জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী এবং স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে ঘোষিত মুজিববর্ষে দেশের গৃহহীন, ভূমিহীন, দরিদ্র-অসহায় পরিবারের নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য বিনামূল্যে ঘর প্রদানের সুবৃহৎ প্রকল্প গ্রহণ করেছে সরকার।
আশ্রয়ণ প্রকল্প-২-এর অধীনে চলমান কর্মসূচির প্রথম ধাপে সারা দেশে ৬৯ হাজার ৯০৪টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে বিনামূল্যে বসবাসের উপযোগী পাকা ঘর নির্মাণ করে উপহার দিয়েছে শেখ হাসিনা সরকার।
দুস্থ-ভূমিহীনদের জন্য বিনামূল্যে এত বিপুলসংখ্যক ঘর নির্মাণ করে দিয়ে বিশ্বজুড়ে অনন্য নজির স্থাপন করেছেন বঙ্গবন্ধুকন্যা, এ দেশের সবচেয়ে সফল প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা।
‘মুজিববর্ষে কেউ গৃহহীন থাকবে না’-এ লক্ষ্য বাস্তবায়নের অংশ হিসাবে আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের অধীনে দেশের ভূমিহীন ও গৃহহীনদের ঘর করে দিতে এখন পর্যন্ত প্রায় ৯ লাখ পরিবারকে তালিকাভুক্ত করা হয়েছে, যার প্রথম ধাপ এরই মধ্যে বাস্তবায়িত হয়েছে। ২৩ জানুয়ারি গণভবন থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে আনুষ্ঠানিকভাবে ঘর বিতরণ কার্যক্রম উদ্বোধনের মাধ্যমে গৃহহীন পরিবারগুলোকে মাথা গোঁজার নিরাপদ ঠাঁই উপহার দিয়ে বিশ্বের বুকে এক নতুন ইতিহাস রচনা করেছে বাংলাদেশ।
উল্লেখ্য, জাতির পিতা গৃহহীনদের বাসস্থান দেওয়ার রেওয়াজ চালু করেন, তবে তার মৃত্যু-পরবর্তী সরকারগুলো তা বাদ দিয়ে দেয়। বঙ্গবন্ধু এ দেশের মানুষের অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান নিশ্চিত করার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন এবং আমরা গর্বিত তারই সুযোগ্যকন্যা তার স্বপ্ন বাস্তবায়ন করে চলেছেন।
মুজিববর্ষে প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া বিনামূল্যের ঘর উপহার পেয়ে দেশজুড়ে খুশির জোয়ার বইছে একসময়ের গৃহহীন পরিবারগুলোর মধ্যে। উপহার হিসাবে তারা পেয়েছেন দুই কক্ষবিশিষ্ট একটি ঘর।
এতে দুটি রুম ছাড়াও সামনে একটি বারান্দা, একটি টয়লেট, একটি রান্নাঘর এবং একটি খোলা জায়গা রয়েছে। ইটের দেওয়াল, সঙ্গে মাথার উপর রঙিন টিন। প্রতিটি ঘর নির্মাণের জন্য খরচ হয়েছে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা। এর অতিরিক্ত হিসাবে মালামাল পরিবহনের জন্য আরও ৪ হাজার টাকা দেওয়া হবে প্রতিটি পরিবারকে।
সারাজীবন বৃষ্টিতে ভিজে, রোদে পুড়ে গৃহহীন, আশ্রয়হীন থাকা মানুষ প্রধানমন্ত্রীর দেওয়া উপহার পেয়ে দারুণ উল্লসিত। সবার চোখে-মুখে বইছে আনন্দের বন্যা। দীর্ঘস্থায়ী একটা ঘর, এক টুকরো জমি, একটু মাথা গোঁজার ঠাঁই খুঁজে পাওয়ার যে স্বপ্ন তারা সারাজীবন দেখেছেন, মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বদান্যতায় সেই স্বপ্ন আজ বাস্তবায়িত হয়েছে মানুষের।
