অযত্ন অবহেলায় দাঁত ক্ষয়ে যায় বা গর্ত তৈরি হয়, যেটাকে ক্যাভিটি বলে। দাঁতে ক্যাভিটি হলে ব্যথা অনুভূত হয়। এছাড়া ফিলিং পড়ে গেলে, দাঁত ফেটে গেলে, মাড়িতে ফোঁড়া হলে ও সাইনাস সংক্রমণ হলেও দাঁত ব্যথা করে। দাঁতে ব্যথা করলে স্থায়ী সমাধানের জন্য ডেন্টিস্টের কাছে যেতে হয়। ডেন্টিস্টের কাছে যাওয়ার আগমুহূর্ত পর্যন্ত ব্যথা কমাতে কিছু কার্যকর ঘরোয়া পদ্ধতি রয়েছে। এখানে দাঁতের ব্যথা থেকে সাময়িক মুক্তি দিতে পারে এমনকিছু পদ্ধতি সম্পর্কে বলা হলো।
লবঙ্গ তেল: দাঁতের ব্যথা কমানোর একটি সহজ ও কার্যকর উপায় হলো লবঙ্গ তেলের (ক্লোভ অয়েল) ব্যবহার। লবঙ্গ তেলের স্নায়ুকে অবশ করার ক্ষমতা রয়েছে। কিন্তু সতর্কতার সঙ্গে লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে হয়। মাড়ির টিস্যু সংবেদনশীল হলে অথবা জিহ্বাতে ব্যবহার করলে ব্যথা আরো বেড়ে যেতে পারে। তাই দাঁতের যেখানে ব্যথা হচ্ছে কেবলমাত্র সেই অংশে লবঙ্গ তেল ব্যবহার করতে হবে। একটি কটন বলে দুই ফোঁটা লবঙ্গ তেল লাগিয়ে দাঁতের ব্যথার স্থানে চেপে ধরুন ব্যথা না কমা পর্যন্ত। ব্যথার স্থানে লবঙ্গ গুঁড়াও প্রয়োগ করতে পারেন। অথবা একটি লবঙ্গকে এমনভাবে চাবাতে থাকুন যেন ওটা থেকে তেল বের হয়ে আক্রান্ত দাঁতের সংস্পর্শে এসে ব্যথা কমতে পারে। ব্যথা না কমা পর্যন্ত লবঙ্গটিকে রেখে দিন।
আদা ও মরিচ গুঁড়ার পেস্ট: দাঁতের ব্যথা কমাতে আরেকটি কার্যকর পদ্ধতি হলো আদা ও মরিচ গুঁড়ার পেস্ট। পর্যাপ্ত পানিতে সমান পরিমাণ আদার গুঁড়া ও মরিচ গুঁড়া মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এরপর একটি কটন বলে কিছু পেস্ট লাগিয়ে আক্রান্ত দাঁতে চেপে ধরুন। ব্যথা না কমা পর্যন্ত অথবা যতক্ষণ সহ্য করতে পারেন রেখে দিন। খেয়াল রাখতে হবে এই পেস্ট যেন মাড়ি ও জিহ্বার সংস্পর্শে না আসে। আপনি চাইলে আদা ও মরিচ গুঁড়াকে আলাদাভাবে ব্যবহার করতে পারেন, কারণ উভয়েই শক্তিশালী ব্যথানাশক।
লবণ পানি: এক মগ (কফি মগ) কুসুম গরম পানিতে এক চা-চামচ লবণ মিশিয়ে কুলি করলে দাঁতের ব্যথা প্রশমিত হবে।লবণ পানি ব্যথানাশক মাউথওয়াশ হিসেবে কাজ করে, যা ব্যথার ইন্ধনকে দূর করে ও ফোলা কমায়। লবণ পানি মুখে কমপক্ষে ৩০ সেকেন্ড রেখে কুলি করতে হবে। দাঁতের ব্যথা কমাতে এটা বেশ কার্যকর পদ্ধতি।
পুদিনার চা: পুদিনার চায়ে চমৎকার ঘ্রাণ ও অবশকারী শক্তি রয়েছে। এক মগ ফুটন্ত পানিতে এক চা চামচ শুকনো পুদিনা পাতার গুঁড়া মিশিয়ে ২০ মিনিট রেখে ঠান্ডা করুন। এখন মুখে কমপক্ষে ৩০ সেকেন্ড রেখে কুলি করলে দাঁতের ব্যথা প্রশমিত হবে। এছাড়া ব্ল্যাক টি এর ট্যানিন ফোলা কমিয়ে ব্যথা উপশম করতে পারে। ব্যথা থেকে সাময়িক মুক্তি পেতে একটি ব্ল্যাক টি ব্যাগকে গরম পানিতে ভিজিয়ে আক্রান্ত দাঁতে চেপে ধরতে পারেন।
ফিচার বিজ্ঞাপন
জাকার্তা ও বালি ৭দিন ৬ রাত
ব্যাংকক-ফুকেট-ফিফি আইল্যান্ড-সাফারি ওয়ার্ল্ড
Moscow, Novosibirsk ,Irkutsk & St.Petersburg 9D/8N
বরফ: দাঁতের ব্যথা কমানোর একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি হলো বরফের ব্যবহার। একটি প্লাস্টিক ব্যাগে এক টুকরো বরফ নিন।ব্যাগটিকে একটি পাতলা কাপড়ে পেঁচিয়ে আক্রান্ত দাঁতে প্রায় ১৫ মিনিট রেখে দিন। এতে স্নায়ুগুলো অবশ হয়ে ব্যথা কমবে। এর পরিবর্তে গালের যে অংশে দাঁত ব্যথা করছে সেখানে বরফের ব্যাগ রাখলেও উপকার পাবেন। এছাড়া হাতে বরফ ম্যাসাজ করলেও ব্যথার অনুভূতি কমে যাবে, কারণ আঙুলের স্নায়ুগুলো থেকে মস্তিষ্কে যে ঠান্ডা সংকেত পৌঁছে তা দাঁত থেকে আগত ব্যথা সংকেতের ওপর ঝেঁকে বসে।
চুয়িং গাম: দাঁত ভেঙে গেলে অথবা ক্ষয়প্রাপ্ত হলে অথবা ফিলিং ওঠে আসলে সেখালে চুয়িং গাম লাগিয়ে রাখলে ব্যথা কিছুটা কমবে। অন্তত ডেন্টিস্টের কাছে গিয়ে চিকিৎসা না নেওয়া পর্যন্ত এই পদ্ধতি সহায়ক হতে পারে।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)২৫৪ বার পড়া হয়েছে