কয়েকদিন স্থিতিশীল থাকার পর আবারও নিত্যপণ্যের দাম বাড়তে শুরু করেছে। পবিত্র ঈদুল ফিতরকে ঘিরে দাম বাড়াচ্ছেন অসাধু ব্যবসায়ীরা। সরবরাহ পর্যাপ্ত থাকার পরও বিক্রেতারা সিন্ডিকেট করে পেঁয়াজ, রসুন, ভোজ্যতেল, সব ধরনের মাংস ও মসলাসহ বিভিন্ন পণ্যের দাম ইতোমধ্যে বাড়িয়ে দিয়েছে। ফলে ঈদের আগে আবারও বেসামাল হয়ে উঠেছে বাজার। একদিকে করোনা পরিস্থিতির মধ্যে ক্রেতার আয় নেই, অন্যদিকে বাজারে পণ্যের দর বাড়তি। এতে দিশেহারা হয়ে পড়ছেন ভোক্তা।

শুক্রবার নিত্যপণ্যের দাম বাড়ার চিত্র সরকারি সংস্থ্যা ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশের (টিসিবি) দৈনিক বাজার মূল্য তালিকায়ও দেখা গেছে। টিসিবি বলছে, এক মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি দেশি মুরগির দাম বেড়েছে ২ দশমিক ১১ শতাংশ। গরুর মাংসের দাম বেড়েছে শূন্য দশমিক ৮৭ শতাংশ। খাসির মাংসের দাম বেড়েছে কেজিতে ৫০ টাকা। কেজিতে দারুচিনি ও লবঙ্গের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ২৫ শতাংশ ও ৬ দশমিক ২৫ শতাংশ। প্রতি কেজি দেশি হলুদের দাম বেড়েছে ২ দশমিক ৯৪ শতাংশ। আমদানি করা রসুনের দাম বেড়েছে কেজিতে ১০ টাকা। প্রতি কেজি দেশি পেঁয়াজের দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৩৩ শতাংশ। আমদানি করা পেঁয়াজ বিক্রি হয়েছে ৫ দশমিক ৭১ শতাংশ বেশি দরে। প্রতি কেজি মুগডালে দাম বেড়েছে ৮ শতাংশ, মসুর ডালে (বড় দানা) দাম বেড়েছে ১ দশমিক ৪৫ শতাংশ, বোতলজাত পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেলে এক মাসের ব্যবধানে দাম বেড়েছে ১ দশমিক ১৭ শতাংশ। প্রতি কেজি প্যাকেটজাত ময়দায় দাম বাড়ানো হয়েছে ২ দশমিক ৩৫ শতাংশ। এছাড়া কেজিতে গুঁড়োদুধে সর্বোচ্চ ২ দশমিক ৪০ শতাংশ দাম বাড়ানো হয়েছে।

জানতে চাইলে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদপ্তর সূত্র জানায়, রাজধানীসহ সারা দেশে কঠোরভাবে বাজার মনিটরিং চলছে। কোনোভাবেই কাউকে ছাড় দেওয়া হচ্ছে না। কারসাজির সঙ্গে জড়িতদের চিহ্নিত হরে প্রতিদিনই আইনের আওতায় আনা হচ্ছে। এতে বাজার স্থিতিশীল রয়েছিল। তবে বাজারে কিছু পণ্যের দাম বেড়ে গেছে। এটা আমরা খতিয়ে দেখছি। এই দাম বাড়ার পেছনে কোনো কারসাজি পাওয়া গেলে দোষীদের চিহ্নিত করে শাস্তির আওতায় আনা হবে। এছাড়া তদারকি কার্যক্রম অব্যাহত আছে। আশা করা যাচ্ছে দাম দু-একদিনের মধ্যে কমে যাবে।

এদিকে শুক্রবার রাজধানীর খুচরা বাজারে দেশি মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে ৪২০-৫২০ টাকা, যা এক মাস আগে ৪০০-৫০০ টাকা। ব্রয়লার মুরগি প্রতি কেজি বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ১৫৫ টাকা, যা সাত দিন আগে ১৪০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। গরুর মাংসে কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ৬০০ থেকে ৬১০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। এছাড়া মাসের ব্যবধানে প্রতি কেজি খাসির মাংসে ৫০-১০০ টাকা বেড়ে ৮৫০-৯০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে।

বাজারে মসলা জাতীয় পণ্যের দামও বাড়তে শুরু করেছে। প্রতি কেজি লবঙ্গ মাসের ব্যবধানে ১০০ টাকা বেড়ে ৮০০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। প্রতি কেজি দারুদিনির দাম ২০ টাকা বেড়ে ৩৮০ টাকায় বিক্রি হয়েছে। দেশি হলুদ কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১৫০ টাকা বিক্রি হয়েছে। আমদানি করা রসুন কেজিতে ১০ টাকা বেড়ে ১২৫-১৩০ টাকা বিক্রি হয়েছে। এছাড়া দেশি পেঁয়াজ কেজিতে ৫-১০ টাকা বেড়ে ৪৫-৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

বাজারে আবারও ডালের দাম বাড়তে শুরু করেছে। প্রতি কেজি মুগডাল বিক্রি হয়েছে ১৩০ টাকা। যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ১১০ টাকা। এছাড়া প্রতি কেজি বড় দানার মসুরের ডাল বিক্রি হয়েছে ৭৫ টাকা। যা এক মাস আগে বিক্রি হয়েছে ৭০ টাকা। পাশাপাশি ভোজ্যতেলের দামও বেড়েছে। এ দিন প্রতি কেজি পাঁচ লিটারের সয়াবিন তেল বিক্রি হয়েছে ৬৪০-৬৬০ টাকা। যা এক মাস আগে ৬২৫-৬৫০ টাকায় বিক্রি হয়েছে।

ফিচার বিজ্ঞাপন

US Visa (Spouse)

মূল্য: 5,000 Taka

বৃহস্পতিবার রাজধানীর নয়াবাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা মো. সালাউদ্দিন বলেন, রোজার শুরুর দিকে দাম বাড়লেও মাঝে মাংসের দাম কমেছিল। তবে মনে হচ্ছে ঈদ ঘিরে বিক্রেতারা আবারও দাম বাড়াতে শুরু করেছে। কিন্তু বাচ্চারা মাংস খেতে চায়। তাই সপ্তাহে এক দিন বা মাসে দুই-তিন দিন মাংস কিনতে হয়। এভাবে দাম বাড়তে থাকলে আমাদের মতো মধ্যবিত্তের মাংস খাওয়া দুষ্কর হয়ে পড়ছে।

রাজধানীর নয়াবাজারে আসা শাকিল বলেন, রোজা শুরুর আগে বাজার চড়া ছিল। পাঁচ রোজার পর দাম কিছুটা কমতে থাকে। কিন্তু ঈদ ঘিরে সবগুলো পণ্যের দাম আবারও বাড়ানো হচ্ছে। এতে আমাদের মতো ভোক্তাদের দিশেহারা অবস্থা। কাওরান বাজারে নিত্যপণ্য কিনতে আসা ইকবাল হোসেন বলেন, বাজারে কোনো পণ্যের দাম কমেনি। সব পণ্যের দাম বেড়েছে। সরবরাহ স্বাভাবিক থাকলেও বিক্রেতারা দাম বাড়িয়ে বিক্রি করছে। কোথাও যেন কোনো জবাবদিহিতা নেই। যে যেভাবে পারছে ভোক্তার পকেট কাটছে।

Source: Jugantor

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

Online Shopping BD (Facebook Live)



১৬৮ বার পড়া হয়েছে