৬৯ হাজার ৯০৪ পরিবারের মধ্যে ৬৬ হাজার ১৮৯টি ভূমিহীন-গৃহহীন পরিবারকে দুই শতাংশ খাসজমির মালিকানা দিয়ে বিনা পয়সায় দুই কক্ষবিশিষ্ট ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন তিনি মুজিববর্ষের উপহার হিসাবে।
একইসঙ্গে ২১ জেলার ৩৬টি উপজেলায় ৪৪ প্রকল্পের মাধ্যমে ৩ হাজার ৭১৫ পরিবারকে ব্যারাকে পুনর্বাসন করা হয়। দুস্থ ও গৃহহীন মানুষের পুনর্বাসনের জন্য গৃহীত এ প্রকল্প এখন পর্যন্ত বিশ্বের সবচেয়ে বৃহৎ গৃহায়ন প্রকল্পগুলোর অন্যতম।
শেখ হাসিনা দেশের শাসনভার গ্রহণ করার পর থেকেই দেশের অর্থনৈতিক সচ্ছলতার পাশাপাশি দুস্থ-দরিদ্র-অসহায় মানুষের ভাগ্যোন্নয়নে সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে কাজ করে যাচ্ছেন।
তার দূরদর্শী নেতৃত্বে দ্রুতগতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। যথাযথ অর্থনৈতিক পরিকল্পনা ও উন্নয়নের সুনির্দিষ্ট রোডম্যাপ একের পর এক বাস্তবায়নের মাধ্যমে বাংলাদেশ এগিয়ে চলছে উন্নয়নের মহাসড়কে।
এদেশের মানুষের স্বপ্নের পদ্মা সেতু আজ দৃশ্যমান। দেশের ইতিহাসে প্রথমবারের মতো স্থাপিত হচ্ছে মেট্রোরেল, রূপপুর পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র। এতসব কিছুর পাশাপাশি দেশের ভাগ্যহত ৯ লাখ মানুষকে মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দেওয়ার যে নজিরবিহীন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে সরকার, তা অতুলনীয়, অবিস্মরণীয়।
প্রধানমন্ত্রী নিজেও এ প্রকল্প বাস্তবায়ন করতে পেরে আবেগে আপ্লুত হয়েছেন। গৃহহীনদের ঘর প্রদান অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করতে গিয়ে তিনি বলেছেন, ‘আজকে সত্যি আমার জন্য একটি আনন্দের দিন। কারণ এ দেশের যারা সব থেকে বঞ্চিত মানুষ, যাদের কোনো ঠিকানা ছিল না, ঘর-বাড়ি নেই, আজকে তাদের অন্তত একটা ঠিকানা, মাথা গোঁজার ঠাঁই করে দিতে পেরেছি। আমি জানি না, পৃথিবীর কোনো দেশে কখনো অথবা আমাদের দেশে কোনো সরকার এত দ্রুত এতগুলো ঘর করেছে। … এ ঘরগুলো তৈরি করা সহজ কথা নয়।’
সবার জন্য আবাসন নিশ্চিত করার দৃঢ় প্রত্যয় পুনর্ব্যক্ত করে টানা তিনবারের সরকারপ্রধান বলেন, ‘মুজিববর্ষে একটি মানুষও গৃহহারা থাকবে না। আমরা সবার জন্য ঠিকানা করে দেব, সবাইকে ঘর করে দেব।
বাংলাদেশের প্রতিটি মানুষ যেন সুন্দরভাবে বসবাস করতে পারে সেটাই আমার লক্ষ্য।’ সুখের বিষয়, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় সব সরকারি কর্মচারী ও কূটনীতিক প্রধানমন্ত্রীর এ প্রোগ্রামে তাদের এক মাসের বেতন দিয়ে শরিক হয়ে নিজেদের ভাগ্যবান মনে করেন।
