রাঙামাটির কাপ্তাই কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎকেন্দ্রের প্রধান বাঁধ সংলগ্ন এলাকায় আজ বুধবার ৭.৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন সৌর বিদ্যুৎকেন্দ্র উদ্বোধন করা হবে। ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এই প্রকল্পের উদ্বোধন করবেন।

উদ্বোধনের পর এই কেন্দ্র থেকে জাতীয় গ্রিডে বিদ্যুৎ সরবরাহ শুরু হবে। কর্ণফুলী পানি বিদ্যুৎ কেন্দ্রের ব্যবস্থাপক প্রকৌশলী এটিএম আব্দুজ্জাহের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

কাপ্তাইয়ে সৌর শক্তির সাহায্যে সরকারিভাবে দেশের প্রথম সোলার বিদ্যুৎকেন্দ্র নির্মিত হচ্ছে। ২০২০ সালের মধ্যে বিদ্যুতের মোট উৎপাদনের ১০ ভাগ নবায়নযোগ্য শক্তি থেকে উৎপাদনের লক্ষ্যে, ২০১৭ সালের ৯ জুলাই প্রকল্পটির কাজ শুরু হয়। বর্তমানে পরীক্ষামূলকভাবে বিদ্যুৎ উৎপাদন চলছে। এ প্রকল্পের প্রতি কিলোওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন ব্যয় ধরা হয়েছে পাঁচ টাকা ৪৮ পয়সা।

জেটটি করপোরেশনের প্রজেক্ট ম্যানেজার আবু বক্কর ছিদ্দিক জানান, পাওয়ার প্ল্যান্টটি নির্মাণ করছে চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেটটি করপোরেশন। ২৪ হাজার ১২টি প্যানেল স্থাপনের মাধ্যমে সোলার প্যানেলটি স্থাপন করা হয়েছে। এই ইউনিট থেকে ৭.৪ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন হওয়ার কথা থাকলেও, এখন পর্যন্ত ৬.৭ মেগাওয়াট বিদ্যুৎ উৎপাদন করা সম্ভব হয়েছে, যা সোলারচালিত কেন্দ্রের জন্য সন্তোষজনক। এ প্রকল্প থেকে আগামী ২৫ বছর পর্যন্ত নিরবচ্ছিন্ন সেবা পাওয়া যাবে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

US Visa for Retired Person

মূল্য: 5,000 Taka

কাপ্তাই জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের প্রকল্প ইঞ্জিনিয়ার মো. জাহাঙ্গীর আলম বলেন, আগামী দুই বছর চীনের ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান জেটটি কর্পোরেশন এর দেখভালের দায়িত্বে থাকবে। এটি কাপ্তাই কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের হাতে ন্যস্ত থাকবে দুই বছর। এই প্রকল্পের মাধ্যমে রাঙামাটি, কাপ্তাই ও লিচু বাগান পর্যন্ত বিদ্যুৎ সরবরাহের পর আরও দুই-তিন মেগাওয়াট বিদ্যুৎ থাকে, যা জাতীয় গ্রিডে যুক্ত করা হবে।

কর্ণফুলী জলবিদ্যুৎ কেন্দ্রের ম্যানেজার এটিএম আব্দুরজ্জাহের বলেন, নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ উৎপাদনের লক্ষ্যে এই কেন্দ্রটি স্থাপন করা হয়েছে। কাপ্তাই হ্রদের ওপর ভাসমান আরও ৫০ মেগাওয়াটের একটি সোলার প্যানেল বিদ্যুৎকেন্দ্র স্থাপনের উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। এর কাজ খুব শিগগিরই শুরু হবে। ১১০ কোটি টাকা ব্যয়ে ৭.৪ মেগাওয়াট ক্ষমতাসম্পন্ন এই প্রকল্পে অর্থ সহায়তা দিচ্ছে এশিয়ান ডেভেলপমেন্ট ব্যাংক (এডিবি)। ৫০ মেগাওয়াটের নবায়নযোগ্য বিদ্যুৎ প্রকল্পটি বাস্তবায়নেও সহায়তা দেবে এডিবি।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৭৭১ বার পড়া হয়েছে