গুণগত মান ঠিক রেখে নির্ধারিত সময়ে ফ্ল্যাট হস্তান্তর করার ক্ষেত্রে বিটিআই অনেক এগিয়ে। বরাবরই নির্দিষ্ট তারিখে হস্তান্তরের অঙ্গীকার বিটিআই পূরণ করে চলেছে। সাম্প্রতিক সময়ে করোনা অতিমারিতে যেখানে অন্য সব ধরনের প্রতিষ্ঠান বিভিন্ন সমস্যায় আছে, সেখানে বিটিআই নির্ধারিত সময়ে কিংবা নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্প বুঝিয়ে দিয়ে চলেছে। নির্ধারিত সময়ে হস্তান্তর ও প্রকল্পের মান নিয়ে কথা হয় বিটিআইয়ের কনস্ট্রাকশন বিভাগের নির্বাহী পরিচালক প্রকৌশলী মো. শরিফুর রহমানের সঙ্গে।
শরিফুর রহমান বলেন, ‘বিটিআই সব সময় ক্রেতার চিন্তাভাবনাকে গুরুত্ব দিয়েছে। আমরা সব সময় চিন্তা করি ক্রেতা কী চাচ্ছেন আমাদের কাছে। আমরা পর্যবেক্ষণ করে দেখেছি, ক্রেতারা সঠিক দামে মানসম্মত প্রোডাক্ট নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে হস্তান্তর আশা করেন। রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার হিসেবে ক্রেতার চাহিদার বিষয়টিকে মাথায় রেখে বিটিআইয়ের সব প্রকল্প ডিজাইন করা হয়। প্রথমত, কত সাইজের ফ্ল্যাট করব, কী রকম দামে সেগুলো বিক্রি হবে, ক্রেতাদের সামাজিক অবস্থান-সবকিছু বিবেচনা করে আমরা আমাদের প্রকল্পগুলো ডিজাইন করে থাকি।’
শরিফুর রহমান বলেন, ‘আমরা প্রতিটি প্রজেক্টে কাজ শুরুর আগেই ক্যাটাগরি ভাগ করি। লোকেশন, সেই এলাকার ক্রেতার ক্রয়সামর্থ্য, ফ্ল্যাটের আকার ইত্যাদি বিষয়ের ওপরে নির্ভর করেই আমরা ক্যাটাগরি নির্ধারণ করি।’
‘অ্যাপার্টমেন্ট ডিজাইনের সময় আমরা মূলত দুটি বিষয়ের ওপর জোর দিয়ে থাকি; ১. ফাংশনাল ডিজাইন এবং ২. সৌন্দর্য ও স্বাস্থ্য সুরক্ষা’, জানান শরিফুর রহমান।
অনটাইম ডেলিভারি দেওয়া প্রসঙ্গে তাঁর বক্তব্য, ‘জমিটি ১০, ২০ বা ২৫ কাঠা যেটাই হোক না কেন, প্রতিটি প্রকল্প অনুমোদন প্রক্রিয়া চলাকালে ওয়ার্কিং ড্রইংগুলো তৈরি হতে থাকে। তখনই আমরা কনস্ট্রাকশনের কর্মপরিকল্পনা নিয়ে ফেলি। রাজউকের অনুমোদন হয়ে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা কাজ শুরু করে দিই। যে কর্মপরিকল্পনা আমরা করি, তা কঠোরভাবে পালন করি। প্রতি মাসের নির্ধারিত কাজের তালিকা অনুযায়ী কাজ করতে পারলাম কি না, সেটা তদারকির জন্য অন্য আরেকটি টিম কাজ করে। সেই টিমের প্রতিবেদন দেখে আমরা বুঝে নিতে পারি যে আমাদের কর্মপরিকল্পনা অনুযায়ী প্রকল্পটির সঠিক সময়ের মধ্যে তৈরি হচ্ছে কি না। যদি কোথাও কোনো সমস্যা থাকে, তাহলে যত দ্রুত সম্ভব তার সমাধান করি। প্রতি মাসের অগ্রগতির প্রতিবেদনের মধ্য দিয়ে বিটিআই কাজের স্বচ্ছতা পরিপূর্ণভাবে বজায় রাখছে।’
