ত্বকে যেকোনো ধরনের প্রসাধনী ব্যবহার করতে নেই। অনেকেই না বুঝেই ইচ্ছেমতো প্রসাধনী ব্যবহার করে থাকেন, যা ক্ষণিকের জন্য ত্বককে ভালো রাখলেও ক্ষতি করতে পারে অনেকাংশে। প্রসাধনীগুলোতে কোন ধরনের উপাদান বিদ্যমান, তা খুব ভালোভাবে পর্যবেক্ষণ করে তবেই ত্বকের ধরন অনুযায়ী ব্যবহার করতে হবে। যদি ত্বক তৈলাক্ত হয়ে থাকে সেক্ষেত্রে নজরদারি একটু বেশি করতে হবে। এ বিষয়ে ভারতীয় স্কিন কেয়ার ব্র্যান্ড ‘ইস ইউ’-এর সহ প্রতিষ্ঠাতা শান্তা মুজুমদার কিছু ক্ষতিকারক উপাদানের কথা দেশটির গণমাধ্যম দা ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেসকে বলেছেন।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সেসব উপাদানগুলো সম্পর্কে:
যেসব তেলে অতিরিক্ত মাত্রায় অলিক অ্যাসিড রয়েছে তাদের না বলুন। তৈলাক্ত ত্বক হলেই অনেকে মনে করেন, যেসব প্রসাধনীতে তেল রয়েছে তা ব্যবহার করা যাবে না। কিন্তু জেনে রাখা উচিৎ সব ধরনের তেল ত্বকের ক্ষতি করে না।
এ বিষয়ে শান্তা জানান, যাদের তৈলাক্ত ত্বক, তাদের মাত্রারিক্ত অলিক অ্যাসিড সম্পন্ন যেমন-নারিকেল, ক্যামেলিয়া এবং হ্যাজলনাট তেল থেকে দূরে থাকতে হবে। কারণ এসব তেল ত্বকের মধ্যে বসে যায় এবং ত্বকে নানা ধরনের ক্ষতি করে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য উপযোগী হলো উচ্চতর লিনোলিক সামগ্রী সম্পন্ন যেমন-গোলাপশিপ তেল।
অতিরিক্ত মাত্রায় ইমল্লিয়েন্ট থেকে দূরে থাকুন। শুষ্ক ত্বকের জন্য এ উপাদান অনেক কার্যকরী। কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের জন্য ক্ষতিকর। এ ধরনের উপাদান ত্বকের জন্য অনেক বেশি পরিমাণে ভারী এবং আঁঠালো হয়ে থাকে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
জাকার্তা ও বালি ৭দিন ৬ রাত
ইস্তানবুল, কাপাডোসিয়া ও কুসাডাসি ৭দিন ৬রাত
Kandy, Nuwara Eliya & Colombo 5D/4N
তৈলাক্ত ত্বক থেকে এ উপাদান সম্পন্ন সামগ্রী দূরে রাখার তাগিদ দিয়ে শান্তা বলেন, ‘মাত্রারিক্ত ঘন ময়েশ্চারাইজার এবং লোশন থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে নিন। পরিবর্তে পাতলা, লিকুইড প্রকৃতির ময়েশ্চারাইজার ব্যবহার করুন। এগুলো ত্বককে হাইড্রেটেড রাখতে সাহায্য করে।’
অ্যালকোহলভিত্তিক পণ্য মোটেও ব্যবহার করা যাবে না। অ্যালকোহল এমন একটি উপাদান যা তৈলাক্ত ত্বকে আরও বেশি তেলের উৎপাদন করে। যার ফলে ত্বক হয়ে উঠে পূর্বের চেয়েও বেশি তৈলাক্ত। এ উপাদান সব থেকে বেশি পাওয়া যায় টোনারসগুলোতে। তাই টোনারস কেনার সময় এ উপাদান আছে কিনা সেটা অবশ্যই খেয়াল করতে হবে। তৈলাক্ত ত্বকের জন্য অ্যালোভেরা অথবা গোলাপজলের টোনারগুলো বেশ উপযোগী। সোডিয়াম ক্লোরাইড ত্বকের জন্য অনুপযোগী। লবণাক্ত ধরনের উপাদানটি শরীরের জন্য ক্ষতিকারক নয়। তবে মুখের ত্বকে ক্ষতি করতে পারে। আর ত্বক যদি তৈলাক্ত ধরনের হয়ে থাকে তাহলে তো কথাই নেই। কারণ তৈলাক্ত ত্বকে এ উপাদান ব্রণের প্রবণতা বৃদ্ধি করে।
তৈলাক্ত ত্বকে কোনোভাবেই কৃত্রিম রঙ জাতীয় প্রসাধনী ব্যবহার করা যাবে না। অনেকেই চোখ সাজাতে, গালে ব্লাস দিতে, ঠোঁটে কড়া করে লিপস্টিক দিতে পছন্দ করেন। এগুলো মূলত তৈরি হয় পেট্রোলিয়াম এবং এক ধরনের খনিজ আলকাতরা থেকে। যদিও অনেকের ত্বকে এ উপাদানগুলো কোনো ক্ষতি করে না। কিন্তু তৈলাক্ত ত্বকের ধরন যাদের, ভোগান্তি তাদের চরমে। তাই, প্রাকৃতিক উপাদান সম্পন্ন প্রসাধনী এ ধরনের ত্বকের জন্য আশীর্বাদ।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২৪৬ বার পড়া হয়েছে