শীতকাল হলো কাশির প্রধান মৌসুম। এসময় জীবনযাপনে অসতর্কতায় যেকেউ সহজেই ভাইরাসে সংক্রমিত হতে পারেন ও উপসর্গ হিসেবে কাশতে পারেন। সাধারণত ভাইরাস সংক্রমণের ক্ষেত্রে ভাইরাস সংক্রমণ চলে গেলে কাশিও দূর হয়ে যায়। সাধারণত স্বাস্থ্যবান মানুষেরা ভাইরাসে আক্রান্ত হলে সাত থেকে ১০ দিনের মধ্যে সেরে ওঠেন, কিন্তু কাশি আরো কিছুদিন থেকে যেতে পারে। কারণের ওপর ভিত্তি করে কাশির স্থায়িত্ব কম-বেশি হতে পারে। তবে নর্থওয়েস্টার্ন মেডিসিন লেক ফরেস্ট হসপিটালের পালমোনলজিস্ট জেসন সি. রাও আশ্বস্ত করেছেন যে বেশিরভাগ কাশিই বিপদজনক নয়। তাই কাশতে থাকলে কাশি নিরাময়ের ঘরোয়া উপায় অনুসরণ করে দেখতে পারেন। কিন্তু এরপরও কাশি তিন-চার সপ্তাহের মধ্যে চলে না গেলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে।

দীর্ঘস্থায়ী কাশিকে মেডিক্যালের পরিভাষায় ক্রনিক কফ বলা হয়। প্রাপ্তবয়স্ক মানুষ ও শিশুর কাশি যথাক্রমে ৮ ও ৪ সপ্তাহ বিদ্যমান থাকলে অথবা আসা-যাওয়ার মধ্যে থাকলে তাকে ক্রনিক কফ বলতে পারেন। ডা. রাও বলেন, ‘অনেক কারণে দীর্ঘস্থায়ী কাশি হতে পারে। ৮০ থেকে ৯০ শতাংশ দীর্ঘস্থায়ী কাশির কারণ তিনটি: হাঁপানি বা কফ ভেরিয়ান্ট অ্যাজমা, পোস্টনাসাল ড্রিপ (আপার এয়ারওয়ে কফ সিন্ড্রোম) এবং জিইআরডি/এসিড রিফ্লাক্স।’ এখানে দীর্ঘস্থায়ী কাশির এই তিন কারণ সম্পর্কে বলা হলো।

* কফ ভেরিয়ান্ট অ্যাজমা: ডা. রাও বলেন, ‘সাধারণত অ্যাজমা হলে শুষ্ক কাশি হয়ে থাকে। এই কাশি শ্বাসনালীকে সরু করতে পারে। অ্যাজমার উল্লেখযোগ্য প্রচলিত উপসর্গ হলো- পুনরাবৃত্তিমূলক শুষ্ক কাশি, শ্বাসপ্রশ্বাসের সময় বুকের ভেতর শব্দ হওয়া ও শ্বাসকষ্ট।’ দুই কারণে অ্যাজমা হয়ে থাকে: অ্যালার্জি এবং মানসিক চাপ, শরীরচর্চা ও রোগের প্রতি নন-অ্যালার্জিক রেসপন্স। কফ ভেরিয়ান্ট অ্যাজমাতে শুষ্ক কাশি ছাড়া অ্যাজমার অন্যান্য প্রচলিত উপসর্গ প্রকাশ পায় না বললেই চলে। প্রায়ক্ষেত্রে শুষ্ক কাশিই একমাত্র উপসর্গ। এই ধরনের অ্যাজমা শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়। অ্যাজমা হয়েছে সন্দেহে চিকিৎসকের কাছে গেলে তিনি ব্রিদিং টেস্ট নিতে পারেন। তিনি প্রয়োজনে ইনহেলার ব্যবহারের পরামর্শ দিতে পারেন।