কোভিড–১৯ অতিমারিতে কাজের অগ্রগতি সম্পর্কে তিনি বলেন, ‘চলমান এই অতিমারি বিটিআইয়ের প্রকল্পের নির্মাণকাজে কোনো প্রভাব ফেলতে পারেনি বরং করোনাকালে আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই প্রকল্প হস্তান্তর করেছি। করোনা চলছে দেড় বছর ধরে। এই সময়ে আমরা পরিকল্পনা অনুযায়ী প্রতিটি প্রকল্প সম্পন্ন করেছি। অতিমারির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে প্রকল্পের মধ্যে থেকে আমরা কাজ সম্পন্ন করেছি, যার ফলে আমরা নির্ধারিত সময়ের আগেই অধিকাংশ প্রকল্প বুঝিয়ে দিতে সক্ষম হয়েছি। এখানে উল্লেখ্য, ২০২০ সালে ২৩টি প্রকল্প হস্তান্তর করি, যার মধ্যে ১৮টি প্রকল্প সময়ের আগে আর বাকি ৫টি প্রকল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়েছে। এ বছরের জুন পর্যন্ত আমরা ১২টি প্রকল্প হস্তান্তর করি, যার মধ্যে ৯টি প্রকল্প সময়ের আগে আর বাকি ৩টি প্রকল্প সময়ের মধ্যে শেষ হয়েছে।’
ফিচার বিজ্ঞাপন
ভুঁড়ি কমান, সুস্থ থাকুন
কলম্বো ও ক্যান্ডি ৪দিন ৩ রাত
ট্যাক্স, ভ্যাট, BIDA, IRC & COMPANY REGISTRATION CONSULTANTS
দুই শতাধিক প্রকৌশলী ও চার হাজারের বেশি নির্মাণশ্রমিক নিয়ে কাজ করছে বিটিআইয়ের কনস্ট্রাকশন বিভাগ। আমাদের প্রকৌশলীরা প্রতিনিয়ত নির্মাণশ্রমিকদের বিভিন্ন ধরনের প্রশিক্ষণ দিয়ে দক্ষ নির্মাণশ্রমিক তৈরি করেছেন; যার কারণে আমাদের মান ঠিক রাখা সম্ভব হচ্ছে। পাশাপাশি গুণ এবং মান ঠিক রাখার জন্যই প্রতিটি প্রকল্পে দেশি-বিদেশি নামী ব্র্যান্ডের নির্মাণসামগ্রী ব্যবহার করা হয়। গুণগত মান নিশ্চিত করার জন্য সব সময় আরেকটি টিম মান তদারকির জন্য কাজ করে বলেও জানান শরিফুর রহমান।
সঠিক সময়ে হস্তান্তর, কথামতো নির্মাণসামগ্রীর ব্যবহার, গ্রাহকসেবা এবং মানসম্মত প্রকল্পের কারণেই বিটিআইয়ের সুনাম প্রায় চার দশক ধরে বজায় রয়েছে। ১৯৮৪ সালে প্রতিষ্ঠার পর থেকে দীর্ঘ ৩৮ বছর ধরে সুনামের সঙ্গে ব্যবসা চালিয়ে যাচ্ছে রিয়েল এস্টেট ডেভেলপার ‘বিল্ডিং টেকনোলজি অ্যান্ড আইডিয়াস লিমিটেড (বিটিআই)’। বাংলাদেশের রিয়েল এস্টেট শিল্পে এই প্রতিষ্ঠান ব্র্যান্ড হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। এ পর্যন্ত ঢাকা ও চট্টগ্রামে ৬ হাজারের বেশি ফ্ল্যাট হস্তান্তর করেছে। বর্তমানে ঢাকায় ৫৫টি ও চট্টগ্রামে ১০টির মতো প্রকল্প চলমান।
প্রাসঙ্গিক কথাঃ “ঢাকা বৃত্তান্ত”প্রচলিত অর্থে কোন সংবাদ মাধ্যম বা অনলাইন নিউজ সাইট নয়। এখানে প্রকাশিত কোন ফিচারের সাথে সংবাদ মাধ্যমের মিল খুঁজে পেলে সেটি শুধুই কাকতাল মাত্র। এখানে থাকা সকল তথ্য ফিচার কেন্দ্রীক ও ইন্টারনেট থেকে সংগ্রহীত। “ঢাকায় থাকি”কর্তৃপক্ষ বিশ্বাস করে এসব তথ্য একত্রিত করার ফলে তা ঢাকাবাসীকে সাহায্য করছে ও করবে। আসুন সবাই আমাদের এই প্রিয় ঢাকা শহরকে সুন্দর ও বাসযোগ্য করে গড়ে তুলি। আমরা সবাই সচেতন, দায়িত্বশীল ও সুনাগরিক হিসাবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করি।
১৮৩ বার পড়া হয়েছে