সুপারবাইক নিয়ে জানার আগ্রহ আমাদের সবার মাঝেই বিদ্যমান। যদিও সিসি লিমিট থাকার কারনে আমাদের দেশে ১৬৫ সিসির চাইতে বেশি সিসির বাইক ব্যবহারের অনুমতি নেই সাধারণ জনগণের জন্য। কিন্তু উন্নত বিশ্বে এমন সব সুপারবাইক রাস্তা দিয়ে ছুটে চলছে যার সম্পর্কে আমরা খুব কমই জানি। আজ আমরা এমনি ১০ টি দ্রুতগতির সুপারবাইক সম্পর্কে জানবো যার গতি হয়তো আপনার চিন্তার বাইরে। চলুন তাহলে শুরু করা যাক।
১/ ডজ টমাহকঃ
সুপার বাইকের তালিকায় প্রথম স্থানটি যে বাইক দখল করে আছে সেটির নাম ডজ টমাহক।
২০০৩ সালের দিকে আমেরিকান গাড়ির কোম্পানি ডজ দ্বারা বাইকটি উৎপাদিত করা হয়। তবে এই বাইকটি খুব সীমিত সংখ্যক উৎপাদন করা হয়। এই বাইকটিতে সামনের দুইটি চাকায় এবং পিছনের দুইটি চাকায় তৈরী করা হয়েছে চতুর্ভুজ চক্রকারে । দুটি সামনের চক্রের স্বাধীন ঘূর্ণন বাইকটিকে চলতে করতে সহায়তা করে। বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ২০-ভালভ ৯০ ডিগ্রি ভি -১০ ইঞ্জিন,যেটি ৫০০এইচপি @ ৫৬০০ আরপিএম পাওয়ার উৎপাদন করতে সক্ষম। জেনে অবাক হবেন যে নাম্বার ওয়ান এই সুপার বাইকটি ৪৮০ কিমি প্রতি ঘন্টায় ছুটে চলতে সক্ষম।
২/ কাওয়াসাকি নিনজা এইচ টু আরঃ
সুপার বাইকের একটি জনপ্রিয় ব্যান্ড হচ্ছে কাওয়াসাকি। সম্প্রতি তারা বাজারে নিয়ে এসেছে তাদের নিনজা এইচ টু সুপার বাইকটি। বাজারে আসা মাত্রই গতির দানব হিসেবে বাইকটি সুপার বাইকের তালিকায় প্রথম দিকে জায়গা করে নেয়। কাওয়াসাকি নিনজা এইচ টু আর বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৩০৮ বিএইচপি এবং ১৬৪ এন এম টর্ক সর্ম্পূন ইঞ্জিন। ইতিমধ্যে যেটি ঘন্টায় ৪০০ কি.মি গতিতে ছুটে পুরো বিশ্বকে তাক লাগিয়ে দিয়েছে।
সুপার এই বাইকটির ওজন ২৩৮ কেজি। বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ব্রিজস্টোন টায়ার। এছাড়া টি এফ টি টাচ স্কীন ব্লুটুথ কানেক্টিভিটি সহ অত্যাধুনিক সব ফিচার তো থাকছেই।
৩/ সুজুকি হায়াবুসাঃ
এই সুপার বাইকটির সাথে অধিকাংশ বাইকাররা পরিচিত। আর আমার মতন অনেক বাইকারদের কাছে এটি তাদের ড্রীম বাইক ও। বাইকটি রয়েছে দ্বিতীয় স্থানে। সুজুকি হায়াবুসা সুজুকির তৈরি একটি জাপানি সুপারবাইক। হায়াবুসা একটি জাপানি নাম যা পাখির একটি বৈশিষ্ট্যকে নির্দেশ করে। দ্বিতীয় স্থানে থাকা এই সুপার বাইকটি ৩০০ কিলোমিটার প্রতি ঘন্টায় গতিবেগ অর্জন করে। বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৩৪০ সিসি, ৪-সিলিন্ডার, ৪-স্ট্রোক, ১৬ ভালভ, তরল-শীতল, ডিওএইচসি ইঞ্জিন,যেটি ১৯৭এইচপি @ ৬৭৫০ আরপিএম পাওয়ার উৎপাদন করতে সক্ষম। বিভিন্ন অনলাইন সূত্র থেকে জানা যায় এই বাইটির শীর্ষ স্পীড ঘন্টায় ৩৯৭ কি.মি।
