া হয়েছে