মেগাসিটি ঢাকার জনসংখ্যা দুই কোটি ছুঁই ছুঁই। সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এ শহরে জনসংখ্যা এবং আকাশচুম্বী ভবন যেমন বাড়ছে তার সঙ্গে পাল্লা দিয়ে কমছে সবুজের সমাহার। রাজধানী শহর ঢাকায় রয়েছে নানামাত্রিক নাগরিক দুর্ভোগ। দিন দিন এখানে নানা কারণে কমছে সবুজায়ন। ফলে একদিকে পরিবেশের ভারসাম্য যেমন হারাচ্ছে, অন্যদিকে পর্যাপ্ত অক্সিজেন থেকে বঞ্চিত হচ্ছেন নগরবাসী।

ক্রমাগত সবুজের চিহ্ন হারানো এ শহরবাসীর মনে আশা জাগিয়েছে ‘জল-সবুজ ঢাকা’ প্রকল্প। রাজধানীবাসীর প্রত্যাশিত এসব পার্ক-মাঠের মধ্যে বেশ কয়টি এখন উন্মুক্ত হওয়ার অপেক্ষায়।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশন এলাকার মানুষের সুস্থ বিনোদনের জন্য রাজধানীর প্রায় পরিত্যক্ত ১৯টি পার্ক ও ১২টি খেলার মাঠ জল-সবুজে ঢেকে নতুন রূপে সাজানোর পরিকল্পনা নেয়া হয় ২০১৭ সালে। ওই প্রকল্পের মধ্যে ছোট ও বড়দের জন্য আলাদা খেলার মাঠ রাখা হয়। পরিবার নিয়ে বেড়ানোর জন্য জলাধারের পাশাপাশি সুদৃশ্য বাগানও রাখা হয় প্রকল্পে।

ডিএসসিসি গৃহীত এই ‘জল-সবুজে ঢাকা’ প্রকল্পের উন্নয়ন কাজ দ্রুত এগিয়ে চলছে। ইতোমধ্যে বেশ কয়েকটি পার্ক-খেলার মাঠের উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হয়েছে। যেকোনো সময়ে ওই সব পার্ক-খেলার মাঠ নগরবাসীর জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।

নাগরিক জীবনের একঘেয়ামিতা কাটাতে পার্ক ও খেলার মাঠে থাকছে ফুলের বাগান, বিনোদন রাইড, ওয়াকওয়ে, ব্যায়ামাগার, কফি শপসহ নানাবিধ সুবিধা।

ডিএসসিসির পার্ক উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় নগরীর ১৯টি পার্কের মধ্যে গুলিস্তান পার্ক ও খেলার মাঠ, শহীদ বুদ্ধিজীবী আবদুল খালেক সরদার পার্ক, সিরাজ-উদ-দৌলা পার্ক, শহীদ আবদুল আলিম পার্ক ও খেলার মাঠ, টিকাটুলি পার্ক ও খেলার মাঠ, হাজারীবাগ পার্ক, নবাবগঞ্জ পার্ক, রসুলবাগ শিশুপার্কের নির্মাণ ও উন্নয়ন কাজ ইতোমধ্যে সম্পন্ন হয়েছে।

খেলার মাঠ ও পার্কগুলোর মধ্যে রসুলবাগ, জোড়াপুকুর খেলার মাঠের উন্নয়ন কাজও শেষের দিকে। অন্যদিকে নির্মাণ ও সাজ-সজ্জাকরণের কাজ চলছে আউটফল, বংশালসহ নগরীর বেশ কয়েকটি পার্ক ও খেলার মাঠের।

ফিচার বিজ্ঞাপন

Kathmandu-Pokhara 5D/4N

মূল্য: ১৪,৯০০ টাকা

USA Visa (Private Job Holder)

মূল্য: 5,000 Taka

সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, এসব পার্ক ও খেলার মাঠের উন্নয়ন কার্যক্রম সম্পন্ন হলে নগরবাসী পাবেন দৃষ্টিনন্দন পার্ক ও খেলার মাঠ। এগুলো দেখতে আন্তর্জাতিক মানের হবে, ফলে পাল্টে যাবে নগরীর সার্বিক দৃশ্য।

একসময় নগরীর পার্ক ও খেলার মাঠগুলো বেদখল হয়ে অসামাজিক কার্যকলাপের আখড়ায় পরিণত হয়েছিল। এগুলো দখলমুক্ত করে আধুনিক ও উন্নত প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে নাগরিকদের সুষ্ঠু চিত্তবিনোদনের জন্য ‘জল-সবুজে ঢাকা’ শীর্ষক প্রকল্প গ্রহণ করা হয়। এ প্রকল্পে ১৩টি স্থাপত্য প্রতিষ্ঠানের শতাধিক অভিজ্ঞ স্থপতিকে সম্পৃক্ত করা হয়।

‘জল-সবুজে ঢাকা’ প্রকল্পের পরিচালক এবং ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের অতিরিক্ত প্রধান প্রকৌশলী আসাদুজ্জামান বলেন, ‘এ প্রকল্পের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে। কাজ শেষ হলে নগরবাসী দৃষ্টিনন্দন পার্ক পাবেন আর শিশু-কিশোররা পাবে খেলার মাঠ।’

সম্প্রতি এক সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র সাঈদ খোকন এ বিষয়ে বলেন, জল-সবুজে ঢাকা প্রকল্পের মাধ্যমে পার্ক ও খেলার মাঠগুলো বিশ্বমানে উন্নীত করার কাজ চলছে। এসব মাঠ ও পার্কগুলোর উন্নয়ন কাজ সম্পন্ন হলে দক্ষিণ সিটি নতুন এক দৃষ্টিনন্দন রূপ লাভ করবে। আধুনিক এসব খেলার মাঠ ও পার্কে ফুলের বাগান, বিনোদন রাইড, ওয়াকওয়ে, ব্যামাগার, কফি শপ, গ্যালারি ইত্যাদি নানাবিধ বিনোদন ব্যবস্থা থাকবে।

ঢাকা দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নগর পরিকল্পনাবিদ সিরাজুল ইসলাম বলেন, নগরবাসীর জন্য আমরা পার্ক ও খেলার মাঠ নির্মাণের কাজ দ্রুতগতিতে এগিয়ে নিচ্ছি। পরিকল্পনা অনুযায়ী কাজ সম্পন্ন হলে এসব পার্ক, খেলার মাঠের দৃশ্য পুরোপুরি বদলে গিয়ে দৃষ্টিনন্দন রূপ লাভ করবে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।



৮১৯ বার পড়া হয়েছে