রাজধানীতে মালিবাগ, বারিধারা, মিরপুর ও উত্তরায় সাউথ পয়েন্ট স্কুল অ্যান্ড কলেজের চারটি ক্যাম্পাস আছে। প্রতিষ্ঠাকালে প্রথমটির জন্য শিক্ষা বোর্ড থেকে পরিচালনার অনুমতি ও পরে স্বীকৃতি নেয়া হয়। প্রায় আড়াই বছর আগে সেই মেয়াদও পার হয়ে গেছে। পরিচালনা কমিটি নেই প্রায় সাড়ে ৪ বছর, তবু চলছে প্রতিষ্ঠানটি। অনুসন্ধানে জানা গেছে, শুধু সাউথ পয়েন্টই নয় রাজধানীতে নামকরা প্রায় সব প্রতিষ্ঠানই চালাচ্ছে অনুমতিবিহীন ক্যাম্পাস এবং শাখা। প্রতিষ্ঠানগুলোর মধ্যে ভিকারুননিসা নূন, মতিঝিলের আইডিয়াল, খিলগাঁওয়ের ন্যাশনাল আইডিয়াল, মিরপুরের মনিপুর, উত্তরার মাইলস্টোন, উইলস লিটল ফ্লাওয়ার, টাঙ্গাইল স্কুল অ্যান্ড কলেজ। এভাবে অসংখ্য প্রতিষ্ঠান অননুমোদিত শাখা-ক্যাম্পাস খুলে ভর্তি করছে শত শত শিক্ষার্থী।
সরকারি এমপিও নিতে হয় না বলে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিয়মনীতি মেনে নিয়োগ করা হয় শিক্ষক ও কর্মচারী। পরে তাদেও বেতন-ভাতা দেয়ার নামে শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে আদায় করা হয় গলাকাটা ফি। ওইসব ফি কোন খাতে ব্যয় হয় আর কোথায় যায় তা নিয়ে বেশিরভাগ ক্ষেত্রে নিরীক্ষা হয় না। ভর্তি, প্রশাসনিক ও আর্থিক খাত নিয়ে আছে স্বচ্ছতার ঘাটতি।
জুলাইয়ে করোনার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ভর্তি পরীক্ষার আয়োজন করে সমালোচনায় পড়েছিল প্রতিষ্ঠানটি। এরপর শোকজও দেয়া হয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল অ্যান্ড কলেজের বনশ্রী ক্যাম্পাসের অনুমোদন নেই। প্রতিষ্ঠানটির মুগদাপাড়ায়ও একটি ক্যাম্পাস আছে। মতিঝিলের প্রধান ক্যাম্পাস এবং মুগদাপাড়ায় বেশকিছু অতিরিক্ত শ্রেণি-শাখার অনুমোদন নেই। ২০১৮ সালে ভর্তি পরীক্ষায় খাতা জালিয়াতির ঘটনা তদন্তে প্রমাণিত হওয়ার পর অধ্যক্ষের এমপিও স্থগিত হয়।
ভিকারুননিসা নূন স্কুল অ্যান্ড কলেজের মাত্র ২০টি শাখার অনুমোদন আছে। এছাড়া অন্তত ৩০টির মতো বাংলা-ইংরেজি ভার্সনের শাখা-শ্রেণির অনুমোদন নেই। বসুন্ধরা, ধানমণ্ডি এবং আজিমপুরে প্রতিষ্ঠানটির শাখা আছে। গোটা উত্তরাজুড়ে ক্যাম্পাস খুলে বসেছে মাইলস্টোন স্কুল ও কলেজ। এসংখ্যা ৩২টির কম হবে না বলে ঢাকা বোর্ডের কলেজ শাখা থেকে জানা গেছে।
উইলস লিটল ফ্লাওয়ার স্কুল ও কলেজের নিু মাধ্যমিকের অনুমোদন না থাকায় ফেব্রুয়ারিতে জেএসসি পরীক্ষার অনলাইন নিবন্ধন আটকে দেয়া হয়েছিল। এটির সঙ্গে তখন ৩৩টি প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে একই ধরনের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছিল।
ফিচার বিজ্ঞাপন
Thimpu-Paro-Dochala Pass-Punakha 5D/4N
Kolkata – Gangtok (Sikkim) 5D/4N
Maldives (Paradise Island) 3D/2N
সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, মিরপুরের মনিপুর স্কুল অ্যান্ড কলেজের মূল ক্যাম্পাসের বাইরে চারটি ব্রাঞ্চ বা ক্যাম্পাস আছে। এর মধ্যে মূলটির অনুমোদন আছে। এছাড়া কোনো ক্যাম্পাসেরই অনুমোদন নেই। পুরনো স্কুলটি চলছিল শুধু পাঠদানের অনুমতি দিয়ে। বোর্ডের কোনো স্বীকৃতি নেয়া হয়নি। ৯ বছর চলেছে অনুমোদন-নবায়ন ছাড়াই। অথচ ৩ বছর পরপর তা নবায়নের বিধান আছে।
এ বিধান লঙ্ঘন করায় সর্বশেষ বিগত এইচএসসি পরীক্ষায় প্রবেশপত্র আটকে দেয় বোর্ড। তখন বাধ্য হয়ে একবারে অনুমোদন নবায়ন করে নেয় তারা। এছাড়া অনুমোদন পাওয়া ক্যাম্পাসেও অনুমোদনবিহীন বেশ কয়েকটি শ্রেণি-শাখা খোলার অভিযোগও আছে এ প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে।
অভিযোগ আছে, অবৈধ শাখা-ক্যাম্পাস খোলা ও পরিচালনার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট প্রতিষ্ঠানের পরিচালনা কমিটির অসৎ সভাপতি ও সদস্যরা সহযোগীর ভূমিকায় থাকেন। কোনো কোনো ক্ষেত্রে বোর্ডের কর্মকর্তা ও কর্মচারীরাও যুক্ত থাকেন। প্রতিষ্ঠানের অনুমোদিত শাখা ধরে ফরম পূরণ ও রেজিস্ট্রেশন আটকে দিলে এভাবে বছরের পর বছর অবৈধ কার্যক্রম চলত না বলে মনে করেন সংশ্লিষ্টরা।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
কুইক সেল অফার
শক্তিশালী ইলেকট্রিক গ্রাইন্ডারের দাম জেনে নিন৩১৫ বার পড়া হয়েছে