৪/ এমটিটি টারবাইন সুপারবাইক ওয়াই টু কেঃ
ওয়াই টু টারবাইন সুপারবাইকটি মেরিন টারবাইন টেকনোলজিস দ্বারা উত্পাদিত হয়েছে। এই সুপারবাইকটি ২৫০-সি২০ টার্বো শ্যাফ্ট ইঞ্জিন (রোলস রয়েস) সহ চালিত। এটি অন্যান্য সুপারবাইকগুলির মতো গতির স্বয়ংক্রিয় সংক্রমণ সহ বৈশিষ্ট্যযুক্ত। বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে টার্বো শাফ্ট ২৫০-সি ২০ রোলস রয়েস ইঞ্জিন, যেটি ৩২০এইচপি @ ৫২০০০ আরপিএম পাওয়ার উৎপাদন করতে সক্ষম। তৃতীয় স্থানে থাকা এই সুপার বাইকটি ঘন্টায় ৩৬৫ কি.মি গতিতে ছুটে চলতে পারে।
৫/ ডুকাটি ১১৯৯ পেনীগেলঃ
আমাদের দেশে ডুকাটি বাইকটির অনুমতি না থাকলেও বাইকারদের এই বাইক বাইকটির উপর চরম আকর্ষন কাজ করে বাইকটির অসাধারণ লুক্স এর জন্য। ডুকাটি ১১৯৯ প্যানিগালে ডুকাটি দ্বারা নির্মিত একটি সেরা ইতালিয়ান সুপারবাইক। এই সুপারবাইকটি তার ড্রাইভিং গতিবিদ্যার জন্য সেরা। এটি টাইটানিয়াম সংযোগকারী রডগুলির সাথে বৈশিষ্ট্যযুক্ত যা এর সংক্ষিপ্ততা এবং অনমনীয় কাঠামোর জন্য সমর্থন করে। বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১১৯৮সিসি, এল-টাইপ, ২ সিলিন্ডার, তরল ৯০ ডিগ্রি কুলড, ৪ ভালভ ইঞ্জিন,যেটি ১৯৫এইচপি @ ১০৭৫০ আরপিএম পাওয়ার উৎপাদন করতে সক্ষম। অসাধারণ লুকস এর এই ইতালিয়ান সুপার বাইকটি ঘন্টায় ৩২৫ কি.মি গতিতে ছুটে চলতে সক্ষম।
ফিচার বিজ্ঞাপন
বেইজিং ও কুনমিং ৭ দিন ৬ রাত
Siliguri – Gangtok (Sikkim) 6D/5N
USA Visa (Lawyer)
৬/ হোন্ডা সিবিআর ১১০০ এক্সএক্স ব্ল্যাকবার্ডঃ
হোন্ডা সিবিআর ১৫০ আমাদের দেশে বেশ জনপ্রিয় একটি স্পোর্টস বাইক। সিসি লিমিট থাকার জন্য হাই সিসির সিবিআর গুলো আমরা ব্যবহার করতে পারি না। হোন্ডা সিবিআর ১১০০ এক্সএক্স ব্ল্যাকবার্ড হন্ডা নির্মিত অন্য জাপানি উৎসের সুপারবাইক। বাইকটি কিংবদন্তি কাওয়াসাকি জেডএক্স -১১ এর প্রতিদ্বন্দ্বী হিসাবে তৈরি করা হয়েছিল। বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১১৩৭সিসি, ৪ সিলিন্ডার, লিকুইড কুলড ইঞ্জিন,যেটি ১৫৩ এইচপি @ ১০০০০ আরপিএম পাওয়ার উৎপাদন করতে সক্ষম। বাইকটি ঘন্টায় ৩১০ কি.মি গতিতে ছুটতে সক্ষম।
৭/ ইয়ামাহা ওয়াইজেডএফ আর১ঃ