* পোস্টনাসাল ড্রিপ: আপার এয়ারওয়ে কফ সিন্ড্রোম নামেও পরিচিত পোস্টনাসাল ড্রিপ হলো সেই অবস্থা যখন নাকের শ্লৈষ্মিক ঝিল্লিতে উৎপন্ন শ্লেষ্মা নাকের পেছনে বা গলায় সঞ্চিত হয়। ডা. রাও বলেন, ‘পোস্টনাসাল ড্রিপের ক্ষেত্রে নাকে উৎপাদিত তরল ফোঁটায় ফোঁটায় গলায় ক্ষরিত হয়ে প্রতিনিয়ত এপিগ্লটিস ও ভোকাল কর্ডসকে উক্ত্যক্ত করে কাশির উদ্ভব ঘটায়। আপনার নাক যত বেশি শ্লেষ্মা তৈরি করবে, এই কাশি তত ভেজা হবে।’ ডা. রাও আরো জানান, ‘ভাইরাস সংক্রমণ, ব্যাকটেরিয়াল সাইনুসাইটিস, অ্যালার্জি ও হে ফিভারের (অনবরত হাঁচি) কারণে পোস্টনাসাল ড্রিপ হতে পারে।’ পোস্টনাসাল ড্রিপের কয়েক প্রকার চিকিৎসা রয়েছে, যেমন- স্যালাইন (লবণ পানি) দিয়ে নাক পরিষ্কার করা অথবা ওটিসি নাসাল স্প্রে ব্যবহার করা।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Manila 5D/4N

মূল্য: 49,900 Taka

Email Marketing

মূল্য: ৫,০০০ টাকা

* জিইআরডি: জিইআরডি’র পূর্ণরূপ হলো গ্যাস্ট্রোইসোফাজিয়াল রিফ্লাক্স ডিজিজ। অনবরত বুকজ্বালা করলে সন্দেহ করতে পারেন যে জিইআরডি রয়েছে। ডা. রাও বলেন, ‘পাকস্থলিতে নিঃসরিত অ্যাসিড পাকস্থলি থেকে খাদ্যনালী, এপিগ্লটিস ও মুখে আসার সমস্যাকে জিইআরডি বলা হয়। এই সমস্যা থেকে কাশি সৃষ্টি হতে পারে। আপনার সমস্যাটি থাকলে মুখে অম্ল (টক) স্বাদ অনুভব হতে পারে। মসলাদার খাবার, ভাজা খাবার, ক্যাফেইন, চকলেট, অ্যালকোহল ও টক জাতীয় খাবার খেলে জিইআরডি উদ্দীপ্ত হয়ে থাকে। খাবার খেয়ে তৎক্ষণাৎ শুয়ে পড়লেও জিইআরডি হতে পারে। আরেকটি ধরন রয়েছে যেটাকে সাইলেন্ট রিফ্লাক্স বলে। সাইলেন্ট রিফ্লাক্সের ক্ষেত্রে খাবার না খেলেও প্রায়সময় পাকস্থলির অ্যাসিড ওপরের দিকে ওঠে আসে।’ সাইলেন্ট রিফ্লাক্সে জিইআরডির প্রচলিত উপসর্গ অনুপস্থিত থাকে। একারণে এটাকে সাইলেন্ট তথা নীরব আখ্যা দেয়া হয়েছে। স্থূলতা, ধূমপান, বেশি খাবার খাওয়া ও দুর্বল লোয়ার ইসোফাজিয়াল স্ফিংকটারের (খাদ্যনালীকে পাকস্থলি থেকে পৃথককারী ভালভ) কারণেও পাকস্থলির অ্যাসিড খাদ্যনালীতে ওঠে আসতে পারে। সমস্যাটি এড়াতে আপনার ডায়েটে সংযোজন-বিয়োজনের প্রয়োজন রয়েছে। সেসব খাবার এড়িয়ে চলুন যা সমস্যাটিকে প্ররোচিত করে। ঘুমানোর তিন ঘণ্টা আগে খেয়ে নিন ও অতিভোজন থেকে বিরত থাকুন।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...



২৪২ বার পড়া হয়েছে