আমরা সবাই জানি নতুন কোন বাইক কিনলে আমাদের বেশ কিছু নিয়ম মেনে বাইক চালাতে হয়। প্রতিটা বাইকার চায় তার বাইকটা যেনো অনেক ভালো সার্ভিস দেয়। কিন্তু আপনার বাইক থেকে আপনি কেমন পারফেন্স পাবেন এটা অনেকটা নির্ভর করে আপনি নতুন বাইক ব্যবহারের নিয়ম কতটা মেনে চলেছেন তার উপর। আজ আমরা নতুন বাইক ব্যবহারের নিয়ম নিয়ে আপনাদের সামনে বিস্তারিত আলোচনা করবো।

১- ইউজার ম্যানুয়াল লক্ষ্য করাঃ

বাইক কেনার পর আমরা অধিকাংশ মানুষ ইউজার ম্যানুয়াল খুলে দেখি না, কিন্তু এই কাজটা করা মোটেও উচিৎ না। বাইক কিনে সবার প্রথমে আপনার বাইকের ইউজার ম্যানুয়ালটি সবার আগে পড়ে দেখুন, আপনি যখন আপনার বাইকের ইউজার ম্যানুয়াল পড়বেন তখন আপনি আপনার বাইকের অনেক খুঁটিনাটি জানতে পারবেন। আপনার বাইকের চাকায় কতটা হাওয়া রাখা উচিত, আপনার বাইকে কি ইঞ্জিন অয়েল ব্যবহার করা উচিৎ এই সব কিছু আপনি আপনার বাইকের ইউজার ম্যানুয়াল থেকে জানতে পারবেন।

২- সঠিক সময়ে ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তনঃ

নতুন বাইকের জন্য এই নিয়মটা মেনে চলা খুব বেশি জরুরী। আপনার বাইক কেনার সময় যে ইঞ্জিন অয়েলটুকু দেয়া হবে ১০০ কি.মি চালিয়ে সেই অয়েলটি ফেলে দিন, অথবা আপনার বাইক কেনার সময় শোরুম থেকে আপনাকে যে নির্দেশনা দেয়া হয় সেদিকে খেয়াল রাখুন। ২য় ইঞ্জিন অয়েলটি ৫০০ কি.মি পর পরিবর্তন করে ফেলুন। এভাবে আপনার ইউজার মেন্যুয়াল মেনে বাইকের ইঞ্জিন অয়েল পরিবর্তন করুন।

৩- এক হাতে বাইক ব্যবহার করাঃ

নতুন বাইক কিনে সেটা নিজে ব্যবহার করার চেষ্টা করুন, আমাদের একেক জনের রাইডিং স্টাইল একেক রকম। আপনি বাইকটি নিয়ম মেনে নিজের মতো রাইড করার চেষ্টা করুন। বাইক চালাতে পারে না ভালোমতো এমন কারো হাতে নতুন বাইক না দেয়াটা উত্তম। আপনার নতুন বাইকটি যদি  রাফ রাইড করা হয় তাহলে আপনার বাইকে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে। নিজের প্রিয় বাইকটি ভালো রাখতে না বলতে শিখুন, অভিজ্ঞ কারো কাছে বাইক দিলে সমস্যা নেই। বাইকের ব্রেক ব্রেক ইন পিরিয়ড সঠিকভাবে মেনে চলুন।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Vietnam & Cambodia 9D/8N

মূল্য: 75,900 Taka

ইস্তানবুল ৪দিন ৩ রাত

মূল্য: ২৯,৯০০ টাকা

৪- নিদিষ্ট আরপিএম মেনে বাইক চালানোঃ

প্রতিটা নতুন বাইকের জন্য একটা নিদিষ্ট আরপিএম বলা থাকে। আপনার বাইকটি যখন নতুন অবস্থায় থাকে তখন সেটি অবশ্যই মেনে চলুন। এটি মেনে চললে আপনি আপনার বাইক থেকে আগামীর দিনগুলোতে বেশ ভালো একটা পারফরমেন্স পাবেন। আমি আমার কথা বলি, আমি যখন নতুন কোন বাইক ব্যবহার করি তখন সেই বাইকটি ব্রেক ইন পিরিয়ডে থাকাকালীন সময়ে বাইকটি ৫০-৬০ স্পীডে রাইড করি। বাইকে প্রেসার যতটা কম দেয়া যায় সেদিকে লক্ষ্য রাখি।

৫- ভালো মানের ফুয়েল ব্যবহার করাঃ

বাইক নতুন হউক অথবা পুরাতন, সব সময় ভালোমানের ফুয়েল ব্যবহার করার চেষ্টা করুন। আমাদের বেঁচে থাকার জন্য খাবার যেমন জরুরী ঠিক তেমনি বাইক ভালো রাখার জন্য ভালো মানের ফুয়েল জরুরী।
বর্তমানে নতুন যেসব বাইক বাজারে আসছে অধিকাংশ বাইকের জন্য ভালো মানের ফুয়েল খুব দরকার। বাইকের ফুয়েল যদি ভালো হয় তাহলে বাইক থেকে বেশ ভালো পারফরমেন্স পাওয়া যায়।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৩৪১ বার পড়া হয়েছে