ইয়ামাহা বাংলাদেশের বাজারে বেশ জনপ্রিয় তাদের প্রিমিয়াম সেগমেন্ট এর বাইকের জন্য। ইয়ামাহার একটি জনপ্রিয় স্পোর্টস সিরিজ হচ্ছে আর সিরিজ। আমাদের দেশে আর ১৫ সিরিজের প্রতিটি ভার্সন ই বেশ জনপ্রিয়তা অর্জন করছে। আজ আমরা জানবো আর ১ সম্পর্কে। ৬ স্পীড গিয়ার বক্স যুক্ত এই মেসিনটি ব্রেকিং এবং কন্ট্রোলিং এর জন্য সারা বিশ্বে খুব জনপ্রিয়। সুপার এই বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯৯৮ সিসি, লিকুইড কুলড, ডিওএইচসি, ২০ ভালভ, ৪ সিলিন্ডার ইঞ্জিন, যেটি ১২৮.২ এইচপি @ ১০০০০ আরপিএম পাওয়ার উৎপাদন করতে সক্ষম। আর ১ স্পোর্টস বাইকটি ঘন্টায় ২৯৯ কি.মি গতিতে ছুটে চলতে সক্ষম।
৮/ এমভি আগুস্তা এফ ৪০০০ আরঃ
এমভি আগুস্তা এফ ৪০০০ ইতালিয়ান আগুস্তা দ্বারা তৈরি একটি বাইক। আগুস্তা সুপার বাইক সিরিজের জন্য বেশ জনপ্রিয়। এই বাইকটি আগুস্টা সুপারবাইকের সিরিজের একটি উন্নত সংস্করণ, যা অগ্রিম প্রযুক্তি সহ বৈশিষ্ট্যযুক্ত। বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯৯৮ সিসি, লিকুইড কুলড, ইনলাইন, ডিওএইচসি, ১৬ র্যাডিকাল ভালভ, ৪ সিলিন্ডার ইঞ্জিন, যেটি ২০১এইচপি @ ১৩৬০০ আরপিএম পাওয়ার উৎপাদন করতে সক্ষম। বাইকটি ঘন্টায় ২৯৭.৫ কি.মি গতিতে ছুটতে সক্ষম।
৯/ কাওয়াসাকি নিনজা জেডএক্স -১৪ আরঃ
কাওয়াসাকি নিনজা জেডএক্স -১৪ আর হ’ল একটি সুপার বাইক যা কাওসাকির দ্বারা উৎপাদিত শীর্ষ শ্রেণির মেশিন। গতির জগতে কাওয়াসাকি তাদের শক্ত স্থান এখনো ধরে রেখেছে। কাওয়াসাকি নিনজা এইচ টু আর একটি উত্তম উদাহরণ। জেডএক্স -১৪ বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ১৪৪১ সিসি, তরল কুলড, ইনলাইন, ডিওএইচসি, সিলিন্ডারে ৪ ভাল্ব, ৪-স্ট্রোক ইঞ্জিন, যেটি ১৪৫ এইচপি @ ১০৫০০ আরপিএম পাওয়ার উৎপাদন করতে সক্ষম। বাইকটি ঘন্টায় ২৯৭ কি.মি গতিতে ছুটে চলতে সক্ষম।
১০/ এপ্রিলিয়া আরএসভি ১০০০ আর মিলঃ
এপ্রিলিয়া আরএসভি মিলি এপ্রিলিয়ার উৎপাদিত একটি সুপারবাইক। উন্নত ব্রেকিং পারফরম্যান্স এবং নতুন অভিজ্ঞতা যুক্ত করতে এই বাইকটি নতুনভাবে ডিজাইন করা হয়েছিল। আরএসভি মিলের ইঞ্জিনটি অস্ট্রেলিয়ান রোটাক্স দ্বারা নির্মিত। বাইকটিতে ব্যবহার করা হয়েছে ৯৯৮ সিসি, লিকুইড কুলড, ৬০ ডিগ্রি ভি-টুইন, ৪-স্ট্রোক ইঞ্জিন,যেটি ১৪১ এইচপি @ ১০০০০ আরপিএম পাওয়ার উৎপাদন করতে সক্ষম। বাইকটি ২৮২ কি.মি/ঘন্টায় ছুটে চলতে সক্ষম।
সেরা ১০ সুপারবাইক নিয়ে আজকের আয়োজন এখানে শেষ করা হলো। সময়ের সাথে সাথে আরো অনেক উন্নত হচ্ছে আমাদের দেশ, সেই থেকে আশা করতেই পারি একটা সময় আমরাও আমাদের দেশে এই সুপার বাইকগুলো চালানোর সুযোগ হয়তো পাবো।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
Online Shopping BD (Facebook Live)৭৮৬ বার পড়া হয়েছে