ধুলো-ময়লা, প্রখর রোদ ও দূষণের কারণে মুখের ত্বকে দেখা দেয় পিগমেন্টেশন সমস্যা। এ ছাড়া ব্রণ বা অন্য কোনো রোগের কারণেও মুখের ত্বকে দাগ হতে পারে। আরও বেশ কিছু কারণেও মুখের ত্বকে দাগছোপ দেখা দেয়। দাগ আটকানোর কিছু উপায় থাকলেও সব সময় তা কাজ করে না।
সুতরাং বলা যায়, মুখের ত্বকে দাগছোপ সাধারণ সমস্যার মধ্যেই পড়ে। তবে সতর্ক থাকতে হবে, এ দাগ যাতে মুখে বসে না যায়। অর্থাৎ স্থায়ী হয়ে না যায়। যদি প্রাথমিক অবস্থায় দাগের ধরন নির্ধারণ করা সম্ভব হয়, তবে তা দূর করা যাবে সহজেই। এর জন্য খুব বেশি কাঠখড় পোড়ানোরও প্রয়োজন নেই। রান্নাঘরে থাকা নিত্যপ্রয়োজনীয় উপকরণ থেকেই মিলবে এর সমাধান।
আলু
আলুতে থাকে ক্যাটেকোলেজ নামক একধরনের উপাদান, যা ত্বক উজ্জ্বল করতে এবং রোদে পোড়াভাব দূর করতে সাহায্য করে। কখনো কখনো মেছতার কঠিন দাগও দূর করতে পারে আলু। এ জন্য খোসা ছাড়ানো আলু একটু মোটা করে টুকরো করে নিতে হবে। টুকরোগুলো সরাসরি পানিতে না ধুয়ে আলু কাটার আগেই ধুয়ে নেওয়া ভালো। এবার হালকা ভেজা ত্বকে আলুর টুকরোগুলো চক্রাকারে ঘষতে হবে। মনে রাখতে হবে, খুব জোরে ঘষা যাবে না। এক মাস প্রতিদিন দুবার এ পদ্ধতিতে আলু ব্যবহার করলে দাগছোপ চলে যাবে। মাঝেমধ্যে এর সঙ্গে লেবুর রসও ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে সরাসরি মাঠের আলু ব্যবহার করতে পারলে দ্রুত কাজ হবে।
কমলালেবুর খোসা
কমলালেবুর খোসায় থাকে সাইট্রিক অ্যাসিড ও ভিটামিন সি। ভিটামিন সিও ত্বকের দাগছোপ দূর করতে সাহায্য করে। কমলালেবুর খোসা স্ক্রাব হিসেবেও ভালো। আর এই স্ক্রাব ত্বকের নতুন কোষ তৈরিতে সাহায্য করে। কমলালেবুর খোসা সরাসরি ব্লেন্ড করে বা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে স্ক্রাব তৈরি করা যায়। ভালো ফল পেতে এর সঙ্গে কিছুটা লেবুর রস, দুধ ও মধু মিশিয়ে ব্যবহার করা যায়। এ স্ক্রাব মুখে লাগিয়ে ২০ মিনিট রেখে দিতে হবে। দিনে একবার এটি ব্যবহার করলে দাগছোপ দূর হওয়ার সঙ্গে ত্বক কোমল ও উজ্জ্বল হবে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
মৈনট ঘাট প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
৩০০ফিট ও জিন্দা পার্ক প্রাইভেট ডে লং ট্যুর
Singapore Tour with Universal Studio 4D/3N
লেবু
লেবুতেও রয়েছে সাইট্রিক অ্যাসিড এবং ভিটামিন সি। তবে লেবুর সাইট্রিক অ্যাসিড প্রাকৃতিক ব্লিচ হিসেবে দারুণ কার্যকর। তাই ত্বকের দাগছোপ দূর করতে পাতিলেবু বেশ কার্যকর। এ জন্য একটি বাটিতে লেবুর রস নিয়ে পরিষ্কার তুলো সরাসরি এ রসে ভিজিয়ে দাগের ওপর লাগাতে হবে। যদি ত্বক বেশি সেনসিটিভ হয়, তবে সামান্য পানি মিশিয়ে নেওয়া যেতে পারে। অথবা লেবুর রসের সঙ্গে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে নিলেও চলবে। ১০ থেকে ১৫ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে।
চন্দন
অধিকাংশ সময় ব্রণ চলে গেলেও তার দাগ থেকে যায়। সঠিক সময় ব্যবস্থা না নিলে দাগ স্থায়ী হয়ে যেতে পরে। এ ধরনের দাগছোপের জন্য চন্দন ব্যবহার করা যেতে পারে। এটি ত্বক উজ্জ্বল করতেও সাহায্য করে। অনেক সময় ব্রণ হওয়া প্রতিরোধ করে এবং ত্বকে দাগ বসতে দেয় না। এ ক্ষেত্রে ২ টেবিল চামচ চন্দনগুঁড়া কিছুটা গোলাপজলের সঙ্গে মিশিয়ে ঘন মিশ্রণ তৈরি করে মুখের ত্বকে লাগিয়ে আধঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলতে হবে। সপ্তাহে একবার বা দুবারের বেশি মিশ্রণটি ব্যবহার করা উচিত নয়।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২৩৫ বার পড়া হয়েছে





