যেকোনো শক্তিশালী অবকাঠামো তৈরি করতে সিমেন্টের বিকল্প নেই। একটি কাঠামো দাঁড় করাতে প্রয়োজন রড। সেই কাঠামোকে মজবুত ভিত্তিতে পরিণত করতে প্রয়োজন সিমেন্ট। আর তাই ভবন নির্মাণে সিমেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। ভবন নির্মাণের ক্ষেত্রে রড, ইট, পাথর ও বালু যেমন প্রয়োজন, তেমনি এগুলো একত্র করে একটি শক্তিশালী কাঠামোতে রূপ দিতে প্রয়োজন সিমেন্টেরও।

বর্তমানে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পাশাপাশি দেশে অবকাঠামোগত নির্মাণকাজ আগের তুলনায় বেড়েছে কয়েকগুণ। গ্রামীণ অর্থনীতিতে উন্নয়ন হওয়ার কারণে শহরের পাশাপাশি প্রত্যন্ত অঞ্চলগুলোতেও এখন বড় বড় অবকাঠামো গড়ে উঠছে। এসব ভবন ও অবকাঠামো প্রকল্পে সিমেন্টের প্রয়োজনীয়তা ও ব্যবহার দিন দিন বেড়েই চলেছে। ফলে নির্মাণ খাতে সিমেন্টের চাহিদাও বেড়েছে আগের তুলনায় কয়েকগুণ।

বর্তমানে সিমেন্ট উৎপাদনে চতুর্থ প্রজন্মের এইচইসি প্রযুক্তি ব্যবহার করা হচ্ছে, যা নিশ্চিত করছে সিমেন্টের সর্বোচ্চ মান। সিমেন্ট ব্যবসায় যুক্ত সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা জানান, বর্তমানে দেশেই উৎপাদন করা হচ্ছে আন্তর্জাতিক মানের সিমেন্ট। এমনকি দেশের চাহিদা মিটিয়ে বিদেশেও রপ্তানি করা হচ্ছে বাংলাদেশে উৎপাদিত সিমেন্ট। বর্তমানে দেশে সিমেন্ট উৎপাদন করছে ৩৫টি কোম্পানি। এগুলো হলো—শাহ সিমেন্ট, বসুন্ধরা সিমেন্ট, এমআই সিমেন্ট, প্রিমিয়ার সিমেন্ট, হোলসিম সিমেন্ট, সেভেন সার্কেল সিমেন্ট, ইউনিক সিমেন্ট (ফ্রেশ), আনোয়ার সিমেন্ট, টাইগার সিমেন্ট, ইস্টার্ন সিমেন্ট, মির সিমেন্ট, আকিজ সিমেন্ট, মেট্রোসেম সিমেন্ট, উত্তরা সিমেন্ট, লাফার্জ সুরমা সিমেন্ট, ছাতক সিমেন্ট, হেইডেলবার্গ সিমেন্ট, রয়েল সিমেন্ট, আরামিট সিমেন্ট, এনজিএস সিমেন্ট, ডায়মন্ড সিমেন্ট, এস আলম সিমেন্ট, মোস্তফা হাকিম, কনফিডেন্স সিমেন্ট, মেঘনা সিমেন্ট, মংলা সিমেন্ট, দুবাই বাংলা সিমেন্ট, অলিম্পিক সিমেন্ট (অ্যাংকর), আমান সিমেন্ট, দোয়েল সিমেন্ট, আলহাজ সিমেন্ট, সালাম সিমেন্ট ও পদ্মা সিমেন্ট।

সিমেন্ট উৎপাদনের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিদের তথ্যমতে, শুধু দেশেই নয়, বর্তমানে বাংলাদেশে উৎপাদিত সিমেন্ট দেশের চাহিদা মিটিয়ে রপ্তানি করা হচ্ছে বিদেশেও। এ খাতের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা জানান, বর্তমানে ভারত, মিয়ানমার, নেপাল, মালদ্বীপ ও শ্রীলঙ্কায় বাংলাদেশে উৎপাদিত সিমেন্ট রপ্তানি করা হচ্ছে।

দেশে উৎপাদিত সিমেন্টে আন্তর্জাতিক মান বজায় রাখা হচ্ছে। এ ক্ষেত্রে বিএসটিআই-স্ট্যান্ডার্ড অনুসরণ করা হয়। সিমেন্ট উৎপাদন বর্তমানে একটি প্রতিযোগিতাপূর্ণ বাজার। আর প্রতিযোগিতার বাজারে টিকে থাকতে সব কোম্পানিই নিজেদের উৎপাদিত পণ্যের মান উন্নত রাখার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছে।