ভিডিও কনফারেন্সে যোগ দেওয়া ঘর উপহার পাওয়া এক অসহায় নারীর কান্নার জবাবে তাকে সান্ত্বনা দিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আপনি কাঁদবেন না। আমি মনে করি, এটি আমার কর্তব্য। প্রধানমন্ত্রী হিসাবে, জাতির পিতার কন্যা হিসাবে দেশের মানুষের জন্য কাজ করব, এটাই সিদ্ধান্ত নিয়েছি। তার স্বপ্ন পূরণ করব। দেশের মানুষের ভাগ্য পরিবর্তন করতে হবে। সেজন্য আমি আমার জীবনকে উৎসর্গ করেছি। বাংলাদেশে একটি মানুষও যেন গৃহহীন ও ভূমিহীন না থাকে আমি সেই ব্যবস্থা করব। সেই সঙ্গে আপনারা যেন আপনাদের জীবন-জীবিকার পথ খুঁজে পান সেই ব্যবস্থাও করব।’
ফিচার বিজ্ঞাপন
বাংকক-ক্রাবি-সাফারি ওয়ার্ল্ড ৫দিন ৪ রাত
Cambodia (Siem Reap & Angkor Wat) 3D/2N
Maldives (Centara Ras Fushi Resort & Spa) 3D/2N
১৯৯৬ সালে আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতা গ্রহণের পর ঘূর্ণিঝড় আক্রান্ত ও নদীভাঙনকবলিত ভূমিহীন, গৃহহীন ও ছিন্নমূল পরিবারকে পুনর্বাসনের লক্ষ্যে প্রথমবারের মতো ১৯৯৭ সালে একটি প্রকল্প গ্রহণ করে। শেখ হাসিনা গৃহীত এ আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে ১৯৯৭ থেকে ২০২০ সাল পর্যন্ত ৩ লাখ ৮৫ হাজার ৪৭৩টি ভূমিহীন ও গৃহহীন পরিবারকে পুনর্বাসন করা হয়েছে। জাতির পিতা বঙ্গবন্ধুর ‘গুচ্ছগ্রাম’ কর্মসূচিকে অনুসরণ করে ১৯৯৬ সালে ক্ষমতায় এসে আওয়ামী লীগ সরকার ঘরে ফেরা কর্মসূচি, গৃহায়ন কর্মসূচি শুরু করে, যার উদ্দেশ্য হলো-ভূমিহীন, গৃহহীন, ছিন্ন অসহায় দরিদ্র জনগোষ্ঠীর পুনর্বাসন, ঋণ প্রদান ও প্রশিক্ষণের মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহে সক্ষম করে তোলা এবং আয় বাড়ে এমন কার্যক্রম সৃষ্টির মাধ্যমে দারিদ্র্যদূরীকরণ। এর আগে গত বছরের ২৩ জুলাই কক্সবাজার জেলায় জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র খুরুশকুল আশ্রয়ণ প্রকল্পের প্রথম ধাপে নির্মিত ২০টি ভবনের উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। সেখানে প্রথম ধাপে উদ্বোধন হওয়া ভবনগুলোতে ফ্ল্যাট পেয়েছেন ৬০০টি পরিবার। ১০০১ টাকা নামমাত্র মূল্যে এসব ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেন প্রধানমন্ত্রী। সরকারের নিজস্ব অর্থায়নে ১৮০০ কোটি টাকা ব্যয়ে প্রথম ধাপে নির্মিত ৫ তলা ২০টি ভবনসহ প্রকল্পে মোট ১৩৯টি ভবন নির্মাণ করা হবে। প্রতিটি পাঁচতলা ভবনে থাকছে ৪৫৬ বর্গফুট আয়তনের ৩২টি করে ফ্ল্যাট। ‘খুরুশকুল’ প্রকল্পের সব ভবন নির্মিত হলে উদ্বাস্তু জীবনের অস্বাস্থ্যকর, নোংরা পরিবেশ ছেড়ে সাজানো পরিপাটি দালানে উঠবেন মোট প্রায় সাড়ে ৪ হাজার পরিবার। খুরুশকুলে বাঁকখালী নদীর তীরে ২৫৩ একর জমির উপর গড়ে ওঠা এ বিশেষ আশ্রয়ণ প্রকল্পও জলবায়ু উদ্বাস্তুদের জন্য গড়ে ওঠা বিশ্বের সবচেয়ে বড় আশ্রয়কেন্দ্র। এটিও বাস্তবায়ন করার গৌরব অর্জন করেছে শেখ হাসিনার সরকার।
