সংসদীয় কমিটির সূত্র জানায়, গত ২৫ মার্চ অনুষ্ঠিত বৈঠকে সংসদীয় কমিটি ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণ এবং কবরস্থান ও শ্মশান স্থাপনের বিষয়ে স্থানীয় সরকার বিভাগের পক্ষ থেকে একটি সুনির্দিষ্ট প্রস্তাব চেয়েছিল। এর পরিপ্রেক্ষিতে একজন অতিরিক্ত সচিবের নেতৃত্বে স্থানীয় সরকার বিভাগ একটি কমিটি গঠন করে। ১৯ আগস্ট কমিটি তাদের ৯ দফা প্রস্তাব দাখিল করে।

সংসদীয় কমিটির সদস্য মসিউর রহমান প্রথম আলোকে বলেন, তাঁরা বিষয়টি নিয়ে স্থানীয় সরকারকে ধর্ম মন্ত্রণালয়ের মতামত নিতে বলেছেন। যাতে কারও ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত আসতে পারে, এমন কিছু না হয়। এ মতামত নেওয়ার পর সংসদীয় কমিটি প্রস্তাব চূড়ান্ত করবে।

স্থানীয় সরকার বিভাগের প্রস্তাবে বলা হয়েছে, ইউনিয়ন পর্যায়ে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান নির্মাণের ক্ষেত্রে একটি উপজেলা কমিটি, পৌরসভায় পৌর কমিটি এবং সিটি করপোরেশনে ওয়ার্ড কমিটি থাকবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ করতে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র ও সিটি করপোরেশনের কাউন্সিলের কাছে আবেদন করতে হবে। ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের পাকা বা স্থায়ী অবকাঠামো নির্মাণ করতে অভিজ্ঞ প্রকৌশলীর তৈরি করা প্ল্যান ও ডিজাইন আবেদনের সঙ্গে যুক্ত করতে হবে। ইউনিয়ন পরিষদ আবেদন যৌক্তিক মনে করলে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কাছে পাঠাবেন। ওই আবেদন উপজেলা সমন্বয় সভায় অনুমোদন দেওয়া হবে। পৌর এলাকায় জেলা উন্নয়ন সমন্বয় কমিটি এবং সিটি করপোরেশনে মেয়রের সভাপতিত্বে মাসিক সাধারণ সভায় চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

প্রস্তাবে বলা হয়েছে, যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদন ছাড়া সরকারি বা খাসজমিতে এবং পরিত্যক্ত বা অর্পিত সম্পত্তিতে কোনো ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, অন্যান্য স্থাপনা, কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ করা যাবে না। অনুমোদন ছাড়া এ ধরনের স্থাপনা করা হলে তা উচ্ছেদ করার পাশাপাশি নির্মাতাকে জবরদখলকারী হিসেবে চিহ্নিত করে তাঁর বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা যাবে। ভবিষ্যতে রাস্তা প্রশস্তকরণের বিষয়টি বিবেচনা করে এ ধরনের স্থাপনা রাস্তা থেকে যৌক্তিক দূরত্বে নির্মাণ করতে হবে।

ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণের জন্য কোনো জমি ওয়াকফ, দান, কেনা বা আইন অনুযায়ী যথাযথ কর্তৃপক্ষ থেকে বরাদ্দ পেলে সেখানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও কবরস্থান বা শ্মশান নির্মাণ করা যাবে। তবে আদালতে মামলা চলমান থাকলে নির্মাণ করা যাবে না। সরকারি বা বেসরকারি প্রতিষ্ঠান নিজস্ব জমিতে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান ও কবরস্থান নির্মাণ করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট কমিটির অনুমোদন নিতে হবে। ধর্মীয় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনা করে কমপক্ষে দুই কিলোমিটার বা যৌক্তিক দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ঈদগাহ উন্মুক্ত স্থানে থাকবে। বছরের অন্য সময়ে ঈদগাহগুলোতে ধর্মীয় ও সামাজিক কাজে ব্যবহারের সুযোগ রাখতে হবে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Cambodia (Phnom Penh & Siem Reap) 6D/5N

মূল্য: 43,900 Taka

Water Lodge

মূল্য: ১২,৫০০ টাকা / রাত

প্রতিযোগিতামূলকভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও শ্মশান স্থাপন করা যাবে না। এলাকার জনসংখ্যা ও পারিপার্শ্বিক অবস্থা বিবেচনায় নিয়ে নির্দিষ্ট দূরত্ব বজায় রাখতে হবে। ব্যক্তিগতভাবে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠান, কবরস্থান ও শ্মশান নির্মাণ করতে চাইলে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিকে আয়ের উৎস জানাতে হবে এবং তিনি আয়কর দেন কি না, তা বিবেচনায় আনতে হবে।

স্থানীয় সরকারমন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, আসলে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের বিষয় নয়। ইউনিয়ন পর্যায়েও যেকোনো স্থাপনা যেমন বসতবাড়ি, দোকান-যাতে অপরিকল্পিতভাবে না হয়, সেটি তাঁরা একটি নীতিমালার মধ্যে আনতে চান। এখানে ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানের কোনো বিষয় নেই।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত আয়োজন এখানে অপেক্ষা করছে

পূর্বাচল আমেরিকান সিটি | জীবনের সমস্ত ...



২২২ বার পড়া হয়েছে