করোনার কারণে চলতি বছরের ১ এপ্রিল থেকে প্রায় ছয় মাস ধরে স্থগিত আছে এইচএসসি পরীক্ষা। সরকার বিভিন্নভাবে পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা করলেও পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হওয়ায় সিদ্ধান্ত নিতে পারছে না। সংশ্লিষ্টরা বলছেন, নভেম্বরের শেষ সপ্তাহ নাগাদ এই পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হতে পারে। তবে, পরিস্থিতি বিবেচনায় সময় পেছাতে পারে বলেও তারা মনে করেন।
আন্তঃশিক্ষা বোর্ড-সূত্রে জানা গেছে, ২৪ সেপ্টেম্বর (বৃহস্পতিবার) সারাদেশের বোর্ড চেয়ারম্যানরা এই বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে বৈঠকে বসবেন। বৈঠক থেকে পরীক্ষার প্রক্রিয়া নিয়ে সিদ্ধান্ত আসতে পারে।
এই বিষয়ে জানতে চাইলে আন্তঃশিক্ষা বোর্ডের কলেজ পরিদর্শক অধ্যাপক ড. হারুন অর রশীদ বলেন, ‘নভেম্বরের শেষ অথবা ডিসেম্বর প্রথম সপ্তাহ নাগাদ এই পরীক্ষা হতে পারে। তবে, বিষয়টি নির্ভর করছে সরকারের চূড়ান্ত সিদ্ধান্তের ওপর।’
সূত্র জানায়, তুলনামূলকভাবে আগের চেয়ে করোনা পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ায় নতুন করে ভাবতে শুরু করেছে সরকার। পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়ে সার্বিক প্রস্তুতিও নিয়েছে বোর্ডগুলো।
শিক্ষাবোর্ডগুলো বলছে, এইচএসসি পরীক্ষা নেওয়া না গেলে অন্যান্য পাবলিক পরীক্ষাও আনুপাতিক হারে পেছাতে হবে। কারণ এই পরীক্ষার সঙ্গে বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তির বিষয়ও জড়িত। আর যতবেশি পরীক্ষা পেছাবে, ততবেশি বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তিও বিলম্বিত হবে। বাড়বে সেশনজটও। তাই শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান না খুললেও এই বছরের মধ্যে এইচএসসি পরীক্ষা শেষ করতে হবে।
এই বিষয়ে আন্তঃশিক্ষা বোর্ড সমন্বয় সাব-কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘পরীক্ষা নেওয়ার সার্বিক প্রস্তুতি আছে। পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে এখন কিছু নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। এর সঙ্গে অনেক কিছু জড়িত। তাই ভেবেচিন্তে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। তবে, তবে প্রতিষ্ঠান খোলার সঙ্গে সঙ্গেই পরীক্ষা নেওয়া হবে না। শিক্ষার্থীদের প্রস্তুতি নেওয়ার জন্য কমপক্ষে ১৫ দিন সময় দেওয়া হবে।’
এদিকে করোনা পরিস্থিতির মাঝে প্রথম কোনো সরাসরি সভায় বসছেন শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানরা। সভার আলোচনার মূল বিষয়বস্তু হচ্ছে এইচএসসি পরীক্ষা নিয়ে পরিকল্পনা ও জেএসসি পরীক্ষার্থীদের মূল্যায়ন। এবার জেএসসি পরীক্ষা হচ্ছে না। তাই কিভাবে শিক্ষার্থীরা নবম শ্রেণিতে উন্নীত হবে, সে ব্যাপারে সভায় সিদ্ধান্ত নেওয়া হতে পারে।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Ho chi minh -Hanoi – Halong Cruise 5D/4N
Moscow & St.Petersburg 5D/4N
Singapore Tour with Universal Studios & Sentosa 5D/4N
জানতে চাইলে বোর্ডের একজন কর্মকর্তা বলেন, ‘দীর্ঘদিন পরীক্ষা বন্ধ থাকায় শিক্ষার্থীরা নানা ক্ষতির মুখে পড়ছেন। আশঙ্কা রয়েছে সেশনজটেরও। আশা কছি, বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিতব্য সভা থেকে এই বিষয়ে ইতিবাচক সিদ্ধান্ত আসবে।’
জানা গেছে, আগে ‘জেড’ আকৃতিতে শিক্ষার্থীদের বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার চিন্তা ছিল। তবে এখন স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রতি বেঞ্চে একজন করে বসিয়ে পরীক্ষা নেওয়ার পরিকল্পনা রয়েছে। এক্ষেত্রে পরীক্ষা কেন্দ্রের সংখ্যাও বাড়াতে হবে।
ঢাকা শিক্ষাবোর্ড চেয়ারম্যান মু. জিয়াউল হক বলেন, ‘পরীক্ষার বিষয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় দিক-নির্দেশনা দেবে।’ যেকোনো পদ্ধতিতে পরীক্ষা নিতে প্রস্তুতি রয়েছে বলেও তিনি জানান।
Source: risingbd
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
২৪৪ বার পড়া হয়েছে