শেখ হাসিনার সুযোগ্য নেতৃত্বে দেশের অর্থনীতির সামগ্রিক উন্নয়নের পাশাপাশি দারিদ্র্যের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায়ও তরতর করে এগিয়ে যাচ্ছে বাংলাদেশ। দারিদ্র্য নিরসনের রোল মডেল হিসাবে স্বীকৃতি মিলছে বিশ্বজুড়ে। জাতিসংঘ উন্নয়ন কর্মসূচি-ইউএনডিপি প্রকাশিত ‘মাল্টিডাইমেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স ২০১৯’ অনুযায়ী দ্রুত দারিদ্র্যবিমোচনে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখছে যেসব দেশ, তার মধ্যে বাংলাদেশ এখন ৩ নম্বরে। জাতিসংঘের টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্য এসডিজিতে যে ১৭টি লক্ষ্য ঠিক করা হয়েছে, তার প্রথমটি হল দারিদ্র্যবিমোচন। ২০৩০ সালের মধ্যে সব জায়গা থেকে ‘বহুমাত্রিক’ দারিদ্র্য দূর করার কথা বলা হয়েছে সেখানে। এ লক্ষ্য অর্জনে জাতিসংঘ অধিভুক্ত দেশগুলোর সক্ষমতা ও অগ্রগতি পর্যালোচনা ও বোঝার একটি কৌশল হলো ‘মাল্টিডাইমেনশনাল পভার্টি ইনডেক্স’ বা এমপিআই। এর ভিত্তিতেই বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত দারিদ্র্য নিরসন করছে এমন তিনটি দেশের মধ্যে বাংলাদেশ একটি। অন্য দুটি দেশ হলো-ভারত ও কম্বোডিয়া। বাংলাদেশ ২০০৪ থেকে ২০১৪ সালের মধ্যে প্রায় ১ কোটি ৯৩ লাখ মানুষকে দারিদ্রসীমার বাইরে আনতে সক্ষম হয়েছে।
দারিদ্র্য হ্রাসে সরকার গ্রামীণ অর্থনীতিতে অর্জিত গতিশীলতা ও হতদরিদ্রদের জন্য টেকসই নিরাপত্তাবেষ্টনীর মাধ্যমে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা, অতিদরিদ্র ও দুস্থদের জন্য বিনামূল্যে খাদ্য বিতরণ, কাজের বিনিময়ে খাদ্য ও টেস্ট রিলিফ, জিআর, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্প, আশ্রয়ণ, গৃহায়ন, আদর্শগ্রাম, গুচ্ছগ্রাম, ঘরে ফেরা ইত্যাদি কর্মসূচির পাশাপাশি ওএমএস, ফেয়ার প্রাইস কার্ড, ভিজিডি, প্রতিবন্ধীদের জন্য ভাতা, বিধবা, স্বামী নিগৃহীতা ও দুস্থ মহিলা ভাতা, মাতৃত্বকালীন ভাতা, ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা, চর জীবিকায়ন ইত্যাদি কর্মসূচি বাস্তবায়ন করছে। এছাড়া দারিদ্র্যবিমোচনের লক্ষ্যে নারীদের আত্মকর্মসংস্থানের জন্য ক্ষুদ্রঋণ, ভিক্ষাবৃত্তিতে নিয়োজিত গোষ্ঠীর পুনর্বাসন ও বিকল্প কর্মসংস্থান কর্মসূচি বাস্তবায়ন হচ্ছে। যেখানে ২০০৭-০৮ অর্থবছরে সামাজিক নিরাপত্তা খাতে মোট ব্যয় ছিল ১১ হাজার ৪৬৭ কোটি টাকা, সেখানে ২০১৭-১৮ অর্থবছরে ভাতার পরিমাণ ও আওতা বৃদ্ধিপূর্বক ৫৪ হাজার ২০৬ কোটি টাকা বরাদ্দ প্রদান করা হয়েছে, যা বাজেটের ১৩ দশমিক ৫৪ শতাংশ এবং জিডিপির প্রায় ২ দশমিক ৪৪ শতাংশ। ‘খানা আয় ও ব্যয় জরিপ-২০১৫-১৬’ থেকে দেখা যায়, দেশের ২৮ শতাংশ দরিদ্র জনগোষ্ঠী সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীর আওতাভুক্ত। সামাজিক নিরাপত্তাবেষ্টনীকে আরও যুগোপযোগী ও কার্যকর করার লক্ষ্যে সরকার প্রথমবারের মতো ‘জাতীয় সামাজিক নিরাপত্তা কৌশল’ (২০১৫) প্রণয়ন করেছে।