এ বিষয়ে প্রিমিয়ার সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক আমিরুল হক বলেন, ‘নিরাপদ নির্মাণে ভালো সিমেন্টের কোনো বিকল্প নেই। আর তাই আমরা সব সময়ই আমাদের গ্রাহকদের কাছে আন্তর্জাতিক মানের সিমেন্ট তুলে দিয়ে থাকি। বর্তমান সময়ে যেকোনো পণ্যের কোয়ালিটি টেস্ট করা আগের তুলনায় অনেক সহজ। ফলে এ ক্ষেত্রে ফাঁকিবাজির কোনো সুযোগ নেই। আমাদের উৎপাদিত সিমেন্ট নিয়ে আমাদের বক্তব্য হলো, “আমরা প্রমাণে বিশ্বাসী”।’

ফিচার বিজ্ঞাপন

সাজেক ভ্রমণ ৩ রাত ২ দিন

মূল্য: ৫,৪০০ টাকা

বালি ও লম্বক ৫দিন ৪ রাত

মূল্য: ২৯,০০০ টাকা

মেট্রোসেম সিমেন্টের ব্যবস্থাপনা পরিচালক মুহম্মদ শহীদুল্লাহ বলেন, ‘নিরাপদ নির্মাণের জন্য সিমেন্ট একটি অত্যাবশ্যকীয় উপাদান। তাই ক্রেতাদের কাছে আন্তর্জাতিক মানের সিমেন্ট পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা সব সময়ই অঙ্গীকারবদ্ধ। আমাদের সিমেন্টের উৎপাদনব্যবস্থা থেকে শুরু করে কোয়ালিটি, সবই আন্তর্জাতিক মানের এবং সিমেন্ট উৎপাদনে আমরা আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত মানদণ্ড সব সময়ই কঠোরভাবে মেনে চলি।’

ক্রাউন সিমেন্টের অতিরিক্ত ব্যবস্থাপনা পরিচালক মোহাম্মদ আলমগীর কবীর বলেন, ‘সিমেন্ট উৎপাদনের জন্য আন্তর্জাতিক একটি মানদণ্ড রয়েছে। আমরা তা সব সময়ই মেনে চলেছি এবং চলছি। এর পাশাপাশি উৎকৃষ্ট কাঁচামাল এবং প্রশিক্ষিত লোকবল ব্যবহার করায় ভোক্তাদের কাছ থেকেই আমাদের পণ্যের চাহিদা বেড়েছে। এর ফলে বিদেশি সিমেন্টের বিপরীতে আমাদের পণ্যের দিকে বর্তমানে ক্রেতারা বেশি ঝুঁকছেন।’

ফ্রেশ সিমেন্টের চিফ মার্কেটিং অফিসার মোহাম্মদ খোরশেদ আলম বলেন, ‘ক্রেতাদের কাছে ভালো মানের সিমেন্ট পৌঁছে দেওয়ার জন্য আমরা অত্যাধুনিক জার্মান প্রযুক্তির মাধ্যমে সিমেন্ট উৎপাদন করে থাকি, সেই সঙ্গে ভালো মানের কাঁচামাল ব্যবহার ও লোকবলের পাশাপাশি আমরা নিজস্ব লজিস্টিক সাপোর্ট, ডোর টু ডোর সার্ভিস দিয়ে থাকি, যার ফলে ক্রেতাদের কাছে ক্রমাগতই আমাদের সিমেন্টের চাহিদা বাড়ছে।’

সেভেন রিংস সিমেন্টের চিফ মার্কেটিং অফিসার আসাদুল হক সুফিয়ানী বলেন, ১৯৯৯ সালে আমাদের দেশে মাথাপিছু সিমেন্টের ব্যবহার ছিল ১৯ কেজি, যা ২০১৬ সালে এসে ১২৮ কেজিতে উন্নীত হয়েছে। গত বছরের তুলনায় এ বছর সিমেন্টের ব্যবহার বেড়েছে ১৬ শতাংশ। দেশ যেহেতু মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হতে যাচ্ছে, তাই আগামী ২৫ বছর সিমেন্ট ব্যবহারের এই প্রবৃদ্ধি অব্যাহত থাকার সম্ভাবনা আছে।

প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।

কুইক সেল অফার

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মাত্র ৩৭ লক্ষ টাকায়!

১২৩০ বর্গফুটের দক্ষিণমুখি ফ্ল্যাট মা...



৯৫২ বার পড়া হয়েছে