একটি দেশকে অর্থনৈতিকভাবে সক্ষম ও অগ্রগতিশীল করে তুলতে যেসব উদ্যোগ নেওয়া জরুরি, তার সবই সুনিপুণভাবে একের পর এক গ্রহণ ও বাস্তবায়ন করে চলেছেন জাতির পিতার কন্যা শেখ হাসিনা। তার হাত ধরেই রচিত হচ্ছে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের গৌরবময় ইতিহাস। বিশ্বব্যাপী চলমান করোনাভাইরাসের ভয়াবহতার ভেতরও অর্থনীতির চাকা অত্যন্ত সফলতার সঙ্গে চালু রেখেছেন তিনি। করোনা মহামারির এ দুঃসময়ে বিশ্বের অন্যান্য দেশের মানুষ যখন হতাশা ও দুর্দশায় নিমজ্জিত, সেই সময়ে বাংলাদেশের গৃহহীন মানুষের নিরাপদ আবাসনের জন্য শেখ হাসিনা বাস্তবায়ন করে চলেছেন আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের মাধ্যমে বিনামূল্যে ঘর প্রদান কর্মসূচি। দুর্দিনে প্রধানমন্ত্রীর তরফ থেকে এ উপহার পেয়ে গৃহহীন-ভূমিহীন মানুষ প্রাণ খুলে দোয়া করছেন জননেত্রী শেখ হাসিনার জন্য। তার হাত ধরেই রচিত হবে আগামীর উন্নত বাংলাদেশ, সেদিন আর বেশি দূরে নয়।
দেশের উন্নয়নে বাস্তবধর্মী যুক্তিনির্ভর সব প্রস্তাব পরিকল্পনা, যা দেশের ও দশের মঙ্গলের জন্য নিবেদিত, দেশরত্ন শেখ হাসিনা তা সহজেই অনুমোদন করেন। তবে দুঃখের বিষয়, যারা এ পরিকল্পনাগুলো সম্পন্ন করেন, কোনো কোনো ক্ষেত্রে এবং তাদের কেউ কেউ কাজগুলো ঠিকমতো করেন না।
তারা ঠিকমতো করলে মানুষের হয়রানি কম হতো। যে যে এলাকায় কাজ হচ্ছে, সেসব এলাকার জনগণ কাজ ঠিকমতো হচ্ছে কিনা তা দেখভাল করে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি বা ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষকে জানালে কারেকটিভ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যেতে পারে।
বস্তুত, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্ন ‘সোনার বাংলা’ একটা উন্নত, সমৃদ্ধ, স্থিতিশীল, অসাম্প্রদায়িক অর্থনীতি-যেখানে অন্ন-বস্ত্র-বাসস্থান সবার জন্য নিশ্চিত হবে, যা অর্জনের জন্য দল-মত-নির্বিশেষে সবাই একসঙ্গে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে এগিয়ে এলে অবশ্যই ২০৪১ সালের মধ্যে আমরা তা অর্জন করতে পারব এবং বাংলাদেশকে বিশ্বের অন্যতম শ্রেষ্ঠ জাতি হিসাবে প্রতিষ্ঠিত করতে পারব।
মনে রাখতে হবে, আমরা বিজয়ী জাতি, আমরা অবশ্যই আমাদের ঈপ্সিত লক্ষ্যগুলো অর্জন করতে পারব।
ড. এ কে আবদুল মোমেন : পররাষ্ট্রমন্ত্রী, গণপ্রজাতন্ত্রী বাংলাদেশ সরকার
Source: Jugantor
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
৩০৬ বার পড়া হয়েছে




